১১:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২১৬)

অর্থাৎ সমরাশিকে সমরাশি দ্বারা তিনবার গুণ করিলে ঘন পাওয়া যায়। শেষ রাশির ঘন বাহির করিয়া রাখিতে হইবে। তাহার পর, শেষ রাশির বর্গ প্রথম রাশির তিনগুণের দ্বারা গুণ করিতে হইবে। তারপর প্রথম রাশির বর্গ তিন গুণ করিয়া শেষে রাখিতে হইবে এবং শেষে প্রথম রাশির ঘন লইতে হইবে।

এইগুলি সমস্ত যোগ করিতে হইবে; সেই সংখ্যাটিকে দুইটি ভাগ করিয়া একটিকে শেষে রাখিতে হইবে। এইভাবে পুনঃ পুনঃ করিতে হইবে। অথবা এই নিয়ম রাশির প্রথম স্থানটিকে লইতে হইবে ঘন বা বর্গ বাহির করিবার জন্য।

অথবা সেই সংখ্যার তিন গুণকে ইহার দুইটি খণ্ডের দ্বারা গুণ করিতে হইবে। ঐ খণ্ডগুলির ঘন বাহির করিয়া যোগ করিতে হইবে। অথবা নির্দিষ্ট সংখ্যার বর্গমূলকে ঘন করিতে হইবে, পরে উহাই বর্গমূলের ঘনবর্গ হইবে।

এই প্রসঙ্গে দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য সুন্দর উদাহরণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন:

নবঘনং ত্রিঘনশ্চ ঘনং তথা কথয় পঞ্চ ঘনস্থ্য ঘনঞ্চমে।
ঘনপদঞ্চ ততোহপি ঘনাৎ সখেযথদি ঘনেহস্তি ঘনা ভবতো মতিঃ।

অর্থাৎ হে সথে যদি তোমার ঘন সম্বন্ধে সেরূপ বুদ্ধি থাকে, তাহলে বল ৯ এর ঘন কত? তিনের ঘনের ঘন কত? পাঁচের ঘনের ঘন কত? এবং সেই ঘনগুলির ঘন কত। উল্লেখযোগ্য এই উদাহরণটির মধ্যে সূচক প্রকরণের ইঙ্গিত বহন করছে।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২১৫)

 

 

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২১৫)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২১৬)

০৩:৩৭:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

অর্থাৎ সমরাশিকে সমরাশি দ্বারা তিনবার গুণ করিলে ঘন পাওয়া যায়। শেষ রাশির ঘন বাহির করিয়া রাখিতে হইবে। তাহার পর, শেষ রাশির বর্গ প্রথম রাশির তিনগুণের দ্বারা গুণ করিতে হইবে। তারপর প্রথম রাশির বর্গ তিন গুণ করিয়া শেষে রাখিতে হইবে এবং শেষে প্রথম রাশির ঘন লইতে হইবে।

এইগুলি সমস্ত যোগ করিতে হইবে; সেই সংখ্যাটিকে দুইটি ভাগ করিয়া একটিকে শেষে রাখিতে হইবে। এইভাবে পুনঃ পুনঃ করিতে হইবে। অথবা এই নিয়ম রাশির প্রথম স্থানটিকে লইতে হইবে ঘন বা বর্গ বাহির করিবার জন্য।

অথবা সেই সংখ্যার তিন গুণকে ইহার দুইটি খণ্ডের দ্বারা গুণ করিতে হইবে। ঐ খণ্ডগুলির ঘন বাহির করিয়া যোগ করিতে হইবে। অথবা নির্দিষ্ট সংখ্যার বর্গমূলকে ঘন করিতে হইবে, পরে উহাই বর্গমূলের ঘনবর্গ হইবে।

এই প্রসঙ্গে দ্বিতীয় ভাস্করাচার্য সুন্দর উদাহরণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন:

নবঘনং ত্রিঘনশ্চ ঘনং তথা কথয় পঞ্চ ঘনস্থ্য ঘনঞ্চমে।
ঘনপদঞ্চ ততোহপি ঘনাৎ সখেযথদি ঘনেহস্তি ঘনা ভবতো মতিঃ।

অর্থাৎ হে সথে যদি তোমার ঘন সম্বন্ধে সেরূপ বুদ্ধি থাকে, তাহলে বল ৯ এর ঘন কত? তিনের ঘনের ঘন কত? পাঁচের ঘনের ঘন কত? এবং সেই ঘনগুলির ঘন কত। উল্লেখযোগ্য এই উদাহরণটির মধ্যে সূচক প্রকরণের ইঙ্গিত বহন করছে।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২১৫)

 

 

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-২১৫)