গত দুই দশকে ঢাকার সিটি এলাকায় স্লামবস্তিবাসীর সংখ্যা ১৯৭৩ সালে ৮ শতাংশ থেকে ২০২২ সালে ৪০ শতাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে শহুরে এলাকায় প্রায় ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ বসবাস করে, যা ২০৩৫ সালের মধ্যে প্রায় ৯১ মিলিয়নে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এত দ্রুত নগরায়নের ফলে স্বাস্থ্যসেবা কাঠামোতে চাপ বেড়েছে, বিশেষ করে পুষ্টিজনিত অসুস্থতা ও অপর্যাপ্ত সেবা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
প্রকল্পের বিবরণ
- লক্ষ্য জনগোষ্ঠী: ঢাকার সিটি-অ্যাম্প এলাকায় ১৫,০০০ গর্ভবতী নারী, ৪,২০০ মা এবং দুই বছরের নিচের ২,৫০০ শিশু
- সেবা: মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার সঙ্গে পুষ্টিসংবেদনশীল পরামর্শ, গড়নামাপ, ভর বৃদ্ধির নিরীক্ষণ, খাদ্যজনিত কাউন্সেলিং, অনলাইন ও মোবাইল ফোন অ্যালার্ট
- স্ক্রিনিং: মোট ১৬,৫৩২ জনের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি যাচাই
- কাউন্সেলিং: ২,৮২৬ জনকে ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
ফলাফল
- গর্ভবতী নারীদের গড় ওজন বৃদ্ধি: পাইলট অঞ্চলে ৮.৯ কেজি, তুলনামূলক এলাকায় ৭.৫ কেজি
- অ্যান্টেনাটাল কেয়ারের কভারেজ: পাইলট অঞ্চলে ৫৩%, তুলনামূলক এলাকায় ৪০%
- মাতৃ খাদ্যবৈচিত্র্যের স্কোর বৃদ্ধি
- শিশুদের গড় ওজন ও উচ্চতার উন্নতি: জন্মের পর প্রথম ছয় মাসে ধাপে ধাপে বৃদ্ধি
- রক্তাল্পতার হার কমেছে: গর্ভবতী এবং নবজাতকের মধ্যে রক্তাল্পতার হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে
- এক্সক্লুসিভ বুকফিডিং অনুশীলন: জন্মের প্রথম ছয় মাসে বুকের দুধ খাওয়ানোর হার বৃদ্ধি পেয়েছে
মতামত
ডা. সনাফা বেগম বলেন, “স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিলেমিশে তৈরি এই কাঠামো টেকসই ফলাফল দেবে এবং বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সাহায্য করবে।”
ডা. তাহসিনা আহমেদ মন্তব্য করেন, “পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবার সমন্বিত মডেল একটি শক্তিশালী পদ্ধতি, যা একক সেক্টরীয় বাস্তবায়নের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর।”
এই সফল পাইলট মডেলটি ঢাকা নগরীর অন্যান্য এলাকায় কার্যকরভাবে সম্প্রসারণ করা, স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বাড়ানো জরুরি।