০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

সুগন্ধির পেছনে রক্তের ইতিহাস

ছোট দানার জন্য বড় যুদ্ধ

আজকের আধুনিক বাজারে যেসব মসলা রান্নার স্বাদ বাড়ায়, অতীতে সেগুলোর জন্য রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছে বহুবার। লবঙ্গ, দারুচিনি, জাফরান, গোলমরিচ—এই ছোট ছোট মসলার কারণে একসময়ে ইউরোপের পরাশক্তি, মধ্যপ্রাচ্যের বণিকগোষ্ঠী এবং দক্ষিণ‑পূর্ব এশিয়ার রাজ্যগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। মসলা তখন শুধু রান্নার উপাদান নয়; ছিল রাজনীতি, অর্থনীতি ও সাম্রাজ্য বিস্তারের কৌশল।

প্রাচীন মিসর ও ব্যাবিলনের সময় থেকে শুরু

খ্রিস্টপূর্ব যুগেই মিসর, ব্যাবিলন ও পারস্যে মসলা ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়। ধর্মীয় আচার, মৃতদেহ সংরক্ষণ, সুগন্ধি তৈরিসহ নানা কাজে মসলার চাহিদা ছিল ব্যাপক। এই মসলার উৎস ছিল ভারতবর্ষ ও দক্ষিণ‑পূর্ব এশিয়া। সে সময় স্থলপথ ও জলপথ ধরে এসব অঞ্চল থেকে মসলা এসে পৌঁছাত ভূমধ্যসাগরীয় দেশগুলোতে।

রোমান সাম্রাজ্যের মসলা নীতি ও বাণিজ্য

রোমানরা মসলার প্রতি এতটাই আসক্ত ছিল যে গোলমরিচ তাদের কাছে স্বর্ণের সমান মূল্যবান ছিল। ভারতের মালাবার উপকূল থেকে রোমে মসলা পৌঁছাতে সুসজ্জিত নৌবহর রওনা দিত। এই বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে রোমানদের সঙ্গে দক্ষিণ ভারতের চের ও পাণ্ড্য রাজ্যের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

কিন্তু চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের লড়াইও শুরু হয়। রোমানদের পতনের পর এই অঞ্চলের বাণিজ্যিক কর্তৃত্ব যায় আরবদের হাতে।

আরব ব্যবসায়ীদের আধিপত্য এবং মধ্যযুগের শুরু

সপ্তম শতকের দিকে ইসলামের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে আরব বণিকরা ভারত, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয় দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে সরাসরি মসলা বাণিজ্যে নিয়োজিত হয়। তারা চতুরতার সঙ্গে ইউরোপে মসলার মূল উৎস গোপন রাখত, যাতে দাম বাড়িয়ে লাভ করতে পারে। ইউরোপীয়রা আরবদের কাছ থেকেই চড়া মূল্যে মসলা কিনতে বাধ্য হতো।

ক্রুসেড যুদ্ধ ও মসলা চাহিদার উল্কার মতো বৃদ্ধি

১১শ ও ১২শ শতকের ক্রুসেড যুদ্ধ শুধু ধর্মীয় উদ্দেশ্যেই নয়; এর পেছনে অর্থনৈতিক স্বার্থও ছিল। ক্রুসেডাররা যখন মধ্যপ্রাচ্যে যায়, তখন তারা মসলার স্বাদ ও ব্যবহার শিখে ফেরে। ইউরোপে তখন মসলা হয়ে ওঠে উচ্চবিত্ত সমাজের প্রতীক। এর ফলে মসলার জন্য আরও আগ্রাসী বাণিজ্যনীতি গ্রহণ করে ইউরোপীয় শক্তিগুলো।

ভাস্কো দা গামার অভিযান ও ভারত মহাসাগরে যুদ্ধের সূত্রপাত

১৪৯৮ সালে ভাস্কো দা গামা সরাসরি সমুদ্রপথে ভারতের কালিকটে পৌঁছান। এটিই ছিল ইউরোপ থেকে ভারত পর্যন্ত সরাসরি মসলা বাণিজ্যপথ আবিষ্কারের সূচনা। এরপর থেকেই পর্তুগিজরা মালাবার উপকূলে মসলা ব্যবসার একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে। ভারত মহাসাগরে শুরু হয় পর্তুগিজদের সঙ্গে আরব এবং স্থানীয় রাজ্যগুলোর সশস্ত্র সংঘর্ষ।

