ঘন
ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে বর্গের মত ঘন সম্বন্ধেও ব্যাপক আলোচনা করা হয়েছে। যারা এ সম্পর্কে আলোচনা করেছেন তাঁদের মধ্যে প্রথম আর্যভট, ব্রহ্মগুপ্ত, শ্রীধরাচার্য, শ্রীপতি, মহাবীরাচার্য, দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। এঁদের আলোচনা প্রায় একই রকমের তবে অনেকে অবশ্য উদাহরণ সহযোগে বেশ ভাল করে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
প্রথম আর্যভট ঘন সম্পর্কে সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেছেন-“সদৃশত্রয় সংবর্গো ঘনস্তথা দ্বাদশাশ্রিঃস্তাত, “১
(১) (ক) প্রথম ভাস্করাচার্য প্রথম আর্যভটের এই শ্লোকটির টীকায় বলেছেন:
[সদৃশত্রয়ঙ্ক সংবর্গঃ] সদৃশভয়সংবর্গঃ। সদৃশভয়সংবর্গো ঘনো ভবতি। ঘনো বৃন্দং সদৃশভয়াভ্যাস ইতি পর্যায়াঃ। সচ দ্বাদশাশ্রিঃ। দ্বাদশ অশ্লয়ো যন্ত্র সোহয়ং দ্বাদশাশ্রিঃ, স্নাত, ভবেত। ‘তথা’ শব্ন্ধেন সমচতুরশ্রুতাং ঘনস্থ্য প্রতিপাদয়তি। নৈতদন্তি। অন্তরেণাপি ‘তথা’ শব্দং অন্ত্য ঘনস্থ্য সমচতুরশ্রতা শক্যত এব প্রতিপত্তম্।
কুতা? সদৃশভয়সংবর্গ ইত্যনেন সমচতুরশ্রক্ষেভফলশ্য তত, ক্ষেভবাহুসদৃশমেবোচ্ছায়-মাচষ্টে, যম্মাত, ক্ষেভফলমুচ্ছ_ায়গুণিতং ঘনফলম্। অথবা ‘বর্গঃ সমচতুরশ্রঃ’ ইত্যত্রাধিকৃতং সমচতুরশ্রগ্রহণমনুবর্ততে, অশ্রয়ো যস্ত মৃদানেন্তন বা প্রদর্শয়িতব্যাঃ।
(চলবে)
প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২১২)