০৬:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
নট কিউট এনিমোর’: নতুন তেজি লুকে ফিরছে ইলিৎ নভেম্বরে স্বস্তির ঠাণ্ডা, দেশের আবহাওয়ায় বদলের ছোঁয়া এবার প্রতি সপ্তাহেই শোনার হিসাব দেবে স্পটিফাই, নতুন ‘মিনি র‌্যাপড’ ফিচার চালু প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২৫) তিন বছরের বিরতি শেষে মামামুর গ্রুপ প্রত্যাবর্তন, আসছে বিশ্ব ট্যুর বাংলাদেশে ডেঙ্গুর ঢেউ, হাসপাতালে চাপ বাড়ছে স্ট্রেঞ্জার থিংস থেকে সেভেন্টিন: নভেম্বরে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে কী আসছে বাংলা সাহিত্য অবলম্বিত চলচ্চিত্র, সাইবারক্রাইম থ্রিলার ও আন্তর্জাতিক কনটেন্টে জমজমাট সপ্তাহ ক্যাটসআই: আধুনিক গার্ল গ্রুপের নতুন নকশা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাত ১০টার পর সব অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ

ব্যাপক উৎসাহ সত্ত্বেও বাংলাদেশে জাপানি ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ নগণ্য

সমকালের একটি শিরোনাম “সচিবালয় ঘিরে উত্তাপ”

সচিবালয়ের কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হচ্ছেন বিএনপিপন্থি সাবেক আমলারা। এতদিন তারা এ আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে আসছিলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ গতরাতে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে সচিবালয়, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনাসহ আশপাশ এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
এদিকে সরকারের ২৫টি ক্যাডারের কর্মচারীরা সারাদেশে আজ ও আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কলমবিরতির ডাক দিয়েছেন। তাদের ১২ জন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি ডাকা হয়।

বেতন গ্রেড ও পদোন্নতি নিয়ে জটিলতা নিরসনের দাবিতে সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন, মামলা-হয়রানি বন্ধের দাবিতে আজ সারাদেশে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

সচিবালয়ে আন্দোলন
সচিবালয়ের আন্দোলনে যুক্ত হওয়া বিএনপিপন্থি আমলাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিবসহ বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। সচিবালয় কর্মচারী সংগঠনের নেতারা আজ সারাদেশের সরকারি কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ বাতিল দাবিতে এ আন্দোলন চলছে।

এই অধ্যাদেশকে কালো আইন দাবি করে তা বাতিলের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো গতকাল সোমবারও বিক্ষোভ করেছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। এ সময় সচিবালয়ের সব ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার সারাদেশের দপ্তর-সংস্থার কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের নেতারা।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “জামায়াত নেতা আজহার খালাস”

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিল মঞ্জুর করে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় বাতিল করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। অন্য কোনো মামলা না থাকলে তাঁকে অবিলম্বে মুক্তিরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সর্বসম্মতিতে এ রায় দেন। এর আগে শুনানি শেষে গত ৮ মে রায়ের জন্য আজকের দিন ঠিক করে দেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগে আজহারের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিক ও মোহাম্মদ শিশির মনির।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এরপর ওই রায় রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে আপিলের অনুমতি দেন। সেই সঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে সারসংক্ষেপ জমা দিলে আপিল শুনানি হয়।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “ব্যাপক উৎসাহ সত্ত্বেও বাংলাদেশে জাপানি ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ নগণ্য”

বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ সম্ভাবনা অনেক দিন ধরেই আলোচিত। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিবেচনায় বাংলাদেশে অন্যতম বৃহৎ ঋণদাতা দেশও জাপান। শুধু জাপানি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে রয়েছে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলও। কিন্তু সম্পর্কের এ ঘনিষ্ঠতা বাংলাদেশে জাপানের বেসরকারি খাতের বিনিয়োগপ্রবাহে তেমন দৃশ্যমান নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে জাপানের এফডিআই স্টকের (পুঞ্জীভূত প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ) স্থিতি ৪৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এর সঙ্গে জাপান টোব্যাকোর (জেটি) বিনিয়োগপ্রবাহ বিবেচনায় নিলে বাংলাদেশে জাপানের এফডিআই ২০০ কোটি ডলারের মতো হবে। কিন্তু অন্য দেশ থেকে আসায় জেটির বিনিয়োগের উৎস দেশ হিসেবে জাপানকে বিবেচনা করা হয়নি। তার পরও বিনিয়োগের এ অংককে সম্ভাবনার চেয়ে অনেক কম বলে মনে করছেন বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ-সংশ্লিষ্টরা।

