এখানে কেউ প্রবেশ করতে চাইলে দ্বারপাল তাকে প্রথমে কতক-গুলি কঠিন কঠিন প্রশ্ন করে। অনেকেই তার উত্তর দিতে না পেরে সরে পড়ে। অপরিচিত ছাত্রদের কঠিন পরীক্ষা করে প্রবেশ করানো হয়।
এখানে বিচারের বিষয়গুলি এত দুরূহ যে, সাধারণতঃ শতকরা ৮০/৯০ জনই প্রবেশ লাভ করতে অক্ষম হয়। আর যারা কৃতকার্য হয় তাদের মধ্যে খুব কম লোকই এখানে খ্যাতি অর্জন করতে পারে।
কিন্তু যাঁরা স্পষ্টতঃ গভীর জ্ঞানী, মানসিক শক্তিশালী, যাঁরা পুণ্যের জ্যোতিতে দীপ্তিমান, যাঁরা দেশ-বিদেশে খ্যাত, তাঁরা এখানকার পূর্বতন মহা-পণ্ডিতদের সংখ্যা বৃদ্ধি করেন। যথা ধর্মপাল, চন্দ্রপাল, যাঁদের উপদেশে আজ পর্যন্ত অবিবেচক সাংসারিক লোকের নিদ্রাভঙ্গ হয়; গুণমতি ও স্থিরমতি, দেশ-বিদেশে যাঁদের অধ্যাপনার সুফল আজও ব্যাপ্ত হচ্ছে; প্রভামিত্র, যাঁর অধ্যাপনা অতি প্রাঞ্জল; বাগ্মী জিনমিত্র; জ্ঞানচন্দ্র, যাঁর ব্যবহার ও কথাবার্তাই তাঁর গুণের প্রকাশক; শীঘ্রবুদ্ধ, শীলভদ্র ও আরও অনেক খ্যাত ব্যক্তি যাঁদের নাম স্মরণ হয় না।
(চলবে)