মালুকু দ্বীপপুঞ্জ: ‘স্পাইস আইল্যান্ডস’ নিয়ে পর্তুগিজ, ডাচ ও ব্রিটিশের রক্তক্ষয়ী লড়াই

বর্তমান ইন্দোনেশিয়ার মালুকু দ্বীপপুঞ্জ, বিশেষ করে টারনেট ও টিডোর, ছিল লবঙ্গ ও জায়ফলের একমাত্র উৎস। এখানেই ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শক্তির মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ও দীর্ঘস্থায়ী সংঘর্ষ ঘটে।

প্রথমে পর্তুগিজরা এসব দ্বীপে ঘাঁটি স্থাপন করে। পরে ১৬০২ সালে ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি (VOC) গঠন করে ডাচরা এখানে আধিপত্য বিস্তারে নামে। স্থানীয় শাসকদের সঙ্গে কৌশলগত চুক্তি ও হুমকির মাধ্যমে তারা একচেটিয়া বাণিজ্য প্রতিষ্ঠা করে। পরবর্তীতে ব্রিটিশরাও এসে অংশ নেয় এই লড়াইয়ে।

১৬২১ সালে ডাচরা বান্দা দ্বীপে গণহত্যা চালিয়ে পুরো দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এই ঘটনাকে ইতিহাসে ‘বান্দা গণহত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, যা মসলা ব্যবসার জন্য সংঘটিত ভয়াবহতম মানবিক বিপর্যয়।

মসলা বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে নৌবহর যুদ্ধ

১৭শ ও ১৮শ শতকে ভারত মহাসাগরে পর্তুগিজ, ডাচ, ফরাসি ও ব্রিটিশদের মধ্যে বারবার নৌযুদ্ধ হয়। মসলার প্রধান উৎপাদক এলাকা দক্ষিণ‑পূর্ব এশিয়া হলেও এর ভোক্তা ছিল ইউরোপ। ফলে ইউরোপীয় শক্তিগুলো এসব এলাকার বন্দর, নদীপথ এবং দ্বীপপুঞ্জের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য নৌযুদ্ধে লিপ্ত হয়।

উপনিবেশ গঠনের ভিত্তি হিসেবে মসলা ব্যবসা

শুধু যুদ্ধ নয়, এই মসলা বাণিজ্য থেকেই ইউরোপীয়রা দক্ষিণ‑পূর্ব এশিয়ায় উপনিবেশ গড়ে তোলে। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রথমে মসলা ও রেশমের ব্যবসা শুরু করলেও পরে এটি ভারত দখলের পথ তৈরি করে। পর্তুগিজরা গোয়া, ডাচরা বাটাভিয়া (বর্তমান জাকার্তা), আর ফরাসিরা চন্দননগর ও পণ্ডিচেরিতে ঘাঁটি স্থাপন করে মসলা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে উপনিবেশ বিস্তার করে।

Spices | Why Should Not Use Readymade Spices in Cooking dgtl - Anandabazar

মসলার ব্যবসা আজ: যুদ্ধ নয়, কৌশল

আজ আর মসলার জন্য যুদ্ধ হয় না। কিন্তু মসলার আন্তর্জাতিক বাজার এখনো শত শত কোটি ডলারের। ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ এখনো গুরুত্বপূর্ণ মসলা রপ্তানিকারক দেশ। তবে আধুনিক কূটনীতি ও বৈশ্বিক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রিত হয়।

সুগন্ধির পেছনে রক্তের ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না

মসলার জন্য একসময় বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ, উপনিবেশ, নৃশংসতা এবং ধ্বংস সংঘটিত হয়েছে। ইতিহাসের এই অধ্যায় আমাদের মনে করিয়ে দেয়, অর্থনৈতিক স্বার্থ মানব সভ্যতাকে কতটা রক্তাক্ত করতে পারে। আজকের শান্তিপূর্ণ মসলা বাণিজ্যের পেছনে আছে বহু শতাব্দীর রক্তাক্ত ও জটিল ইতিহাস, যা ইতিহাস সচেতনতা ও বৈশ্বিক ন্যায়বিচারের আলোচনায় স্থান পাওয়ার যোগ্য।

