অচল সিকি
এনামুল জেবুন্নেসার কানে প্রায় মুখ দিয়ে বললে, ‘বিস্কুট খাওয়া যাক, কি বলো?’
‘একদম বাজে।’
‘বাজে মানে জানো, এর নাম কুকিস।’
জেবুন্নেসা হেসে উল্টে পড়লো। বললে, ‘তোমার না, কোনো বাছবিচার নেই-‘
‘কু-কিস্, শুনে লজ্জা পাচ্ছো নাকি, নাও না, এখানে তো আর কেউ আমাদের দেখতে আসছে না! এই মেয়েমানুষ জাতটাই একটা ল্যাঠা। ভাঙা হাঁড়ি-কলসি সের দরে কিনে কুড়মুড়িয়ে সাফাচাঁট করতে পারো তোমরা, যতো লজ্জা কুকিসে!’
‘কাকে কি বলছো’-চাপা স্বরে তিরস্কার করলো জেবুন্নেসা।
লজ্জা পেলো এনামুল, উচিত হয় নি কথাটা তোলা। সে বললে, ‘আমি কোনো কিছু মনে রেখে একথা তুলিনি, সত্যি বলছি!’ তারপর কানে ঠোঁট ছুঁইয়ে সে বললে, ‘রানী বিশ্বাস করো-‘
জেবুন্নেসা বললে, ‘এতো সিরিয়াস হচ্ছো কেন? এমনিই বললাম-‘
চা-বিস্কুট বাবদ আট আনা হলো ওদের। এনামুল দিতে যাচ্ছিলো, জেবুন্নেসা বাধা দিলো। বললে, ‘থাক, খুব হয়েছে, আর কেদ্দানি দেখাতে হবে না, আমি দিচ্ছি! দু’দিন পরেই তো হাত পাতবে!’
বুড়ো বললে, ‘আন্নেরা ক্যামনে যাইতেন, ধুপখান কি!’
কি!’ জেবুন্নেসা বললে, ‘একটু কষ্ট হবে বৈকি, কিন্তু এছাড়া আর উপায়ইবা
অন্যসব দিন দু’একটা রিকশা দেখা যায়। কপাল খারাপ তাদের, আজ একটাকেও দেখা গেল না।