০২:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

চাকরি সৃষ্টিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কর্মসংস্থানই দারিদ্র্য দূর করার সবচেয়ে কার্যকর পথ—বিশ্বব্যাংক গ্রুপ ও এর বেসরকারি শাখা আন্তর্জাতিক অর্থায়ন সংস্থা (আইএফসি) সম্প্রতি এ-কথা আবার তুলে ধরেছে। তাদের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আগামী দশকে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করবে, কিন্তু নতুন করে সৃষ্টি হবে মাত্র ৪২০ মিলিয়ন চাকরি। এই ফাঁক পূরণে তারা তিনটি সমন্বিত পদক্ষেপ এবং চারটি আন্তঃসংযুক্ত কৌশলের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে।

বৈশ্বিক কর্মসংস্থান সঙ্কট

বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, তরুণদের জন্য পর্যাপ্ত চাকরি সৃষ্টি না-হলে দারিদ্র্য ও বৈষম্য আরও বেড়ে যেতে পারে। কর্মসংস্থান শুধু আয় নয়, মানুষের মর্যাদা ও জীবনের লক্ষ্যও নির্ধারণ করে; পরিবারের ভরণপোষণ নিশ্চিত হলে পুরো সম্প্রদায় অর্থনৈতিক স্থিতি পায়।

বিশ্বব্যাংক গ্রুপের তিন দফা কর্মপন্থা

অবকাঠামোগত ভিত্তি গড়ে তোলা

আইবিআরডি ও আইডিএ বিনিয়োগের মাধ্যমে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও মৌলিক সেবাখাতে টেকসই অবকাঠামো তৈরি করা।

নিয়ন্ত্রণ কাঠামোয় পূর্বানুমানযোগ্যতা

ব্যবসার পরিবেশ সহজ করতে সরকারের সঙ্গে কাজ করে স্বচ্ছ ও স্থিতিশীল নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

বেসরকারি পুঁজি সক্রিয়করণ

বেসরকারি অর্থায়নকে উৎসাহিত করে নতুন ব্যবসা ও শ্রমের চাহিদা বাড়ানো।

আইএফসি-র চার কৌশল

বেসরকারি খাতভিত্তিক শাখা হিসেবে আইএফসি বিশেষভাবে জোর দিচ্ছে—

  • বৃহৎ পরিসরে বেসরকারি পুঁজি আহরণের সক্ষমতা বাড়ানো,
  • উচ্চ প্রবৃদ্ধিশীল খাতে ইকুইটি বিনিয়োগ বাড়ানো,
  • কর্মসংস্থাননির্ভর ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি (এমএসএমই) প্রতিষ্ঠানকে বাড়তি সহায়তা,
  • নিজেদের কার্যক্রম ঢেলে সাজিয়ে সর্বোচ্চ উন্নয়ন প্রভাব নিশ্চিত করা।

Jobs: The Surest Way to Fight Poverty and Unlock Prosperity

টার্গেট খাত: যেখানে সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি

উচ্চ সম্ভাবনাময় অবকাঠামো, কৃষি-ব্যবসা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, পর্যটন ও মূল্য সংযোজিত উৎপাদন—এই খাতগুলোতে বিনিয়োগ কেন্দ্রীভূত করবে আইএফসি। লক্ষ্য, এমন জায়গায় পুঁজি প্রবাহিত করা যেখানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টির সম্ভাবনা সর্বোচ্চ এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ ত্বরান্বিত হয়।

সামনে কী

বিশ্বব্যাংক গ্রুপ বলছে, অভিযোজনমুখী এই কৌশল সফল হলে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কর্মসংস্থানের শূন্যতা অনেকটাই কমবে, একই সঙ্গে দারিদ্র্য হ্রাস ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হবে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, লক্ষ্য পূরণে প্রতিটি দেশের নীতি-সহযোগিতা ও দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নও সমান গুরুত্বপূর্ণ থাকবে।

