সারাক্ষণ ডেস্ক: প্রস্তাবটি – যা কাউন্সিলের ৪৭টি সদস্য রাষ্ট্রের ২৮ টি পক্ষে ভোট দিয়েছে, ছয়টি বিরোধিতা করেছে এবং ১৩ টি ভোট দানে বিরত থেকেছে। এই প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের কোন শীর্ষ অধিকার সংস্থা অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের পক্ষে “সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের এলাকা” চিহ্নিত করে তাদের পক্ষে অবস্থান নিলো।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল শুক্রবার ইসরায়েলের কাছে সমস্ত অস্ত্র বিক্রি বন্ধের দাবি জানিয়েছে এবং গাজার যুদ্ধকে “গণহত্যা” এর বলে সতর্ক করেছে। এই যুদ্ধে ৩৩,০০০ এরও বেশি লোককে হত্যা করা হয়েছে।
জেনেভায় জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত মিরাভ ইলন শাহার এই প্রস্তাবকে “মানবাধিকার কাউন্সিল এবং সমগ্র জাতিসংঘের জন্য একটি দাগ” বলে নিন্দা করেছেন।
দৃঢ় শব্দে লেখা টেক্সটটি “আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের আরও লঙ্ঘন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধ করতে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি, হস্তান্তর এবং পরিবর্তন বন্ধ করার জন্য দেশগুলির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে”।

‘এই গণহত্যা বন্ধ কর’
ভোটের আগে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম মোহাম্মদ খরাইশি এক টেলি কনফারেন্সে কাউন্সিলকে বলেন, “আমাদের সবার জেগে ওঠা উচিৎ এবং এই গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।”
শাহার এদিকে কাউন্সিল সদস্যদের বলেছেন যে “হ্যাঁ একটা ভোট হামাসের পক্ষে একটা ভোট দরকার”।
ইসরাইলের মূল মিত্র ওয়াশিংটন জার্মানি, আর্জেন্টিনা, বুলগেরিয়া, মালাউই এবং প্যারাগুয়ের মতোই ইসরায়েলের না ভোট দেওয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়েছিল।
এদিকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিশেল টেলর সম্মত হয়েছেন যে “এই সংঘর্ষে অনেক বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে এবং প্রতিটি বেসামরিক মৃত্যু একটি ট্র্যাজেডি”, সাথে তিনি এটাও স্বীকার করেছেন যে “ইসরায়েল বেসামরিক ক্ষতি কমানোর জন্য কখনোই যথেষ্ট কাজ করেনি”।
Sarakhon Report 



