সুগন্ধির পেছনে রক্তের ইতিহাস

০৫:০০:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

ছোট দানার জন্য বড় যুদ্ধ

আজকের আধুনিক বাজারে যেসব মসলা রান্নার স্বাদ বাড়ায়, অতীতে সেগুলোর জন্য রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছে বহুবার। লবঙ্গ, দারুচিনি, জাফরান, গোলমরিচ—এই ছোট ছোট মসলার কারণে একসময়ে ইউরোপের পরাশক্তি, মধ্যপ্রাচ্যের বণিকগোষ্ঠী এবং দক্ষিণ‑পূর্ব এশিয়ার রাজ্যগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছিল। মসলা তখন শুধু রান্নার উপাদান নয়; ছিল রাজনীতি, অর্থনীতি ও সাম্রাজ্য বিস্তারের কৌশল।

প্রাচীন মিসর ও ব্যাবিলনের সময় থেকে শুরু

খ্রিস্টপূর্ব যুগেই মিসর, ব্যাবিলন ও পারস্যে মসলা ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়। ধর্মীয় আচার, মৃতদেহ সংরক্ষণ, সুগন্ধি তৈরিসহ নানা কাজে মসলার চাহিদা ছিল ব্যাপক। এই মসলার উৎস ছিল ভারতবর্ষ ও দক্ষিণ‑পূর্ব এশিয়া। সে সময় স্থলপথ ও জলপথ ধরে এসব অঞ্চল থেকে মসলা এসে পৌঁছাত ভূমধ্যসাগরীয় দেশগুলোতে।

রোমান সাম্রাজ্যের মসলা নীতি ও বাণিজ্য

রোমানরা মসলার প্রতি এতটাই আসক্ত ছিল যে গোলমরিচ তাদের কাছে স্বর্ণের সমান মূল্যবান ছিল। ভারতের মালাবার উপকূল থেকে রোমে মসলা পৌঁছাতে সুসজ্জিত নৌবহর রওনা দিত। এই বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে রোমানদের সঙ্গে দক্ষিণ ভারতের চের ও পাণ্ড্য রাজ্যের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

কিন্তু চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের লড়াইও শুরু হয়। রোমানদের পতনের পর এই অঞ্চলের বাণিজ্যিক কর্তৃত্ব যায় আরবদের হাতে।

আরব ব্যবসায়ীদের আধিপত্য এবং মধ্যযুগের শুরু

সপ্তম শতকের দিকে ইসলামের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে আরব বণিকরা ভারত, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয় দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে সরাসরি মসলা বাণিজ্যে নিয়োজিত হয়। তারা চতুরতার সঙ্গে ইউরোপে মসলার মূল উৎস গোপন রাখত, যাতে দাম বাড়িয়ে লাভ করতে পারে। ইউরোপীয়রা আরবদের কাছ থেকেই চড়া মূল্যে মসলা কিনতে বাধ্য হতো।

ক্রুসেড যুদ্ধ ও মসলা চাহিদার উল্কার মতো বৃদ্ধি

১১শ ও ১২শ শতকের ক্রুসেড যুদ্ধ শুধু ধর্মীয় উদ্দেশ্যেই নয়; এর পেছনে অর্থনৈতিক স্বার্থও ছিল। ক্রুসেডাররা যখন মধ্যপ্রাচ্যে যায়, তখন তারা মসলার স্বাদ ও ব্যবহার শিখে ফেরে। ইউরোপে তখন মসলা হয়ে ওঠে উচ্চবিত্ত সমাজের প্রতীক। এর ফলে মসলার জন্য আরও আগ্রাসী বাণিজ্যনীতি গ্রহণ করে ইউরোপীয় শক্তিগুলো।

ভাস্কো দা গামার অভিযান ও ভারত মহাসাগরে যুদ্ধের সূত্রপাত

১৪৯৮ সালে ভাস্কো দা গামা সরাসরি সমুদ্রপথে ভারতের কালিকটে পৌঁছান। এটিই ছিল ইউরোপ থেকে ভারত পর্যন্ত সরাসরি মসলা বাণিজ্যপথ আবিষ্কারের সূচনা। এরপর থেকেই পর্তুগিজরা মালাবার উপকূলে মসলা ব্যবসার একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে। ভারত মহাসাগরে শুরু হয় পর্তুগিজদের সঙ্গে আরব এবং স্থানীয় রাজ্যগুলোর সশস্ত্র সংঘর্ষ।

