০৮:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
বিআরটিএতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা ও পাসপোর্ট দপ্তরও শীর্ষে মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে বোমা নিক্ষেপ, নিহত এক পথচারী অসম ভিআইপি সুবিধা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন: নির্বাচন কমিশনকে জানাল জামায়াত বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটিতে টানা তিন দিন বন্ধ ব্যাংক ও শেয়ারবাজার বৃহস্পতিবার দেশে পালিত হবে বড়দিন, উৎসব ঘিরে শুভেচ্ছা ও বাড়তি নিরাপত্তা উপেক্ষিত রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থানে বিশ্বব্যাংকের নতুন অর্থায়ন, বাংলাদেশে অনুমোদন ১৫০ কোটি ডলার তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে সরকারের স্বাগত, পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস গাজীপুরে জাসাস নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা টাকা-ডলার বিনিময় হারে বাড়ছে ফাঁক, বৈদেশিক প্রতিযোগিতায় ঝুঁকির সতর্কতা

প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-৪০)

অচল সিকি

এনামুল জেবুন্নেসার কানে প্রায় মুখ দিয়ে বললে, ‘বিস্কুট খাওয়া যাক, কি বলো?’

‘একদম বাজে।’

‘বাজে মানে জানো, এর নাম কুকিস।’

জেবুন্নেসা হেসে উল্টে পড়লো। বললে, ‘তোমার না, কোনো বাছবিচার নেই-‘

‘কু-কিস্, শুনে লজ্জা পাচ্ছো নাকি, নাও না, এখানে তো আর কেউ আমাদের দেখতে আসছে না! এই মেয়েমানুষ জাতটাই একটা ল্যাঠা। ভাঙা হাঁড়ি-কলসি সের দরে কিনে কুড়মুড়িয়ে সাফাচাঁট করতে পারো তোমরা, যতো লজ্জা কুকিসে!’

‘কাকে কি বলছো’-চাপা স্বরে তিরস্কার করলো জেবুন্নেসা।

লজ্জা পেলো এনামুল, উচিত হয় নি কথাটা তোলা। সে বললে, ‘আমি কোনো কিছু মনে রেখে একথা তুলিনি, সত্যি বলছি!’ তারপর কানে ঠোঁট ছুঁইয়ে সে বললে, ‘রানী বিশ্বাস করো-‘

জেবুন্নেসা বললে, ‘এতো সিরিয়াস হচ্ছো কেন? এমনিই বললাম-‘

চা-বিস্কুট বাবদ আট আনা হলো ওদের। এনামুল দিতে যাচ্ছিলো, জেবুন্নেসা বাধা দিলো। বললে, ‘থাক, খুব হয়েছে, আর কেদ্দানি দেখাতে হবে না, আমি দিচ্ছি! দু’দিন পরেই তো হাত পাতবে!’

বুড়ো বললে, ‘আন্নেরা ক্যামনে যাইতেন, ধুপখান কি!’

কি!’ জেবুন্নেসা বললে, ‘একটু কষ্ট হবে বৈকি, কিন্তু এছাড়া আর উপায়ইবা

অন্যসব দিন দু’একটা রিকশা দেখা যায়। কপাল খারাপ তাদের, আজ একটাকেও দেখা গেল না।

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

বিআরটিএতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি, আইনশৃঙ্খলা ও পাসপোর্ট দপ্তরও শীর্ষে

প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-৪০)

১২:০০:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

অচল সিকি

এনামুল জেবুন্নেসার কানে প্রায় মুখ দিয়ে বললে, ‘বিস্কুট খাওয়া যাক, কি বলো?’

‘একদম বাজে।’

‘বাজে মানে জানো, এর নাম কুকিস।’

জেবুন্নেসা হেসে উল্টে পড়লো। বললে, ‘তোমার না, কোনো বাছবিচার নেই-‘

‘কু-কিস্, শুনে লজ্জা পাচ্ছো নাকি, নাও না, এখানে তো আর কেউ আমাদের দেখতে আসছে না! এই মেয়েমানুষ জাতটাই একটা ল্যাঠা। ভাঙা হাঁড়ি-কলসি সের দরে কিনে কুড়মুড়িয়ে সাফাচাঁট করতে পারো তোমরা, যতো লজ্জা কুকিসে!’

‘কাকে কি বলছো’-চাপা স্বরে তিরস্কার করলো জেবুন্নেসা।

লজ্জা পেলো এনামুল, উচিত হয় নি কথাটা তোলা। সে বললে, ‘আমি কোনো কিছু মনে রেখে একথা তুলিনি, সত্যি বলছি!’ তারপর কানে ঠোঁট ছুঁইয়ে সে বললে, ‘রানী বিশ্বাস করো-‘

জেবুন্নেসা বললে, ‘এতো সিরিয়াস হচ্ছো কেন? এমনিই বললাম-‘

চা-বিস্কুট বাবদ আট আনা হলো ওদের। এনামুল দিতে যাচ্ছিলো, জেবুন্নেসা বাধা দিলো। বললে, ‘থাক, খুব হয়েছে, আর কেদ্দানি দেখাতে হবে না, আমি দিচ্ছি! দু’দিন পরেই তো হাত পাতবে!’

বুড়ো বললে, ‘আন্নেরা ক্যামনে যাইতেন, ধুপখান কি!’

কি!’ জেবুন্নেসা বললে, ‘একটু কষ্ট হবে বৈকি, কিন্তু এছাড়া আর উপায়ইবা

অন্যসব দিন দু’একটা রিকশা দেখা যায়। কপাল খারাপ তাদের, আজ একটাকেও দেখা গেল না।