০৫:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
২০২৯-এ ফিরছে অ্যানিমেটেড হিট ‘কে-পপ ডেমন হান্টার্স’ ‘টাইটানিক’-এর নেপথ্যের গল্প: চলচ্চিত্র প্রযোজকের স্মৃতিচারণ অভিষেক শর্মার রেকর্ড গড়া ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জয় ভারতের জেন জি এখন সুগন্ধি খুঁজছে আলোকে শিল্পে রূপ দেওয়া লিন্ডসি অ্যাডেলম্যান পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ ‘ইনল্যান্ড টাইপ্যান’: প্রাণঘাতী বিষ, শান্ত স্বভাবের এই সরীসৃপের অজানা বিস্ময় কুমিল্লায় দায়িত্ব পালনকালে অসুস্থ হয়ে পুলিশের মৃত্যু রবিবার থেকে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা ভিয়েতনামী ঔপন্যাসিক ড. ফান কুয়ে মাই শারজাহ বইমেলায় পাঠকদের মুগ্ধ করলেন মংলায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ প্রবাসী নারী পর্যটক

প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-৪০)

অচল সিকি

এনামুল জেবুন্নেসার কানে প্রায় মুখ দিয়ে বললে, ‘বিস্কুট খাওয়া যাক, কি বলো?’

‘একদম বাজে।’

‘বাজে মানে জানো, এর নাম কুকিস।’

জেবুন্নেসা হেসে উল্টে পড়লো। বললে, ‘তোমার না, কোনো বাছবিচার নেই-‘

‘কু-কিস্, শুনে লজ্জা পাচ্ছো নাকি, নাও না, এখানে তো আর কেউ আমাদের দেখতে আসছে না! এই মেয়েমানুষ জাতটাই একটা ল্যাঠা। ভাঙা হাঁড়ি-কলসি সের দরে কিনে কুড়মুড়িয়ে সাফাচাঁট করতে পারো তোমরা, যতো লজ্জা কুকিসে!’

‘কাকে কি বলছো’-চাপা স্বরে তিরস্কার করলো জেবুন্নেসা।

লজ্জা পেলো এনামুল, উচিত হয় নি কথাটা তোলা। সে বললে, ‘আমি কোনো কিছু মনে রেখে একথা তুলিনি, সত্যি বলছি!’ তারপর কানে ঠোঁট ছুঁইয়ে সে বললে, ‘রানী বিশ্বাস করো-‘

জেবুন্নেসা বললে, ‘এতো সিরিয়াস হচ্ছো কেন? এমনিই বললাম-‘

চা-বিস্কুট বাবদ আট আনা হলো ওদের। এনামুল দিতে যাচ্ছিলো, জেবুন্নেসা বাধা দিলো। বললে, ‘থাক, খুব হয়েছে, আর কেদ্দানি দেখাতে হবে না, আমি দিচ্ছি! দু’দিন পরেই তো হাত পাতবে!’

বুড়ো বললে, ‘আন্নেরা ক্যামনে যাইতেন, ধুপখান কি!’

কি!’ জেবুন্নেসা বললে, ‘একটু কষ্ট হবে বৈকি, কিন্তু এছাড়া আর উপায়ইবা

অন্যসব দিন দু’একটা রিকশা দেখা যায়। কপাল খারাপ তাদের, আজ একটাকেও দেখা গেল না।

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

২০২৯-এ ফিরছে অ্যানিমেটেড হিট ‘কে-পপ ডেমন হান্টার্স’

প্রতিদিন একটি রুমাল (পর্ব-৪০)

১২:০০:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

অচল সিকি

এনামুল জেবুন্নেসার কানে প্রায় মুখ দিয়ে বললে, ‘বিস্কুট খাওয়া যাক, কি বলো?’

‘একদম বাজে।’

‘বাজে মানে জানো, এর নাম কুকিস।’

জেবুন্নেসা হেসে উল্টে পড়লো। বললে, ‘তোমার না, কোনো বাছবিচার নেই-‘

‘কু-কিস্, শুনে লজ্জা পাচ্ছো নাকি, নাও না, এখানে তো আর কেউ আমাদের দেখতে আসছে না! এই মেয়েমানুষ জাতটাই একটা ল্যাঠা। ভাঙা হাঁড়ি-কলসি সের দরে কিনে কুড়মুড়িয়ে সাফাচাঁট করতে পারো তোমরা, যতো লজ্জা কুকিসে!’

‘কাকে কি বলছো’-চাপা স্বরে তিরস্কার করলো জেবুন্নেসা।

লজ্জা পেলো এনামুল, উচিত হয় নি কথাটা তোলা। সে বললে, ‘আমি কোনো কিছু মনে রেখে একথা তুলিনি, সত্যি বলছি!’ তারপর কানে ঠোঁট ছুঁইয়ে সে বললে, ‘রানী বিশ্বাস করো-‘

জেবুন্নেসা বললে, ‘এতো সিরিয়াস হচ্ছো কেন? এমনিই বললাম-‘

চা-বিস্কুট বাবদ আট আনা হলো ওদের। এনামুল দিতে যাচ্ছিলো, জেবুন্নেসা বাধা দিলো। বললে, ‘থাক, খুব হয়েছে, আর কেদ্দানি দেখাতে হবে না, আমি দিচ্ছি! দু’দিন পরেই তো হাত পাতবে!’

বুড়ো বললে, ‘আন্নেরা ক্যামনে যাইতেন, ধুপখান কি!’

কি!’ জেবুন্নেসা বললে, ‘একটু কষ্ট হবে বৈকি, কিন্তু এছাড়া আর উপায়ইবা

অন্যসব দিন দু’একটা রিকশা দেখা যায়। কপাল খারাপ তাদের, আজ একটাকেও দেখা গেল না।