১২:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

ফল উৎসব ১৪৩২: গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের পুষ্টি ও দেশীয় ফলের সঙ্গে পরিচয়

নয়নপুরে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হলো ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফল উৎসব

২১ জুন ২০২৫, গাজীপুর: গাজীপুর সদর উপজেলার নয়নপুরে ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কচি-কাঁচা একাডেমি এবং নয়নপুর এনএস আদর্শ বিদ্যালয়ের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ফল উৎসব ১৪৩২। এবার ছিল এই উৎসবের ষষ্ঠ বর্ষ।

“নিয়মিত খেলে ফল, দেহ মনে বাড়বে বল”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের দেশি ফলের সঙ্গে পরিচিত করা এবং এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা।

গ্রীষ্মে ফলের তাৎপর্য তুলে ধরা

মধুমাস জ্যৈষ্ঠে যখন প্রচণ্ড গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ, ঠিক তখনই প্রকৃতির উপহার হিসেবে আসে বাহারি ফলের সমাহার। এই সময়ে পাওয়া বিভিন্ন দেশি ফলে যেমন আছে পানির প্রাচুর্য, তেমনি আছে শরীর ঠান্ডা রাখার ক্ষমতা, রোগ প্রতিরোধে সহায়ক পুষ্টিগুণ ও খনিজ উপাদান।

উৎসবে বক্তারা বলেন, ফল শুধু খাবার নয়—এটি সুস্বাস্থ্য ও সুস্থ জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ফল অন্তর্ভুক্ত করা গেলে শিশু-কিশোরদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকগুণ বেড়ে যায়।

উদ্বোধন ও উপস্থিত অতিথিবৃন্দ

উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন গাজীপুর সদর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জনাব আজিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটি’র সদস্য সচিব ও প্রধান নির্বাহী হায়দার সিদ্দিকী উদয়, সংশ্লিষ্ট তিন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

৭০ প্রজাতির ফল প্রদর্শনী ও খাওয়ানো

এবারের ফল উৎসবে ৭০ প্রজাতির দেশি ও বিদেশি ফল প্রদর্শিত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল:
আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, কলা, জামরুল, ডেউয়া, ডেফল, করমচা, তেঁতুল, লটকন, আনারস, পেঁপে, আঁখ, তাল, বেল, লেবু, খেজুর, বাঙ্গি, জাম্বুরা, অরবরই, আঙুর, ডাব, ডালিম, কামরাঙা, সফেদা, কমলা, মালটা, আপেল, দাতই, বিলম্ব, আঁতা, চালতা, গাব, চেরি, কাঠবাদাম, ফেলা ফল, চাম্বল কাঁঠাল, কদবেল, আমড়া, আমলকি, জলপাই, হরতকি, তরমুজ, বরই এবং ড্রাগন ফল।

শিক্ষার্থীরা শুধু ফল দেখেই ক্ষান্ত হয়নি; তাদের প্রতিটি ফল কেটে খাওয়ানো হয়, যাতে তারা এর স্বাদ ও গুণাগুণ সরাসরি অনুধাবন করতে পারে।

সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান

অনুষ্ঠান সভাপতি হায়দার সিদ্দিকী উদয় বলেন, “শুধু বিদেশি ফল নয়, আমাদের দেশি ফলেই রয়েছে বিপুল পুষ্টিগুণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশীয় ফল খাওয়ার আগ্রহ বাড়ানো ও তাদের প্রতিদিন অন্তত একটি করে ফল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা।”

তিনি আরও বলেন, “এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের খাদ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”

0-3048×4064-0-0-{}-0-12#

প্রতিবছরের ধারাবাহিক আয়োজন

উল্লেখ্য, ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটি প্রতিবছর নিয়মিতভাবে মৌসুমি ফল উৎসবের আয়োজন করে থাকে। এই উৎসব শুধু একটি সাংস্কৃতিক বা ভোজনরসিক আয়োজন নয়; বরং এটি একটি স্বাস্থ্যসচেতন ও পুষ্টিনির্ভর উদ্যোগ।

