০২:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

ইরানি তেল পাচারকারীদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইরানের তেল বিক্রি থেকে পাওয়া আয় বন্ধ করে সন্ত্রাসে অর্থ জোগান ও ঘরোয়া দমননীতি ঠেকাতে আরও কঠোর হয়েছে। ৩ জুলাই ২০২৫-এর ঘোষণায় ছয়টি প্রতিষ্ঠান ও চারটি জাহাজকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে, কারণ তারা ইরানের পেট্রোলিয়াম, পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্য ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কেনাবেচা, পরিবহন বা বিপণনে উল্লেখযোগ্য লেনদেনে জড়িত।

কারা নিষেধাজ্ঞার আওতায়:
একাধিক তেল-পাচার নেটওয়ার্ক চিহ্নিত হয়েছে, যেগুলো মিলিয়ে বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের ইরানি তেল পরিবহন ও ক্রয় করেছে। এর মধ্যে ইরাকি ব্যবসায়ী সালিম আহমেদ সাঈদ পরিচালিত কোম্পানি-চক্রটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য; তারা ইরানি তেলকে ইরাকি তেল হিসেবে চালিয়ে বা মিশিয়ে বিপণন করে বিপুল মুনাফা করেছে। পাশাপাশি, ছায়া-নৌবহরের কয়েকটি জাহাজও গোপনে ইরানি তেল সরবরাহে যুক্ত থাকার দায়ে কালো তালিকাভুক্ত হয়েছে।

আইনি ভিত্তি:
নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে নির্বাহী আদেশ ১৩৮৪৬, ১৩৯০২ এবং সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী নির্বাহী আদেশ ১৩২২৪ (সংশোধিত) অনুযায়ী। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ জারি হওয়া ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম-২’ (NSPM-2)-এর পর এটি দশম দফা নিষেধাজ্ঞা, যা ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ বাড়ানোর কৌশলকে এগিয়ে নিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণা:
ওয়াশিংটন স্পষ্ট করে জানিয়েছে—ইরানের অবৈধ তেল বাণিজ্যে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে সব ধরনের হাতিয়ার ব্যবহার করতে তারা পিছপা হবে না। লক্ষ্য একটাই: তেল-আয়ের উৎস শুকিয়ে দিয়ে তেহরানের অস্থিতিশীল তৎপরতা ও সন্ত্রাসী মদত বন্ধ করা।

তথ্যসূত্র:
বিস্তারিত তালিকা ও আর্থিক নিষেধাজ্ঞার বিবরণ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ (Treasury) প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পাওয়া যাবে।

সুপ্রিম কোর্টের রায়কে পাশ কাটানোর কৌশল খুঁজছে বিচারকরা, ফেরাতে পারবে কি USAID

ইরানি তেল পাচারকারীদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

১০:০০:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইরানের তেল বিক্রি থেকে পাওয়া আয় বন্ধ করে সন্ত্রাসে অর্থ জোগান ও ঘরোয়া দমননীতি ঠেকাতে আরও কঠোর হয়েছে। ৩ জুলাই ২০২৫-এর ঘোষণায় ছয়টি প্রতিষ্ঠান ও চারটি জাহাজকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে, কারণ তারা ইরানের পেট্রোলিয়াম, পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্য ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কেনাবেচা, পরিবহন বা বিপণনে উল্লেখযোগ্য লেনদেনে জড়িত।

কারা নিষেধাজ্ঞার আওতায়:
একাধিক তেল-পাচার নেটওয়ার্ক চিহ্নিত হয়েছে, যেগুলো মিলিয়ে বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের ইরানি তেল পরিবহন ও ক্রয় করেছে। এর মধ্যে ইরাকি ব্যবসায়ী সালিম আহমেদ সাঈদ পরিচালিত কোম্পানি-চক্রটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য; তারা ইরানি তেলকে ইরাকি তেল হিসেবে চালিয়ে বা মিশিয়ে বিপণন করে বিপুল মুনাফা করেছে। পাশাপাশি, ছায়া-নৌবহরের কয়েকটি জাহাজও গোপনে ইরানি তেল সরবরাহে যুক্ত থাকার দায়ে কালো তালিকাভুক্ত হয়েছে।

আইনি ভিত্তি:
নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে নির্বাহী আদেশ ১৩৮৪৬, ১৩৯০২ এবং সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী নির্বাহী আদেশ ১৩২২৪ (সংশোধিত) অনুযায়ী। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ জারি হওয়া ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম-২’ (NSPM-2)-এর পর এটি দশম দফা নিষেধাজ্ঞা, যা ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ বাড়ানোর কৌশলকে এগিয়ে নিচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণা:
ওয়াশিংটন স্পষ্ট করে জানিয়েছে—ইরানের অবৈধ তেল বাণিজ্যে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে সব ধরনের হাতিয়ার ব্যবহার করতে তারা পিছপা হবে না। লক্ষ্য একটাই: তেল-আয়ের উৎস শুকিয়ে দিয়ে তেহরানের অস্থিতিশীল তৎপরতা ও সন্ত্রাসী মদত বন্ধ করা।

তথ্যসূত্র:
বিস্তারিত তালিকা ও আর্থিক নিষেধাজ্ঞার বিবরণ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ (Treasury) প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পাওয়া যাবে।