০৪:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ হাইকমিশনে ভাঙচুরের চেষ্টা হয়নি: ভারতের দাবি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মব ভায়োলেন্সে সন্দেহভাজন চোরের মৃত্যু, চারজন আটক দুটি গণমাধ্যমে হামলা ও মবতন্ত্রের উত্থান জাতির জন্য লজ্জা: সালাহউদ্দিন ঘরেই রক্তাক্ত মৃত্যু, গলা কাটা অবস্থায় কৃষকের মরদেহ উদ্ধার এআই উন্মাদনায় বাজারের ভেতরের সতর্ক সংকেত, শর্ট বিক্রেতারা কোথায় বাজি ধরছেন ট্রাম্প অনিশ্চয়তায় এশিয়া: দক্ষিণ কোরিয়ার চোখে নিঃসঙ্গ ও কঠিন ভবিষ্যৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে হাতের কাজের ভবিষ্যৎ নিরাপদ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে দৌড়—এল ফাশার দখলের পর সুদানে গণপলায়ন এশিয়াকে বেঁধে রাখা কালো স্রোত: কুরোশিও যেভাবে ইতিহাস, সংস্কৃতি আর জলবায়ু গড়ে তুলেছে ইউরোপে খাবারের যুদ্ধ: কার্বোনারার প্লেট ঘিরে নতুন জাতীয়তাবাদ

ইরানি তেল পাচারকারীদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইরানের তেল বিক্রি থেকে পাওয়া আয় বন্ধ করে সন্ত্রাসে অর্থ জোগান ও ঘরোয়া দমননীতি ঠেকাতে আরও কঠোর হয়েছে। ৩ জুলাই ২০২৫-এর ঘোষণায় ছয়টি প্রতিষ্ঠান ও চারটি জাহাজকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে, কারণ তারা ইরানের পেট্রোলিয়াম, পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্য ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কেনাবেচা, পরিবহন বা বিপণনে উল্লেখযোগ্য লেনদেনে জড়িত।

কারা নিষেধাজ্ঞার আওতায়:
একাধিক তেল-পাচার নেটওয়ার্ক চিহ্নিত হয়েছে, যেগুলো মিলিয়ে বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের ইরানি তেল পরিবহন ও ক্রয় করেছে। এর মধ্যে ইরাকি ব্যবসায়ী সালিম আহমেদ সাঈদ পরিচালিত কোম্পানি-চক্রটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য; তারা ইরানি তেলকে ইরাকি তেল হিসেবে চালিয়ে বা মিশিয়ে বিপণন করে বিপুল মুনাফা করেছে। পাশাপাশি, ছায়া-নৌবহরের কয়েকটি জাহাজও গোপনে ইরানি তেল সরবরাহে যুক্ত থাকার দায়ে কালো তালিকাভুক্ত হয়েছে।

আইনি ভিত্তি:
নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে নির্বাহী আদেশ ১৩৮৪৬, ১৩৯০২ এবং সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী নির্বাহী আদেশ ১৩২২৪ (সংশোধিত) অনুযায়ী। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ জারি হওয়া ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম-২’ (NSPM-2)-এর পর এটি দশম দফা নিষেধাজ্ঞা, যা ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ বাড়ানোর কৌশলকে এগিয়ে নিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণা:
ওয়াশিংটন স্পষ্ট করে জানিয়েছে—ইরানের অবৈধ তেল বাণিজ্যে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে সব ধরনের হাতিয়ার ব্যবহার করতে তারা পিছপা হবে না। লক্ষ্য একটাই: তেল-আয়ের উৎস শুকিয়ে দিয়ে তেহরানের অস্থিতিশীল তৎপরতা ও সন্ত্রাসী মদত বন্ধ করা।

তথ্যসূত্র:
বিস্তারিত তালিকা ও আর্থিক নিষেধাজ্ঞার বিবরণ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ (Treasury) প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পাওয়া যাবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ হাইকমিশনে ভাঙচুরের চেষ্টা হয়নি: ভারতের দাবি

ইরানি তেল পাচারকারীদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

১০:০০:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইরানের তেল বিক্রি থেকে পাওয়া আয় বন্ধ করে সন্ত্রাসে অর্থ জোগান ও ঘরোয়া দমননীতি ঠেকাতে আরও কঠোর হয়েছে। ৩ জুলাই ২০২৫-এর ঘোষণায় ছয়টি প্রতিষ্ঠান ও চারটি জাহাজকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে, কারণ তারা ইরানের পেট্রোলিয়াম, পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্য ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কেনাবেচা, পরিবহন বা বিপণনে উল্লেখযোগ্য লেনদেনে জড়িত।

কারা নিষেধাজ্ঞার আওতায়:
একাধিক তেল-পাচার নেটওয়ার্ক চিহ্নিত হয়েছে, যেগুলো মিলিয়ে বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের ইরানি তেল পরিবহন ও ক্রয় করেছে। এর মধ্যে ইরাকি ব্যবসায়ী সালিম আহমেদ সাঈদ পরিচালিত কোম্পানি-চক্রটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য; তারা ইরানি তেলকে ইরাকি তেল হিসেবে চালিয়ে বা মিশিয়ে বিপণন করে বিপুল মুনাফা করেছে। পাশাপাশি, ছায়া-নৌবহরের কয়েকটি জাহাজও গোপনে ইরানি তেল সরবরাহে যুক্ত থাকার দায়ে কালো তালিকাভুক্ত হয়েছে।

আইনি ভিত্তি:
নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে নির্বাহী আদেশ ১৩৮৪৬, ১৩৯০২ এবং সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী নির্বাহী আদেশ ১৩২২৪ (সংশোধিত) অনুযায়ী। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ জারি হওয়া ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম-২’ (NSPM-2)-এর পর এটি দশম দফা নিষেধাজ্ঞা, যা ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ বাড়ানোর কৌশলকে এগিয়ে নিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণা:
ওয়াশিংটন স্পষ্ট করে জানিয়েছে—ইরানের অবৈধ তেল বাণিজ্যে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে সব ধরনের হাতিয়ার ব্যবহার করতে তারা পিছপা হবে না। লক্ষ্য একটাই: তেল-আয়ের উৎস শুকিয়ে দিয়ে তেহরানের অস্থিতিশীল তৎপরতা ও সন্ত্রাসী মদত বন্ধ করা।

তথ্যসূত্র:
বিস্তারিত তালিকা ও আর্থিক নিষেধাজ্ঞার বিবরণ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ (Treasury) প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পাওয়া যাবে।