অগ্রণী স্কুল ও কলেজ
একনিষ্ঠ থাকলে কীভাবে শূন্য থেকে প্রতিষ্ঠান। গড়ে তোলা যায়, তার উদাহরণ ডা. কাজী আনোয়ারা মনসুর ও অগ্রণী স্কুল ও কলেজ। কাজী আনোয়ারা মনসুর, ইউরোপের মার্গারেট ব্রাডলি ও আমেরিকার রানি শর্টার ১৯৫৪ সাল থেকে ঢাকার উইমেন্স ভলানটারি এসোসিয়েশনে কাজ করতেন। তাঁরা ছিলেন বন্ধু।
একেবারে গরিব পরিবারের শিক্ষা দেওয়ার জন্য এক সময়ে দৈনিক আজাদ অফিসের পাশে এক গলিতে ‘স্কুল’ এর কাজ শুরু করেন। গলির নাম নূর ফাতাহ লেন, বাড়ির নাম ‘ফ্রেন্ডস সেন্টার’। ‘স্কুল’ বৃদ্ধি পেলে তৎকালীন গণপূর্তের চিফ ইঞ্জিনিয়ারি এস এ জব্বারের প্রণোদনায় আজিমপুর এস্টেটে লেডিজ পার্কের জমিতে স্থাপন করলেন আজিমপুর কিন্ডারগার্টেন।
অগ্রণী স্কুলের প্রাথমিক অবস্থায় মুষ্টিমেয় শিক্ষিকাদের সাথে মিসেস মনসুর, ১৯৬০
২০ টাকা দিয়ে প্রকৌশলী রফিকুদ্দিন আহমদের কাছ থেকে দু’টি তাঁবু ও পাশে একটি বেড়ার ঘর নিয়ে স্কুলের কাজ শুরু করেন আনোয়ারা মনসুর। শিক্ষিকা কয়েকজন- নইমুন্নেসা চৌধুরী, রাবেয়া খাতুন, জোবেদা খাতুন, আমেনা কাহার ও হোসনে আরা বেগম।
প্রধান শিক্ষিকা আনোয়ারা মনসুর। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১৪ জন। ২১ জানুয়ারি ১৯৫৭ সালে স্কুলের যাত্রা শুরু। তারপর এই স্কুল হলো প্রাইমারি, এরপর জুনিয়র স্কুলে। তাবু পরিবর্তিত হলো টিনের ঘরে। পরিণত হলো বালিকা বিদ্যালয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদল হলো স্কুলের কাঠামো। বাংলা ভাষা পাঠদানের মাধ্যম হলো। ১৯৬৬ সালে এর নামকরণ করেন স্কুলের শিক্ষিকা রোকেয়া মান্নান। নতুন নাম আজিমপুর অগ্রণী বালিকা বিদ্যালয়, ১৯৬৮ সালে স্কুলের ছাত্রীরা প্রথম মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়।
(চলবে)