বৈশ্বিক বিদেশী বিনিয়োগ চিত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের পর জাপান বিদেশী বিনিয়োগের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলোর ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, থাইল্যান্ডে জাপানের এফডিআই স্টকের পরিমাণ ৯৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি। মালয়েশিয়ায় জাপানের বিনিয়োগ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ছিল ২৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি। এমনকি কম্বোডিয়ায় জাপানের এফডিআই স্টক প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশে জাপানের এফডিআই প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার। অন্য দেশ থেকে এসেছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যানে বাংলাদেশে জেটির ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগটি অন্তর্ভুক্ত ছিল না বলে জানিয়েছেন জাপান বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (জেবিসিসিআই) সভাপতি তারেক রাফি ভুইয়া (জুন)। অনেক সম্ভাবনা সত্ত্বেও বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগপ্রবাহ কম হওয়ার বেশকিছু কারণ জানিয়েছেন তিনি।

তারেক রাফি ভুঁইয়া বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এ পরিস্থিতির পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে নীতিগত ও নিয়ন্ত্রক (রেগুলেটরি) অনিশ্চয়তা একটা কারণ। অনেক জাপানি কোম্পানি এখনো সতর্ক থাকে নীতিমালা ও নিয়মকানুন বারবার পরিবর্তিত হওয়ার কারণে। কর আইন, কাস্টমস বিধি বা বিনিয়োগ প্রণোদনার হঠাৎ পরিবর্তন দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ পরিকল্পনাকে নিরুৎসাহিত করে।’

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “জাপান যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা”

নানামুখী চাপে পদত্যাগের হুমকি দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যার প্রেক্ষিতে তার অত্যাসন্ন জাপান সফর নিয়ে ‘শঙ্কা’ দেখা দিয়েছিল। এই অবস্থার মধ্যে সোমবার দুপুরে সফরটির প্রস্তুতি জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে শঙ্কার বিষয়টি সামনে আসে। প্রশ্ন উঠে- প্রধান উপদেষ্টার সফরটি আদৌ হচ্ছে কিনা? জবাব দিতে খানিকটা বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েন সদ্য ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব নেয়া রুহুল আলম সিদ্দিকী। অবশ্য তিনি শেষ পর্যন্ত নিজেকে সামলে নেন। বলেন- সফরটি হচ্ছে। এ নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা বা শঙ্কা নেই। সেই সঙ্গে সফরে ৭টি বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা হওয়ার তথ্যও নিশ্চিত করে গত সপ্তাহে নাটকীয়তার মধ্যদিয়ে সচিবের পদে আসীন হওয়া ওই জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক। কিন্তু তাতেও আশ্বস্ত হতে পারছিলেন অনেকে। তাদের মধ্যে কানাঘুষা ছিল। যার কারণে টোকিও’র কনফার্মেশনটি জরুরি হয়ে পড়ে। অবশ্য জাপান হতাশ করেনি। তারা সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার টোকিও সফরটি নিশ্চিত করেছে এক বার্তায়।

টোকিও’র বার্তায় যা বলা হয়েছে- সোমবার জাপান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৮-৩১শে মে সরকারি সফরে জাপান সফর করবেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সফরকালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়াও নিক্কিই ফোরাম ৩০তম ‘এশিয়ার ভবিষ্যৎ’- শীর্ষক সম্মেলনে যোগ দেবেন।

ঢাকার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত: এদিকে সোমবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার সফর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আহূত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়- অত্যাসন্ন সফরে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সর্বমোট সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। সমঝোতাগুলো হচ্ছে- প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপনে জাপানের জেবিআইসি ঋণ চুক্তি, ওনডা এবং নাকসিসের সঙ্গে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (এসইজেড) আলাদা দু’টি ভূমি সংক্রান্ত সমঝোতা, ব্যাটারি ও সাইকেল কারখানা স্থাপন নিয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সঙ্গে সমঝোতা, বিডাতে ওএসএস প্রযুক্তি স্থাপন নিয়ে জাইকার সঙ্গে সমঝোতা এবং দক্ষতা ও ভাষা উন্নয়নে মানবসম্পদ বিষয়ক বিএমইটি’র সঙ্গে আলাদা দু’টি সমঝোতা। সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব জানান, টোকিওর কাছে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা চাইবে ঢাকা। সেইসঙ্গে জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী রেলপথ ডুয়ালগেজ ডাবল লাইনে উন্নীতকরণে একচেঞ্জ অফ নোটও সই হতে পারে। টোকিও বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, রোহিঙ্গা ইস্যু, নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে ৩০শে মে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারত্বে রয়েছে। দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকে সার্বিক বিষয়গুলোর ভবিষ্যৎ দিক-নির্দেশনা ঠিক করা হবে। বৈঠকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং বিভিন্ন খাতভিত্তিক সহযোগিতা, বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি ও সাংস্কৃতিক বিনিময়, রোহিঙ্গা ইস্যু, নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুগুলো আলোচনায় থাকবে। স্মরণ করা যায়, ২০২৩ সালে বাংলাদেশকে সাড়ে ২২ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা দিয়েছে জাপান। আগেরবার ঋণের সুদহার ১ দশমিক ৬ শতাংশ, এককালীন ফ্রন্টঅ্যান্ড ফি দশমিক ১ শতাংশ ছিল। ঋণটি ১০ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য। ২০২০ ও ২০২১ সালে জাপান সরকার বাংলাদেশকে সাড়ে ৬৮ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তার ঋণ দিয়েছিল।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

