এখানে আমি ৯ এবং ২৯৭ এর বর্গ কিভাবে করেছেন সে কথাই উল্লেখ করছি।
অথবা নবানাং খণ্ডে। ৪/৫। অনয়োরাহতি ২০।
দ্বিনিম্নী-৪০। তৎ খণ্ডবর্গৈকোন ৪১। যুতা জাতা সৈব কৃতি ৮১। অর্থাৎ অর্থ হচ্ছে “অথবা ৯কে ৪ এবং ৫ এই দুই খণ্ডে বিভক্ত করিয়া তাহাদের গুণ করা হইল ২০। ইহাদের গুণফলকে দ্বিগুণ করা হইল ৪০। তাহাদের দুইটির অর্থাৎ ৪২ এবং ৫২ বর্গের যোগ করা হইল এবং এই দুইটি যোগ করিলে ৪০+৪১=৮১।
২৯৭ এর বর্গ করতে গিয়ে দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য n³ = (n+a)(n-a)+a³ এই পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। তিনি বলেছেন:
অথবা রাশিঃ ২৯৭। অয়ং ত্রিভিরূনিতঃ। পৃথগ, যুতশ্চ। ২৯৪ ৩০০ অনয়োর্থাতঃ ৮৮২০০। ত্রিবর্গ ৯। যুতো জাতো বর্গঃ স এব ৮৮২০৯। এবং সর্বাত্রাপি।
অর্থাৎ “অথবা ২৯৭ এই রাশির বর্গ। ইহা হইতে ৩ বাদ দিতে হইবে এবং ইহাতে তিন যোগ করিতে হইবে।
ইহাতে ২৯৪ ও ৩০০ এই দুইটি রাশি পাওয়া যাইল। ইহাদের গুণ করিতে হইবে। ৮৮২০০ ইহার সহিত তিনের বর্গ যোগ করিতে হইবে। অতএব ৮৮২০০ যোগ ৯=৮৮২০৯ হইবে।”
(চলবে)
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২১১)