০১:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৩৯)

বর্ষায় বুড়িগঙ্গার ভিড়ে থাকা নৌকার ছইয়ের ভিতরে মাঝি মাল্লাদের রান্না-বান্না করার দৃশ্য ছিল দেখার মতো।”

গণি মিয়ার হাট

উনিশ শতক কেন, বিশ শতকের প্রথমার্ধেও ঢাকার গণি মিয়ার হাট ছিল বিখ্যাত। কোন গণি মিয়ার হাট তা নিয়ে খানিকটা বিতর্ক আছে।

নাজির হোসেন লিখেছেন, ঢাকার নবাব গণি মিয়া এই হাটটি বসিয়েছিলেন। গ্রাহক আকর্ষণের জন্য ঢুলিরা ঢোল বাজিয়ে বলত, ‘ধার কর্জ করো গণি মিয়ার হাট করো।’ গণি মিয়ার হাটের তথ্য জানতে ইমারান উজ জামান রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির সম্পাদক [৪২ বছর ছিলেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়: ঢাকার একটি গরুর হাটের দৃশ্য।

হাজি আবদুল আউয়াল এর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, জিঞ্জিরার জনৈক হাফেজ সাহেব বড় কাটরার উল্টোদিকে দেবীদাস লেন ঘাটের খাস জমিতে এই হাট বসিয়েছিলেন। তার পিতার নাম ছিল গণি মিয়া। তাই থেকে গণি মিয়ার হাট।

তিনি প্রখ্যাত গবেষক আবদুল কাইউমেরও সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ফরাশগঞ্জে নানা বাড়িতে থাকার সময় তারা গণি মিয়ার হাটে খেলতেন। বলেছেন তিনি- “বর্ষার মৌসুমে সবচেয়ে মজা হতো। এখন যেখানে গণি মিয়া রোড়, সেখানে গণি মিয়ার হাট বসত।

এই হাটকে কেন্দ্র করে দূরদূরান্ত থেকে সওদাগরী নাও এসে বুড়িগঙ্গার ঘাটে ভিড়ত। বর্ষায় বুড়িগঙ্গার ভিড়ে থাকা নৌকার ছইয়ের ভিতরে মাঝি মাল্লাদের রান্না-বান্না করার দৃশ্য ছিল দেখার মতো।”

ফরাশগঞ্জ একদিকে, বড় কাটরা আরেকদিকে, আবদুল কাইউমের স্মৃতিচিত্র ঠিক আছে, তবে জায়গাটি দেবীদাস ঘাটের কাছে। তবে এটি নওয়াব গণি নাকি জিঞ্জিরার হাফেজ বসিয়েছিলেন তা নির্ণয় করা কঠিন।

মীর কাদিমের গরু গণি মিয়ার হাট

গণি মিয়ার হাট বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল মিরকাদিমের সাদা গরুর জন্য। এখনো কোরবানীর সময় মিরকাদিমের গরু কিনতে অনেকে ছোটেন গণি মিয়ার হাটের দিকে।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৩৮)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৩৮)

 

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৩৯)

০৭:০০:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫

বর্ষায় বুড়িগঙ্গার ভিড়ে থাকা নৌকার ছইয়ের ভিতরে মাঝি মাল্লাদের রান্না-বান্না করার দৃশ্য ছিল দেখার মতো।”

গণি মিয়ার হাট

উনিশ শতক কেন, বিশ শতকের প্রথমার্ধেও ঢাকার গণি মিয়ার হাট ছিল বিখ্যাত। কোন গণি মিয়ার হাট তা নিয়ে খানিকটা বিতর্ক আছে।

নাজির হোসেন লিখেছেন, ঢাকার নবাব গণি মিয়া এই হাটটি বসিয়েছিলেন। গ্রাহক আকর্ষণের জন্য ঢুলিরা ঢোল বাজিয়ে বলত, ‘ধার কর্জ করো গণি মিয়ার হাট করো।’ গণি মিয়ার হাটের তথ্য জানতে ইমারান উজ জামান রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির সম্পাদক [৪২ বছর ছিলেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়: ঢাকার একটি গরুর হাটের দৃশ্য।

হাজি আবদুল আউয়াল এর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, জিঞ্জিরার জনৈক হাফেজ সাহেব বড় কাটরার উল্টোদিকে দেবীদাস লেন ঘাটের খাস জমিতে এই হাট বসিয়েছিলেন। তার পিতার নাম ছিল গণি মিয়া। তাই থেকে গণি মিয়ার হাট।

তিনি প্রখ্যাত গবেষক আবদুল কাইউমেরও সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ফরাশগঞ্জে নানা বাড়িতে থাকার সময় তারা গণি মিয়ার হাটে খেলতেন। বলেছেন তিনি- “বর্ষার মৌসুমে সবচেয়ে মজা হতো। এখন যেখানে গণি মিয়া রোড়, সেখানে গণি মিয়ার হাট বসত।

এই হাটকে কেন্দ্র করে দূরদূরান্ত থেকে সওদাগরী নাও এসে বুড়িগঙ্গার ঘাটে ভিড়ত। বর্ষায় বুড়িগঙ্গার ভিড়ে থাকা নৌকার ছইয়ের ভিতরে মাঝি মাল্লাদের রান্না-বান্না করার দৃশ্য ছিল দেখার মতো।”

ফরাশগঞ্জ একদিকে, বড় কাটরা আরেকদিকে, আবদুল কাইউমের স্মৃতিচিত্র ঠিক আছে, তবে জায়গাটি দেবীদাস ঘাটের কাছে। তবে এটি নওয়াব গণি নাকি জিঞ্জিরার হাফেজ বসিয়েছিলেন তা নির্ণয় করা কঠিন।

মীর কাদিমের গরু গণি মিয়ার হাট

গণি মিয়ার হাট বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল মিরকাদিমের সাদা গরুর জন্য। এখনো কোরবানীর সময় মিরকাদিমের গরু কিনতে অনেকে ছোটেন গণি মিয়ার হাটের দিকে।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৩৮)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি- ৩৮)