০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

হিউএনচাঙ (পর্ব-১১৫)

বুদ্ধভদ্র তাই শুনে উচ্চৈঃস্বরে ক্রন্দন করে উঠলেন। তার পর শান্ত হয়ে বললেন, ‘উপাধ্যায় কুড়ি বছরেরও বেশী শূলবেদনায় কষ্ট পেয়েছিলেন। তিন বছর আগে একবার যন্ত্রণা এরকম অসহ্য হয়েছিল যে, তিনি নিজের মৃত্যু ইচ্ছা করেন।

এই সময়ে, তিনি এক রাত্রে স্বপ্ন দেখেন যেন তিন জন দেবতা তাঁর কাছে আবির্ভূত। তাঁদের শরীর সুদর্শন, মুখ মহিমামণ্ডিত আর পরিধানে সুক্ষ্ম উজ্জ্বল বসন। এই তিনজন ছিলেন মঞ্জুশ্রী, অবলোকিতেশ্বর, আর মৈত্রেয়।

এঁরা আবির্ভূত হয়ে তাঁকে আদেশ দিলেন যে, সূত্র ও শাস্ত্র অধ্যাপনা করবার জন্যে তাঁকে বেঁচে থাকতে হবে। আর চীনদেশের একজন ভিক্ষু তাঁর কাছে অধ্যয়ন করতে চান, তাঁকে অধ্যাপনা করতে হবে। সেই থেকে উপাধ্যায়ের ঐ রোগ আর হয় নি।’

ধর্মগুরু এই কাহিনী শুনে আনন্দ রোধ করতে পারলেন না। তিনি আবার প্রণাম করে বললেন, ‘তাই যদি হয় তা হলে আমার উচিত আমার যতদূর সাধ্য আপনার উপদেশ ও আজ্ঞার অনুবর্তী হয়ে চলা। গুরুদেব করুণা করে আমাকে শিষ্যরূপে গ্রহণ করুন।’

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-১১৫)

০৯:০০:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫

বুদ্ধভদ্র তাই শুনে উচ্চৈঃস্বরে ক্রন্দন করে উঠলেন। তার পর শান্ত হয়ে বললেন, ‘উপাধ্যায় কুড়ি বছরেরও বেশী শূলবেদনায় কষ্ট পেয়েছিলেন। তিন বছর আগে একবার যন্ত্রণা এরকম অসহ্য হয়েছিল যে, তিনি নিজের মৃত্যু ইচ্ছা করেন।

এই সময়ে, তিনি এক রাত্রে স্বপ্ন দেখেন যেন তিন জন দেবতা তাঁর কাছে আবির্ভূত। তাঁদের শরীর সুদর্শন, মুখ মহিমামণ্ডিত আর পরিধানে সুক্ষ্ম উজ্জ্বল বসন। এই তিনজন ছিলেন মঞ্জুশ্রী, অবলোকিতেশ্বর, আর মৈত্রেয়।

এঁরা আবির্ভূত হয়ে তাঁকে আদেশ দিলেন যে, সূত্র ও শাস্ত্র অধ্যাপনা করবার জন্যে তাঁকে বেঁচে থাকতে হবে। আর চীনদেশের একজন ভিক্ষু তাঁর কাছে অধ্যয়ন করতে চান, তাঁকে অধ্যাপনা করতে হবে। সেই থেকে উপাধ্যায়ের ঐ রোগ আর হয় নি।’

ধর্মগুরু এই কাহিনী শুনে আনন্দ রোধ করতে পারলেন না। তিনি আবার প্রণাম করে বললেন, ‘তাই যদি হয় তা হলে আমার উচিত আমার যতদূর সাধ্য আপনার উপদেশ ও আজ্ঞার অনুবর্তী হয়ে চলা। গুরুদেব করুণা করে আমাকে শিষ্যরূপে গ্রহণ করুন।’

(চলবে)