০৫:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে সরকার: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

সমকালের একটি শিরোনাম “প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব”

প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করবেন না।

তিনি বলেছেন, তার ক্ষমতার প্রয়োজন নেই। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অধ্যাপক ইউনূসের দরকার আছে।

আজ শুক্রবার দুপুরের দিকে ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো—

‘প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না।

অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস এর ক্ষমতা প্রয়োজন নেই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ডেমোক্রেটিক ট্রাঞ্জিশনের জন্য ড. ইউনূস স্যার এর দরকার আছে।

বরং ক্যাবিনেটকে আরও গতিশীল হতে হবে। সরকারকে আরও বেশি ফাংশনাল হতে হবে, উপদেষ্টাদের আরও বেশি কাজ করতে হবে, দৃশ্যমান অগ্রগতি জনতার সামনে উপস্থাপন করতে হবে—এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না। আমাদেরকে দেখাতে হবে যে গণ–অভ্যুত্থান পরবর্তীকালে জনতার সম্মতিতে ক্ষমতায় এসে প্রফেসর সাফল্য দেখিয়েছেন।

বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর সম্মান আছে, এটা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।

আমি মনে করি, সরকারকে এখন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আরও নিবিড়ভাবে আলোচনায় বসতে হবে, নিয়মিত বসে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত চাইতে হবে। কোনো ধরনের বিচ্ছিন্নতা কাম্য নয়।

পাশাপাশি সেনাবাহিনীও রাজনীতিতে নাক গলাতে পারবে না। আজকের দুনিয়ায় কোনো সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না। তাই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের বক্তব্যে সেনাপ্রধান জুরিশডিকশনাল কারেক্টনেস রক্ষা করতে পারেননি। তবে সেনাবাহিনীকে প্রাপ্য সম্মান দেখাতে হবে, আস্থায় রাখতে হবে। সেনাবাহিনী প্রশ্নে হুট করে কিছু করা যাবে না, হঠকারী কিছু করা যাবে না। তেমনি, ইনক্লুসিভনেসের নাম করে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনও চাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব এবং আস্থার জায়গা—সেটা কেউ ভঙ্গ করবে না।

দরকারি প্রস্তুতি শেষ করে নির্বাচন এপ্রিল-মে’র কোনো সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলেই আশা করি, তবে এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। এ সময়ে সকল যৌক্তিক সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে, করতে হবে জুলাই সনদ। তবে ডিসেম্বর থেকে জুনে দেওয়া রোডম্যাপ মতে, নির্বাচনের এক্সাক্ট ডেট ঘোষণার এখতিয়ার শুধু স্যারের। স্যারের এখতিয়ার অন্য কেউ হাইজ্যাক করতে পারবে না। স্যারকে যখন আনা হয়েছে, তখন বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে স্যার বলেছেন, আমার কথা শুনতে হবে।

 

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “শপথ কেবল একটা ফরমালিটি, বললেন ইশরাক হোসেন”

শপথের আগেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে কাজ শুরু করে দেবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির ইশরাক হোসেন। আসন্ন কোরবানি ঈদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রস্তুতি নেবেন তিনি। উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) মেয়র না আসা পর্যন্ত সেখানকার প্রশাসন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সহযোগিতা করারও অঙ্গীকার করেছেন।

আজ শুক্রবার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এসব কথা বলেন ইশরাক হোসেন।

ইশরাক হোসেন বলেন, ‘শপথ কেবল একটা ফরমালিটি। জনতার মেয়র হিসেবে আমার দায়িত্ব বর্তায় আগামী কোরবানির ঈদের আগে যাতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকে। আমি ঢাকাবাসীকে নিশ্চিত করছি, উত্তরে মেয়র না আসা পর্যন্ত সেখানকার প্রশাসন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করব।’

কর্মপরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন ইশরাক বলেন, ‘দক্ষিণে সাবেক কাউন্সিলর ও বিগত নির্বাচনের প্রার্থীদের সমন্বয় করে একটি জোন-ভিত্তিক মনিটরিং টিমের অনুমোদন দেব। বিকেলের মধ্যে (১৬ ঘণ্টায়) !’

তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘একটা স্বস্তিদায়ক পরিবেশ তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করব। দক্ষিণ পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে আমি নিজেও থাকব।’

উল্লেখ্য, গত ১৪ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত ৯ দিন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করেন তাঁর সমর্থকেরা। ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার আদেশ চ্যালেঞ্জ করে করা রিট উচ্চ আদালত খারিজ করার পর ইশরাক আন্দোলন স্থগিত করেছেন।

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে সরকার: উপদেষ্টা রিজওয়ানা”

দায়িত্ব পালনে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান। শুক্রবার (২৩ মে) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, আমি বিষয়টা এভাবে বলি, কালকে আমাদের মিটিংয়ের পর অনেকক্ষণ আলোচনা করেছি। কারণ আমাদের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে তিনটা মোটাদাগে দায়িত্ব এবং তিনটাই কঠিন। সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন। শুধুমাত্র নির্বাচন করার জন্য তো আমরা দায়িত্ব নেইনি। আরো দুটো দায়িত্ব আছে। আমরা সেগুলো আসলে পূরণ করতে পারছি না।

প্রতিবন্ধকতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে যার যত রকম দাবি আছে, সব নিয়ে রাস্তায় বসে যাচ্ছে, রাস্তা আটকে দিচ্ছে, একদম ঢাকা অচল হয়ে পড়ছে। সে অচলাবস্থা নিরসনে আমরা কিছু করতে পারছি কিনা। এগুলো আলোচনা করে যেটা চিন্তা করলাম, আমাদের এ দায়িত্ব জাতীয় দায়িত্ব’ আমরা ক্ষমতায় নেই, দায়িত্বে আছি। এ দায়িত্ব পালন তখনই আমাদের জন্য সম্ভব হবে, যখন আমরা সবার সহযোগিতা পাব।

তিনি আরো বলেন, প্রত্যাশা এক আর দায়িত্বটা আসলে পালন করার বিষয় আরেক। প্রত্যাশা অনেক থাকতে পারে, কিন্তু আমার তো একটা অনুকূল পরিবেশ থাকা লাগবে সেটা পূরণের জন্য।

জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা একটা সময় দিয়েছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তার একদিনও এদিক-সেদিক হওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের পক্ষ থেকে নেই। এটা নিয়ে অন্য কোনো কিছু বলাও উচিৎ ছিল না। কারণ আমরা সময় দিয়েছি।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমরা পারফর্ম করতে পারছি কি পারছি না, সেটাই একমাত্র চাপ। আমরা যদি আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পারি, তাহলে আমাদের দায়িত্বে থাকাটা প্রাসঙ্গিক। আর যদি দায়িত্ব পালন করতে না পারি, আমাদের যার যার নিজস্ব অনেক কাজ আছে, দায়িত্বে থাকাটা তখন আর প্রাসঙ্গিক থাকল না।

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “সংকট উত্তরণের পথ জাতীয় সনদ ও নির্বাচন: আ স ম‌ রব”

বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিরাজিত বাস্তবতার প্রেক্ষিতে রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। শুক্রবার  গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান তিনি।

এতে বলা হয়,  ফ্যাসিবাদী শাসনের বিপরীতে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণভিত্তিক, গণমুখী ও গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি সমন্বিত, সর্বজনীন ও গণভিত্তিক প্রজাতন্ত্র গঠনে জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে সংস্কারের লক্ষ্যে ‘জাতীয় সনদ’ দ্রুত প্রণয়ন এই মুহূর্তে অনিবার্য হয়ে পড়েছে। এই সনদ হবে জাতির সর্বস্তরের মানুষের ন্যূনতম ঐকমত্যের প্রতিফলন। এটি হবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার-ভিত্তিক গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র গঠনের প্রতিশ্রুতি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়,  জাতীয় সনদ হবে রাষ্ট্র ও নাগরিকের মধ্যে একটি নতুন সামাজিক চুক্তি, যেখানে সাংবিধানিক সংস্কারসহ জনগণের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে। এই সনদের ভিত্তিতেই গণঅভ্যুত্থানকারী শক্তিগুলোর মধ্যে জাতীয় ঐক্য কার্যকর হবে। জাতীয় সনদের ভিত্তিতেই জাতীয় নির্বাচন অয়োজন ও সম্পন্ন  করার আহ্বানও জানানো হয় ওই বিবৃতিতে। আরও বলা হয়, চলমান সংকট থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে অবিলম্বে ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন এবং তার ভিত্তিতে নির্বাচনের আয়োজনই হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য এই মুহূর্তের জরুরি করণীয়।

‘চুরির গম’ আমদানি: বাংলাদেশের ওপর ইইউ নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন

দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে সরকার: উপদেষ্টা রিজওয়ানা

০৩:৫৩:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব”

প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করবেন না।

তিনি বলেছেন, তার ক্ষমতার প্রয়োজন নেই। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অধ্যাপক ইউনূসের দরকার আছে।

আজ শুক্রবার দুপুরের দিকে ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো—

‘প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না।

অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস এর ক্ষমতা প্রয়োজন নেই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ডেমোক্রেটিক ট্রাঞ্জিশনের জন্য ড. ইউনূস স্যার এর দরকার আছে।

বরং ক্যাবিনেটকে আরও গতিশীল হতে হবে। সরকারকে আরও বেশি ফাংশনাল হতে হবে, উপদেষ্টাদের আরও বেশি কাজ করতে হবে, দৃশ্যমান অগ্রগতি জনতার সামনে উপস্থাপন করতে হবে—এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না। আমাদেরকে দেখাতে হবে যে গণ–অভ্যুত্থান পরবর্তীকালে জনতার সম্মতিতে ক্ষমতায় এসে প্রফেসর সাফল্য দেখিয়েছেন।

বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর সম্মান আছে, এটা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।

আমি মনে করি, সরকারকে এখন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আরও নিবিড়ভাবে আলোচনায় বসতে হবে, নিয়মিত বসে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত চাইতে হবে। কোনো ধরনের বিচ্ছিন্নতা কাম্য নয়।

পাশাপাশি সেনাবাহিনীও রাজনীতিতে নাক গলাতে পারবে না। আজকের দুনিয়ায় কোনো সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না। তাই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের বক্তব্যে সেনাপ্রধান জুরিশডিকশনাল কারেক্টনেস রক্ষা করতে পারেননি। তবে সেনাবাহিনীকে প্রাপ্য সম্মান দেখাতে হবে, আস্থায় রাখতে হবে। সেনাবাহিনী প্রশ্নে হুট করে কিছু করা যাবে না, হঠকারী কিছু করা যাবে না। তেমনি, ইনক্লুসিভনেসের নাম করে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনও চাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব এবং আস্থার জায়গা—সেটা কেউ ভঙ্গ করবে না।

দরকারি প্রস্তুতি শেষ করে নির্বাচন এপ্রিল-মে’র কোনো সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলেই আশা করি, তবে এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। এ সময়ে সকল যৌক্তিক সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে, করতে হবে জুলাই সনদ। তবে ডিসেম্বর থেকে জুনে দেওয়া রোডম্যাপ মতে, নির্বাচনের এক্সাক্ট ডেট ঘোষণার এখতিয়ার শুধু স্যারের। স্যারের এখতিয়ার অন্য কেউ হাইজ্যাক করতে পারবে না। স্যারকে যখন আনা হয়েছে, তখন বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে স্যার বলেছেন, আমার কথা শুনতে হবে।

 

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “শপথ কেবল একটা ফরমালিটি, বললেন ইশরাক হোসেন”

শপথের আগেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে কাজ শুরু করে দেবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির ইশরাক হোসেন। আসন্ন কোরবানি ঈদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রস্তুতি নেবেন তিনি। উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) মেয়র না আসা পর্যন্ত সেখানকার প্রশাসন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সহযোগিতা করারও অঙ্গীকার করেছেন।

আজ শুক্রবার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এসব কথা বলেন ইশরাক হোসেন।

ইশরাক হোসেন বলেন, ‘শপথ কেবল একটা ফরমালিটি। জনতার মেয়র হিসেবে আমার দায়িত্ব বর্তায় আগামী কোরবানির ঈদের আগে যাতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি থাকে। আমি ঢাকাবাসীকে নিশ্চিত করছি, উত্তরে মেয়র না আসা পর্যন্ত সেখানকার প্রশাসন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করব।’

কর্মপরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন ইশরাক বলেন, ‘দক্ষিণে সাবেক কাউন্সিলর ও বিগত নির্বাচনের প্রার্থীদের সমন্বয় করে একটি জোন-ভিত্তিক মনিটরিং টিমের অনুমোদন দেব। বিকেলের মধ্যে (১৬ ঘণ্টায়) !’

তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘একটা স্বস্তিদায়ক পরিবেশ তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করব। দক্ষিণ পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে আমি নিজেও থাকব।’

উল্লেখ্য, গত ১৪ মে থেকে ২২ মে পর্যন্ত ৯ দিন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করেন তাঁর সমর্থকেরা। ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার আদেশ চ্যালেঞ্জ করে করা রিট উচ্চ আদালত খারিজ করার পর ইশরাক আন্দোলন স্থগিত করেছেন।

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে সরকার: উপদেষ্টা রিজওয়ানা”

দায়িত্ব পালনে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান। শুক্রবার (২৩ মে) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, আমি বিষয়টা এভাবে বলি, কালকে আমাদের মিটিংয়ের পর অনেকক্ষণ আলোচনা করেছি। কারণ আমাদের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে তিনটা মোটাদাগে দায়িত্ব এবং তিনটাই কঠিন। সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন। শুধুমাত্র নির্বাচন করার জন্য তো আমরা দায়িত্ব নেইনি। আরো দুটো দায়িত্ব আছে। আমরা সেগুলো আসলে পূরণ করতে পারছি না।

প্রতিবন্ধকতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে যার যত রকম দাবি আছে, সব নিয়ে রাস্তায় বসে যাচ্ছে, রাস্তা আটকে দিচ্ছে, একদম ঢাকা অচল হয়ে পড়ছে। সে অচলাবস্থা নিরসনে আমরা কিছু করতে পারছি কিনা। এগুলো আলোচনা করে যেটা চিন্তা করলাম, আমাদের এ দায়িত্ব জাতীয় দায়িত্ব’ আমরা ক্ষমতায় নেই, দায়িত্বে আছি। এ দায়িত্ব পালন তখনই আমাদের জন্য সম্ভব হবে, যখন আমরা সবার সহযোগিতা পাব।

তিনি আরো বলেন, প্রত্যাশা এক আর দায়িত্বটা আসলে পালন করার বিষয় আরেক। প্রত্যাশা অনেক থাকতে পারে, কিন্তু আমার তো একটা অনুকূল পরিবেশ থাকা লাগবে সেটা পূরণের জন্য।

জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা একটা সময় দিয়েছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তার একদিনও এদিক-সেদিক হওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের পক্ষ থেকে নেই। এটা নিয়ে অন্য কোনো কিছু বলাও উচিৎ ছিল না। কারণ আমরা সময় দিয়েছি।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমরা পারফর্ম করতে পারছি কি পারছি না, সেটাই একমাত্র চাপ। আমরা যদি আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পারি, তাহলে আমাদের দায়িত্বে থাকাটা প্রাসঙ্গিক। আর যদি দায়িত্ব পালন করতে না পারি, আমাদের যার যার নিজস্ব অনেক কাজ আছে, দায়িত্বে থাকাটা তখন আর প্রাসঙ্গিক থাকল না।

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “সংকট উত্তরণের পথ জাতীয় সনদ ও নির্বাচন: আ স ম‌ রব”

বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বিরাজিত বাস্তবতার প্রেক্ষিতে রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। শুক্রবার  গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান তিনি।

এতে বলা হয়,  ফ্যাসিবাদী শাসনের বিপরীতে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণভিত্তিক, গণমুখী ও গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি সমন্বিত, সর্বজনীন ও গণভিত্তিক প্রজাতন্ত্র গঠনে জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে সংস্কারের লক্ষ্যে ‘জাতীয় সনদ’ দ্রুত প্রণয়ন এই মুহূর্তে অনিবার্য হয়ে পড়েছে। এই সনদ হবে জাতির সর্বস্তরের মানুষের ন্যূনতম ঐকমত্যের প্রতিফলন। এটি হবে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার-ভিত্তিক গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র গঠনের প্রতিশ্রুতি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়,  জাতীয় সনদ হবে রাষ্ট্র ও নাগরিকের মধ্যে একটি নতুন সামাজিক চুক্তি, যেখানে সাংবিধানিক সংস্কারসহ জনগণের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে। এই সনদের ভিত্তিতেই গণঅভ্যুত্থানকারী শক্তিগুলোর মধ্যে জাতীয় ঐক্য কার্যকর হবে। জাতীয় সনদের ভিত্তিতেই জাতীয় নির্বাচন অয়োজন ও সম্পন্ন  করার আহ্বানও জানানো হয় ওই বিবৃতিতে। আরও বলা হয়, চলমান সংকট থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে অবিলম্বে ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়ন এবং তার ভিত্তিতে নির্বাচনের আয়োজনই হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য এই মুহূর্তের জরুরি করণীয়।