মালুকু দ্বীপপুঞ্জ: ‘স্পাইস আইল্যান্ডস’ নিয়ে পর্তুগিজ, ডাচ ও ব্রিটিশের রক্তক্ষয়ী লড়াই

বর্তমান ইন্দোনেশিয়ার মালুকু দ্বীপপুঞ্জ, বিশেষ করে টারনেট ও টিডোর, ছিল লবঙ্গ ও জায়ফলের একমাত্র উৎস। এখানেই ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শক্তির মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ও দীর্ঘস্থায়ী সংঘর্ষ ঘটে।

প্রথমে পর্তুগিজরা এসব দ্বীপে ঘাঁটি স্থাপন করে। পরে ১৬০২ সালে ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি (VOC) গঠন করে ডাচরা এখানে আধিপত্য বিস্তারে নামে। স্থানীয় শাসকদের সঙ্গে কৌশলগত চুক্তি ও হুমকির মাধ্যমে তারা একচেটিয়া বাণিজ্য প্রতিষ্ঠা করে। পরবর্তীতে ব্রিটিশরাও এসে অংশ নেয় এই লড়াইয়ে।

১৬২১ সালে ডাচরা বান্দা দ্বীপে গণহত্যা চালিয়ে পুরো দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এই ঘটনাকে ইতিহাসে ‘বান্দা গণহত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, যা মসলা ব্যবসার জন্য সংঘটিত ভয়াবহতম মানবিক বিপর্যয়।

মসলা বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে নৌবহর যুদ্ধ

১৭শ ও ১৮শ শতকে ভারত মহাসাগরে পর্তুগিজ, ডাচ, ফরাসি ও ব্রিটিশদের মধ্যে বারবার নৌযুদ্ধ হয়। মসলার প্রধান উৎপাদক এলাকা দক্ষিণ‑পূর্ব এশিয়া হলেও এর ভোক্তা ছিল ইউরোপ। ফলে ইউরোপীয় শক্তিগুলো এসব এলাকার বন্দর, নদীপথ এবং দ্বীপপুঞ্জের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য নৌযুদ্ধে লিপ্ত হয়।

উপনিবেশ গঠনের ভিত্তি হিসেবে মসলা ব্যবসা

শুধু যুদ্ধ নয়, এই মসলা বাণিজ্য থেকেই ইউরোপীয়রা দক্ষিণ‑পূর্ব এশিয়ায় উপনিবেশ গড়ে তোলে। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রথমে মসলা ও রেশমের ব্যবসা শুরু করলেও পরে এটি ভারত দখলের পথ তৈরি করে। পর্তুগিজরা গোয়া, ডাচরা বাটাভিয়া (বর্তমান জাকার্তা), আর ফরাসিরা চন্দননগর ও পণ্ডিচেরিতে ঘাঁটি স্থাপন করে মসলা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে উপনিবেশ বিস্তার করে।

Spices | Why Should Not Use Readymade Spices in Cooking dgtl - Anandabazar

মসলার ব্যবসা আজ: যুদ্ধ নয়, কৌশল

আজ আর মসলার জন্য যুদ্ধ হয় না। কিন্তু মসলার আন্তর্জাতিক বাজার এখনো শত শত কোটি ডলারের। ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ এখনো গুরুত্বপূর্ণ মসলা রপ্তানিকারক দেশ। তবে আধুনিক কূটনীতি ও বৈশ্বিক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রিত হয়।

সুগন্ধির পেছনে রক্তের ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না

মসলার জন্য একসময় বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ, উপনিবেশ, নৃশংসতা এবং ধ্বংস সংঘটিত হয়েছে। ইতিহাসের এই অধ্যায় আমাদের মনে করিয়ে দেয়, অর্থনৈতিক স্বার্থ মানব সভ্যতাকে কতটা রক্তাক্ত করতে পারে। আজকের শান্তিপূর্ণ মসলা বাণিজ্যের পেছনে আছে বহু শতাব্দীর রক্তাক্ত ও জটিল ইতিহাস, যা ইতিহাস সচেতনতা ও বৈশ্বিক ন্যায়বিচারের আলোচনায় স্থান পাওয়ার যোগ্য।