নট কিউট এনিমোর’: নতুন তেজি লুকে ফিরছে ইলিৎ

ব্যাপক উৎসাহ সত্ত্বেও বাংলাদেশে জাপানি ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ নগণ্য

০৯:০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “সচিবালয় ঘিরে উত্তাপ”

সচিবালয়ের কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হচ্ছেন বিএনপিপন্থি সাবেক আমলারা। এতদিন তারা এ আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে আসছিলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ গতরাতে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে সচিবালয়, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনাসহ আশপাশ এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
এদিকে সরকারের ২৫টি ক্যাডারের কর্মচারীরা সারাদেশে আজ ও আগামীকাল সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কলমবিরতির ডাক দিয়েছেন। তাদের ১২ জন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্তের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি ডাকা হয়।

বেতন গ্রেড ও পদোন্নতি নিয়ে জটিলতা নিরসনের দাবিতে সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন, মামলা-হয়রানি বন্ধের দাবিতে আজ সারাদেশে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

সচিবালয়ে আন্দোলন
সচিবালয়ের আন্দোলনে যুক্ত হওয়া বিএনপিপন্থি আমলাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিবসহ বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। সচিবালয় কর্মচারী সংগঠনের নেতারা আজ সারাদেশের সরকারি কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ বাতিল দাবিতে এ আন্দোলন চলছে।

এই অধ্যাদেশকে কালো আইন দাবি করে তা বাতিলের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো গতকাল সোমবারও বিক্ষোভ করেছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। এ সময় সচিবালয়ের সব ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার সারাদেশের দপ্তর-সংস্থার কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের নেতারা।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “জামায়াত নেতা আজহার খালাস”

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিল মঞ্জুর করে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায় বাতিল করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। অন্য কোনো মামলা না থাকলে তাঁকে অবিলম্বে মুক্তিরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সর্বসম্মতিতে এ রায় দেন। এর আগে শুনানি শেষে গত ৮ মে রায়ের জন্য আজকের দিন ঠিক করে দেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগে আজহারের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিক ও মোহাম্মদ শিশির মনির।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। এরপর ওই রায় রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে আপিলের অনুমতি দেন। সেই সঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে সারসংক্ষেপ জমা দিলে আপিল শুনানি হয়।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “ব্যাপক উৎসাহ সত্ত্বেও বাংলাদেশে জাপানি ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ নগণ্য”

বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ সম্ভাবনা অনেক দিন ধরেই আলোচিত। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিবেচনায় বাংলাদেশে অন্যতম বৃহৎ ঋণদাতা দেশও জাপান। শুধু জাপানি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে রয়েছে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলও। কিন্তু সম্পর্কের এ ঘনিষ্ঠতা বাংলাদেশে জাপানের বেসরকারি খাতের বিনিয়োগপ্রবাহে তেমন দৃশ্যমান নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে জাপানের এফডিআই স্টকের (পুঞ্জীভূত প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ) স্থিতি ৪৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এর সঙ্গে জাপান টোব্যাকোর (জেটি) বিনিয়োগপ্রবাহ বিবেচনায় নিলে বাংলাদেশে জাপানের এফডিআই ২০০ কোটি ডলারের মতো হবে। কিন্তু অন্য দেশ থেকে আসায় জেটির বিনিয়োগের উৎস দেশ হিসেবে জাপানকে বিবেচনা করা হয়নি। তার পরও বিনিয়োগের এ অংককে সম্ভাবনার চেয়ে অনেক কম বলে মনে করছেন বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ-সংশ্লিষ্টরা।

বৈশ্বিক বিদেশী বিনিয়োগ চিত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের পর জাপান বিদেশী বিনিয়োগের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলোর ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, থাইল্যান্ডে জাপানের এফডিআই স্টকের পরিমাণ ৯৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি। মালয়েশিয়ায় জাপানের বিনিয়োগ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ছিল ২৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি। এমনকি কম্বোডিয়ায় জাপানের এফডিআই স্টক প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশে জাপানের এফডিআই প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার। অন্য দেশ থেকে এসেছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যানে বাংলাদেশে জেটির ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগটি অন্তর্ভুক্ত ছিল না বলে জানিয়েছেন জাপান বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (জেবিসিসিআই) সভাপতি তারেক রাফি ভুইয়া (জুন)। অনেক সম্ভাবনা সত্ত্বেও বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগপ্রবাহ কম হওয়ার বেশকিছু কারণ জানিয়েছেন তিনি।

