যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইরানের তেল বিক্রি থেকে পাওয়া আয় বন্ধ করে সন্ত্রাসে অর্থ জোগান ও ঘরোয়া দমননীতি ঠেকাতে আরও কঠোর হয়েছে। ৩ জুলাই ২০২৫-এর ঘোষণায় ছয়টি প্রতিষ্ঠান ও চারটি জাহাজকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে, কারণ তারা ইরানের পেট্রোলিয়াম, পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্য ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কেনাবেচা, পরিবহন বা বিপণনে উল্লেখযোগ্য লেনদেনে জড়িত।
কারা নিষেধাজ্ঞার আওতায়:
একাধিক তেল-পাচার নেটওয়ার্ক চিহ্নিত হয়েছে, যেগুলো মিলিয়ে বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের ইরানি তেল পরিবহন ও ক্রয় করেছে। এর মধ্যে ইরাকি ব্যবসায়ী সালিম আহমেদ সাঈদ পরিচালিত কোম্পানি-চক্রটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য; তারা ইরানি তেলকে ইরাকি তেল হিসেবে চালিয়ে বা মিশিয়ে বিপণন করে বিপুল মুনাফা করেছে। পাশাপাশি, ছায়া-নৌবহরের কয়েকটি জাহাজও গোপনে ইরানি তেল সরবরাহে যুক্ত থাকার দায়ে কালো তালিকাভুক্ত হয়েছে।
আইনি ভিত্তি:
নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে নির্বাহী আদেশ ১৩৮৪৬, ১৩৯০২ এবং সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী নির্বাহী আদেশ ১৩২২৪ (সংশোধিত) অনুযায়ী। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ জারি হওয়া ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি প্রেসিডেন্সিয়াল মেমোরেন্ডাম-২’ (NSPM-2)-এর পর এটি দশম দফা নিষেধাজ্ঞা, যা ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ বাড়ানোর কৌশলকে এগিয়ে নিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণা:
ওয়াশিংটন স্পষ্ট করে জানিয়েছে—ইরানের অবৈধ তেল বাণিজ্যে সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে সব ধরনের হাতিয়ার ব্যবহার করতে তারা পিছপা হবে না। লক্ষ্য একটাই: তেল-আয়ের উৎস শুকিয়ে দিয়ে তেহরানের অস্থিতিশীল তৎপরতা ও সন্ত্রাসী মদত বন্ধ করা।
তথ্যসূত্র:
বিস্তারিত তালিকা ও আর্থিক নিষেধাজ্ঞার বিবরণ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগ (Treasury) প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পাওয়া যাবে।