গণপূর্ত উপদেষ্টার দপ্তর ঘেরাওয়ের সময় বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব সচিব মো. নজরুল ইসলাম মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করছিলেন৷ কর্মচারীরা উপদেষ্টার দপ্তর ঘেরাও করায় তিনি সভাকক্ষে থেকে বেরিয়ে এসে কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন৷ এসময় কয়েকজনকে নজরুল ইসলামের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়াতে দেখা যায়৷
সমাবেশে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবীর বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে নতুন অধ্যাদেশ করা হচ্ছে৷ এধরনেরনিবর্তনমূলক আইন আমরা মানব না৷ উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন হওয়া অধ্যাদেশের খসড়া সম্পূর্ণ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে৷’’
যাবলছেনবিশ্লেষকেরা?
রোববার অনুষ্ঠিত হওয়া কর্মচারীদের প্রতিবাদকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান৷ সাবেক এই আমলা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘মাথা ব্যথা হলে তো ওষুধ খাবেন, মাথা তো কেটে ফেলবেন না৷’’
শহীদ খান বলেন, সরকারি কর্মচারীরা কীভাবে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালিত করবেন সে বিষয়ে তো আমাদের অনেক আইন আছে৷ সেসবের আলোকেই তো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়৷ ১৯৭৯ সালের একটি অধ্যাদেশ রহিত হলেও এখন সেটিকে কার্যকর করা অনুচিত৷ এই সরকারের অঙ্গীকার হলো গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ফিরিয়ে আনা৷ যেসব আইনে মানবিক অধিকার লঙ্ঘিত হয় সেগুলো বাতিল করবে৷’’
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব ফিরোজ মিয়া ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আগের অধ্যাদেশ ৪০ বছর চালু ছিল৷ বাস্তবতা হলো নিরীহ কিছু কর্মচারীর চাকরি যাওয়া ছাড়া কোনো দলবাজ নেতা এবং রাজনৈতিক সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট কোনো নেতা বা কর্মচারীরা চাকরি যায়নি৷ এটা নিয়ে সাধারণ ও নিরীহ কর্মচারীদের মধ্যে ভয় এটা তাদের ওপর প্রয়োগ হবে৷ এ জন্য তারা অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে ভীত ও সংক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন৷’’
ডয়চে ভেলে – DW