চাকরি সৃষ্টিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

০৩:৪২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

কর্মসংস্থানই দারিদ্র্য দূর করার সবচেয়ে কার্যকর পথ—বিশ্বব্যাংক গ্রুপ ও এর বেসরকারি শাখা আন্তর্জাতিক অর্থায়ন সংস্থা (আইএফসি) সম্প্রতি এ-কথা আবার তুলে ধরেছে। তাদের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আগামী দশকে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করবে, কিন্তু নতুন করে সৃষ্টি হবে মাত্র ৪২০ মিলিয়ন চাকরি। এই ফাঁক পূরণে তারা তিনটি সমন্বিত পদক্ষেপ এবং চারটি আন্তঃসংযুক্ত কৌশলের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে।

বৈশ্বিক কর্মসংস্থান সঙ্কট

বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, তরুণদের জন্য পর্যাপ্ত চাকরি সৃষ্টি না-হলে দারিদ্র্য ও বৈষম্য আরও বেড়ে যেতে পারে। কর্মসংস্থান শুধু আয় নয়, মানুষের মর্যাদা ও জীবনের লক্ষ্যও নির্ধারণ করে; পরিবারের ভরণপোষণ নিশ্চিত হলে পুরো সম্প্রদায় অর্থনৈতিক স্থিতি পায়।

বিশ্বব্যাংক গ্রুপের তিন দফা কর্মপন্থা

অবকাঠামোগত ভিত্তি গড়ে তোলা

আইবিআরডি ও আইডিএ বিনিয়োগের মাধ্যমে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও মৌলিক সেবাখাতে টেকসই অবকাঠামো তৈরি করা।

নিয়ন্ত্রণ কাঠামোয় পূর্বানুমানযোগ্যতা

ব্যবসার পরিবেশ সহজ করতে সরকারের সঙ্গে কাজ করে স্বচ্ছ ও স্থিতিশীল নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

বেসরকারি পুঁজি সক্রিয়করণ

বেসরকারি অর্থায়নকে উৎসাহিত করে নতুন ব্যবসা ও শ্রমের চাহিদা বাড়ানো।

আইএফসি-র চার কৌশল

বেসরকারি খাতভিত্তিক শাখা হিসেবে আইএফসি বিশেষভাবে জোর দিচ্ছে—

  • বৃহৎ পরিসরে বেসরকারি পুঁজি আহরণের সক্ষমতা বাড়ানো,
  • উচ্চ প্রবৃদ্ধিশীল খাতে ইকুইটি বিনিয়োগ বাড়ানো,
  • কর্মসংস্থাননির্ভর ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি (এমএসএমই) প্রতিষ্ঠানকে বাড়তি সহায়তা,
  • নিজেদের কার্যক্রম ঢেলে সাজিয়ে সর্বোচ্চ উন্নয়ন প্রভাব নিশ্চিত করা।

Jobs: The Surest Way to Fight Poverty and Unlock Prosperity

টার্গেট খাত: যেখানে সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি

উচ্চ সম্ভাবনাময় অবকাঠামো, কৃষি-ব্যবসা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, পর্যটন ও মূল্য সংযোজিত উৎপাদন—এই খাতগুলোতে বিনিয়োগ কেন্দ্রীভূত করবে আইএফসি। লক্ষ্য, এমন জায়গায় পুঁজি প্রবাহিত করা যেখানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টির সম্ভাবনা সর্বোচ্চ এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ ত্বরান্বিত হয়।

সামনে কী

বিশ্বব্যাংক গ্রুপ বলছে, অভিযোজনমুখী এই কৌশল সফল হলে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কর্মসংস্থানের শূন্যতা অনেকটাই কমবে, একই সঙ্গে দারিদ্র্য হ্রাস ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হবে। তবে বিশ্লেষকদের মতে, লক্ষ্য পূরণে প্রতিটি দেশের নীতি-সহযোগিতা ও দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নও সমান গুরুত্বপূর্ণ থাকবে।