ফল উৎসব ১৪৩২: গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের পুষ্টি ও দেশীয় ফলের সঙ্গে পরিচয়

০৪:২০:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

নয়নপুরে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হলো ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফল উৎসব

২১ জুন ২০২৫, গাজীপুর: গাজীপুর সদর উপজেলার নয়নপুরে ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কচি-কাঁচা একাডেমি এবং নয়নপুর এনএস আদর্শ বিদ্যালয়ের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ফল উৎসব ১৪৩২। এবার ছিল এই উৎসবের ষষ্ঠ বর্ষ।

“নিয়মিত খেলে ফল, দেহ মনে বাড়বে বল”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের দেশি ফলের সঙ্গে পরিচিত করা এবং এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা।

গ্রীষ্মে ফলের তাৎপর্য তুলে ধরা

মধুমাস জ্যৈষ্ঠে যখন প্রচণ্ড গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ, ঠিক তখনই প্রকৃতির উপহার হিসেবে আসে বাহারি ফলের সমাহার। এই সময়ে পাওয়া বিভিন্ন দেশি ফলে যেমন আছে পানির প্রাচুর্য, তেমনি আছে শরীর ঠান্ডা রাখার ক্ষমতা, রোগ প্রতিরোধে সহায়ক পুষ্টিগুণ ও খনিজ উপাদান।

উৎসবে বক্তারা বলেন, ফল শুধু খাবার নয়—এটি সুস্বাস্থ্য ও সুস্থ জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ফল অন্তর্ভুক্ত করা গেলে শিশু-কিশোরদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকগুণ বেড়ে যায়।

উদ্বোধন ও উপস্থিত অতিথিবৃন্দ

উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন গাজীপুর সদর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জনাব আজিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটি’র সদস্য সচিব ও প্রধান নির্বাহী হায়দার সিদ্দিকী উদয়, সংশ্লিষ্ট তিন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

৭০ প্রজাতির ফল প্রদর্শনী ও খাওয়ানো

এবারের ফল উৎসবে ৭০ প্রজাতির দেশি ও বিদেশি ফল প্রদর্শিত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল:
আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, কলা, জামরুল, ডেউয়া, ডেফল, করমচা, তেঁতুল, লটকন, আনারস, পেঁপে, আঁখ, তাল, বেল, লেবু, খেজুর, বাঙ্গি, জাম্বুরা, অরবরই, আঙুর, ডাব, ডালিম, কামরাঙা, সফেদা, কমলা, মালটা, আপেল, দাতই, বিলম্ব, আঁতা, চালতা, গাব, চেরি, কাঠবাদাম, ফেলা ফল, চাম্বল কাঁঠাল, কদবেল, আমড়া, আমলকি, জলপাই, হরতকি, তরমুজ, বরই এবং ড্রাগন ফল।

শিক্ষার্থীরা শুধু ফল দেখেই ক্ষান্ত হয়নি; তাদের প্রতিটি ফল কেটে খাওয়ানো হয়, যাতে তারা এর স্বাদ ও গুণাগুণ সরাসরি অনুধাবন করতে পারে।

সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান

অনুষ্ঠান সভাপতি হায়দার সিদ্দিকী উদয় বলেন, “শুধু বিদেশি ফল নয়, আমাদের দেশি ফলেই রয়েছে বিপুল পুষ্টিগুণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এই উৎসবের মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশীয় ফল খাওয়ার আগ্রহ বাড়ানো ও তাদের প্রতিদিন অন্তত একটি করে ফল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা।”

তিনি আরও বলেন, “এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের খাদ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”

0-3048×4064-0-0-{}-0-12#

প্রতিবছরের ধারাবাহিক আয়োজন

উল্লেখ্য, ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটি প্রতিবছর নিয়মিতভাবে মৌসুমি ফল উৎসবের আয়োজন করে থাকে। এই উৎসব শুধু একটি সাংস্কৃতিক বা ভোজনরসিক আয়োজন নয়; বরং এটি একটি স্বাস্থ্যসচেতন ও পুষ্টিনির্ভর উদ্যোগ।