তারেক রাফি ভুঁইয়া বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এ পরিস্থিতির পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে নীতিগত ও নিয়ন্ত্রক (রেগুলেটরি) অনিশ্চয়তা একটা কারণ। অনেক জাপানি কোম্পানি এখনো সতর্ক থাকে নীতিমালা ও নিয়মকানুন বারবার পরিবর্তিত হওয়ার কারণে। কর আইন, কাস্টমস বিধি বা বিনিয়োগ প্রণোদনার হঠাৎ পরিবর্তন দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ পরিকল্পনাকে নিরুৎসাহিত করে।’

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “জাপান যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা”

নানামুখী চাপে পদত্যাগের হুমকি দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যার প্রেক্ষিতে তার অত্যাসন্ন জাপান সফর নিয়ে ‘শঙ্কা’ দেখা দিয়েছিল। এই অবস্থার মধ্যে সোমবার দুপুরে সফরটির প্রস্তুতি জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে শঙ্কার বিষয়টি সামনে আসে। প্রশ্ন উঠে- প্রধান উপদেষ্টার সফরটি আদৌ হচ্ছে কিনা? জবাব দিতে খানিকটা বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েন সদ্য ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব নেয়া রুহুল আলম সিদ্দিকী। অবশ্য তিনি শেষ পর্যন্ত নিজেকে সামলে নেন। বলেন- সফরটি হচ্ছে। এ নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা বা শঙ্কা নেই। সেই সঙ্গে সফরে ৭টি বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা হওয়ার তথ্যও নিশ্চিত করে গত সপ্তাহে নাটকীয়তার মধ্যদিয়ে সচিবের পদে আসীন হওয়া ওই জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক। কিন্তু তাতেও আশ্বস্ত হতে পারছিলেন অনেকে। তাদের মধ্যে কানাঘুষা ছিল। যার কারণে টোকিও’র কনফার্মেশনটি জরুরি হয়ে পড়ে। অবশ্য জাপান হতাশ করেনি। তারা সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার টোকিও সফরটি নিশ্চিত করেছে এক বার্তায়।

টোকিও’র বার্তায় যা বলা হয়েছে- সোমবার জাপান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৮-৩১শে মে সরকারি সফরে জাপান সফর করবেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সফরকালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়াও নিক্কিই ফোরাম ৩০তম ‘এশিয়ার ভবিষ্যৎ’- শীর্ষক সম্মেলনে যোগ দেবেন।

ঢাকার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত: এদিকে সোমবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার সফর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আহূত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়- অত্যাসন্ন সফরে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সর্বমোট সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। সমঝোতাগুলো হচ্ছে- প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপনে জাপানের জেবিআইসি ঋণ চুক্তি, ওনডা এবং নাকসিসের সঙ্গে বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (এসইজেড) আলাদা দু’টি ভূমি সংক্রান্ত সমঝোতা, ব্যাটারি ও সাইকেল কারখানা স্থাপন নিয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সঙ্গে সমঝোতা, বিডাতে ওএসএস প্রযুক্তি স্থাপন নিয়ে জাইকার সঙ্গে সমঝোতা এবং দক্ষতা ও ভাষা উন্নয়নে মানবসম্পদ বিষয়ক বিএমইটি’র সঙ্গে আলাদা দু’টি সমঝোতা। সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব জানান, টোকিওর কাছে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা চাইবে ঢাকা। সেইসঙ্গে জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী রেলপথ ডুয়ালগেজ ডাবল লাইনে উন্নীতকরণে একচেঞ্জ অফ নোটও সই হতে পারে। টোকিও বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, রোহিঙ্গা ইস্যু, নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে ৩০শে মে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারত্বে রয়েছে। দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকে সার্বিক বিষয়গুলোর ভবিষ্যৎ দিক-নির্দেশনা ঠিক করা হবে। বৈঠকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং বিভিন্ন খাতভিত্তিক সহযোগিতা, বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি ও সাংস্কৃতিক বিনিময়, রোহিঙ্গা ইস্যু, নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুগুলো আলোচনায় থাকবে। স্মরণ করা যায়, ২০২৩ সালে বাংলাদেশকে সাড়ে ২২ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা দিয়েছে জাপান। আগেরবার ঋণের সুদহার ১ দশমিক ৬ শতাংশ, এককালীন ফ্রন্টঅ্যান্ড ফি দশমিক ১ শতাংশ ছিল। ঋণটি ১০ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য। ২০২০ ও ২০২১ সালে জাপান সরকার বাংলাদেশকে সাড়ে ৬৮ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তার ঋণ দিয়েছিল।