০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
২০২৯-এ ফিরছে অ্যানিমেটেড হিট ‘কে-পপ ডেমন হান্টার্স’ ‘টাইটানিক’-এর নেপথ্যের গল্প: চলচ্চিত্র প্রযোজকের স্মৃতিচারণ অভিষেক শর্মার রেকর্ড গড়া ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জয় ভারতের জেন জি এখন সুগন্ধি খুঁজছে আলোকে শিল্পে রূপ দেওয়া লিন্ডসি অ্যাডেলম্যান পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ ‘ইনল্যান্ড টাইপ্যান’: প্রাণঘাতী বিষ, শান্ত স্বভাবের এই সরীসৃপের অজানা বিস্ময় কুমিল্লায় দায়িত্ব পালনকালে অসুস্থ হয়ে পুলিশের মৃত্যু রবিবার থেকে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা ভিয়েতনামী ঔপন্যাসিক ড. ফান কুয়ে মাই শারজাহ বইমেলায় পাঠকদের মুগ্ধ করলেন মংলায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ প্রবাসী নারী পর্যটক

হিউএনচাঙ (পর্ব-১২৬)

রক্তমৃত্তিকা সঙ্ঘারাম সম্বন্ধে হিউএনচাঙ একটি কাহিনী বলেছেন। দক্ষিণভারত থেকে এক দাম্ভিক গুণ্ডাজাতীয় পণ্ডিত কর্ণসুবর্ণতে এসেছিল।

পেট ভতি বিঘ্নার চাপে পেট যাতে ফেটে না যায়, সেইজন্তে পেটের উপর সে একটা তামার থালা বেঁধে রাখত। আর দুনিয়ার নিবুদ্ধি বোকা লোককে আলো দেখাবার জন্যে মাথায় একটি প্রদীপ নিয়ে বেড়াত।

এই সময়ে দক্ষিণভারত থেকেই একজন শ্রমণ শহরে আসেন। রাজা ঐ দাম্ভিককে আর সহ্য করতে না পেরে বললেন যে, শ্রমণ যদি দাম্ভিক পণ্ডিতকে তর্কে হারাতে পারেন, তা হলে তিনি একটা সঙ্ঘারাম স্থাপন করবেন। বলা বাহুল্য, শ্রমণেরই জিত হয়েছিল।

গৌড়েশ্বর রাজা শশাঙ্ক শৈব ছিলেন আর হিউএনচাঙের পরম মিত্র হর্ষবর্ধনের শত্রু ছিলেন। হিউএনচাও শশাঙ্ককে ঘোর বৌদ্ধ-বিদ্বেষী বলেছেন। এমন কি তিনি বলেন, শশাঙ্ক বোধিদ্রুম সমূলে উৎপাটিত করবার চেষ্টা করেছিলেন।

কিন্তু হিউএনচাও নিজেই শশাঙ্কের রাজধানী কর্ণসুবর্ণ আর তাঁর রাজ্যের অন্তান্তর স্থানের (পুণ্ড্রবর্ধন, সমতট ইত্যাদি) যে বিবরণ দিয়েছেন তাতে শশাঙ্কের বৌদ্ধবিদ্বেষ সম্বন্ধে সন্দেহ থেকে যায়।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-১২৫)

হিউএনচাঙ (পর্ব-১২৫)

 

জনপ্রিয় সংবাদ

২০২৯-এ ফিরছে অ্যানিমেটেড হিট ‘কে-পপ ডেমন হান্টার্স’

হিউএনচাঙ (পর্ব-১২৬)

০৯:০০:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

রক্তমৃত্তিকা সঙ্ঘারাম সম্বন্ধে হিউএনচাঙ একটি কাহিনী বলেছেন। দক্ষিণভারত থেকে এক দাম্ভিক গুণ্ডাজাতীয় পণ্ডিত কর্ণসুবর্ণতে এসেছিল।

পেট ভতি বিঘ্নার চাপে পেট যাতে ফেটে না যায়, সেইজন্তে পেটের উপর সে একটা তামার থালা বেঁধে রাখত। আর দুনিয়ার নিবুদ্ধি বোকা লোককে আলো দেখাবার জন্যে মাথায় একটি প্রদীপ নিয়ে বেড়াত।

এই সময়ে দক্ষিণভারত থেকেই একজন শ্রমণ শহরে আসেন। রাজা ঐ দাম্ভিককে আর সহ্য করতে না পেরে বললেন যে, শ্রমণ যদি দাম্ভিক পণ্ডিতকে তর্কে হারাতে পারেন, তা হলে তিনি একটা সঙ্ঘারাম স্থাপন করবেন। বলা বাহুল্য, শ্রমণেরই জিত হয়েছিল।

গৌড়েশ্বর রাজা শশাঙ্ক শৈব ছিলেন আর হিউএনচাঙের পরম মিত্র হর্ষবর্ধনের শত্রু ছিলেন। হিউএনচাও শশাঙ্ককে ঘোর বৌদ্ধ-বিদ্বেষী বলেছেন। এমন কি তিনি বলেন, শশাঙ্ক বোধিদ্রুম সমূলে উৎপাটিত করবার চেষ্টা করেছিলেন।

কিন্তু হিউএনচাও নিজেই শশাঙ্কের রাজধানী কর্ণসুবর্ণ আর তাঁর রাজ্যের অন্তান্তর স্থানের (পুণ্ড্রবর্ধন, সমতট ইত্যাদি) যে বিবরণ দিয়েছেন তাতে শশাঙ্কের বৌদ্ধবিদ্বেষ সম্বন্ধে সন্দেহ থেকে যায়।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-১২৫)

হিউএনচাঙ (পর্ব-১২৫)