রক্তমৃত্তিকা সঙ্ঘারাম সম্বন্ধে হিউএনচাঙ একটি কাহিনী বলেছেন। দক্ষিণভারত থেকে এক দাম্ভিক গুণ্ডাজাতীয় পণ্ডিত কর্ণসুবর্ণতে এসেছিল।
পেট ভতি বিঘ্নার চাপে পেট যাতে ফেটে না যায়, সেইজন্তে পেটের উপর সে একটা তামার থালা বেঁধে রাখত। আর দুনিয়ার নিবুদ্ধি বোকা লোককে আলো দেখাবার জন্যে মাথায় একটি প্রদীপ নিয়ে বেড়াত।
এই সময়ে দক্ষিণভারত থেকেই একজন শ্রমণ শহরে আসেন। রাজা ঐ দাম্ভিককে আর সহ্য করতে না পেরে বললেন যে, শ্রমণ যদি দাম্ভিক পণ্ডিতকে তর্কে হারাতে পারেন, তা হলে তিনি একটা সঙ্ঘারাম স্থাপন করবেন। বলা বাহুল্য, শ্রমণেরই জিত হয়েছিল।
গৌড়েশ্বর রাজা শশাঙ্ক শৈব ছিলেন আর হিউএনচাঙের পরম মিত্র হর্ষবর্ধনের শত্রু ছিলেন। হিউএনচাও শশাঙ্ককে ঘোর বৌদ্ধ-বিদ্বেষী বলেছেন। এমন কি তিনি বলেন, শশাঙ্ক বোধিদ্রুম সমূলে উৎপাটিত করবার চেষ্টা করেছিলেন।
কিন্তু হিউএনচাও নিজেই শশাঙ্কের রাজধানী কর্ণসুবর্ণ আর তাঁর রাজ্যের অন্তান্তর স্থানের (পুণ্ড্রবর্ধন, সমতট ইত্যাদি) যে বিবরণ দিয়েছেন তাতে শশাঙ্কের বৌদ্ধবিদ্বেষ সম্বন্ধে সন্দেহ থেকে যায়।
(চলবে)
হিউএনচাঙ (পর্ব-১২৫)
সত্যেন্দ্রকুমার বসু 



















