০১:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

থাইল্যান্ডের পাল্টা আঘাত: সীমান্তে কাম্বোডিয়ার হামলার জবাবে এফ-১৬ বিমান থেকে বোমা বর্ষণ

২৪ জুলাই ভোরে থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার মধ্যে উত্তেজনা সহিংস সংঘর্ষে রূপ নেয়, যখন কাম্বোডিয়ান বাহিনী আকস্মিকভাবে থাই ভূখণ্ডে আর্টিলারি ও রকেট হামলা চালায়। এতে অন্তত নয়জন থাই নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন আট বছরের শিশু। এর পাল্টা জবাবে থাইল্যান্ড এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে কাম্বোডিয়ান সামরিক ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায়।

থাই সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এই বিমান হামলায় উবন রাতচাথানির চং আন মা এলাকায় অবস্থিত একটি কাম্বোডিয়ান কমান্ড পোস্ট ধ্বংস করা হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তবর্তী ছয়টি জেলার ৪০,০০০-এর বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

কাম্বোডিয়ার আগ্রাসনের জবাবে শক্ত প্রতিক্রিয়া

বৃহস্পতিবার ভোরে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে, যখন কাম্বোডিয়ান সেনারা থাই ভূখণ্ডে BM-21 গ্র্যাড রকেট ছোড়ে। এতে সুরিন ও সি সা কেট প্রদেশে বসতি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং একটি স্কুলের পাশে রকেট আঘাত হানে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বহু মানুষ আহত হয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী অনুটিন চর্ণভিরাকুল তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিমান হামলার নির্দেশ দেন এবং থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়া স্থল সীমান্ত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাজকীয় থাই বিমান বাহিনী ছয়টি এফ-১৬ জেট প্রস্তুত করে, যার মধ্যে একটি যুদ্ধবিমান নিয়ন্ত্রিতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়।

কূটনৈতিক টানাপোড়েন ও আঞ্চলিক উদ্বেগ

থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পনম পেন থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে এনেছে এবং কাম্বোডিয়ান রাষ্ট্রদূতকে ‘অবাঞ্ছিত ব্যক্তি’ ঘোষণা করেছে। এর জবাবে কাম্বোডিয়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছে। চীন তার নাগরিকদের ওই সীমান্ত অঞ্চল এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত থাই সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে কাম্বোডিয়ান বাহিনী এখনও সীমান্তে বিচ্ছিন্নভাবে গোলাবর্ষণ চালাচ্ছে। তবে দ্বিতীয় দফা বিমান হামলার অনুমোদন এখনও দেওয়া হয়নি।

 

থাইল্যান্ডের পাল্টা আঘাত: সীমান্তে কাম্বোডিয়ার হামলার জবাবে এফ-১৬ বিমান থেকে বোমা বর্ষণ

০৩:৪১:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

২৪ জুলাই ভোরে থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার মধ্যে উত্তেজনা সহিংস সংঘর্ষে রূপ নেয়, যখন কাম্বোডিয়ান বাহিনী আকস্মিকভাবে থাই ভূখণ্ডে আর্টিলারি ও রকেট হামলা চালায়। এতে অন্তত নয়জন থাই নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন আট বছরের শিশু। এর পাল্টা জবাবে থাইল্যান্ড এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে কাম্বোডিয়ান সামরিক ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায়।

থাই সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এই বিমান হামলায় উবন রাতচাথানির চং আন মা এলাকায় অবস্থিত একটি কাম্বোডিয়ান কমান্ড পোস্ট ধ্বংস করা হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তবর্তী ছয়টি জেলার ৪০,০০০-এর বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

কাম্বোডিয়ার আগ্রাসনের জবাবে শক্ত প্রতিক্রিয়া

বৃহস্পতিবার ভোরে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে, যখন কাম্বোডিয়ান সেনারা থাই ভূখণ্ডে BM-21 গ্র্যাড রকেট ছোড়ে। এতে সুরিন ও সি সা কেট প্রদেশে বসতি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং একটি স্কুলের পাশে রকেট আঘাত হানে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বহু মানুষ আহত হয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী অনুটিন চর্ণভিরাকুল তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিমান হামলার নির্দেশ দেন এবং থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়া স্থল সীমান্ত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাজকীয় থাই বিমান বাহিনী ছয়টি এফ-১৬ জেট প্রস্তুত করে, যার মধ্যে একটি যুদ্ধবিমান নিয়ন্ত্রিতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায়।

কূটনৈতিক টানাপোড়েন ও আঞ্চলিক উদ্বেগ

থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পনম পেন থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে এনেছে এবং কাম্বোডিয়ান রাষ্ট্রদূতকে ‘অবাঞ্ছিত ব্যক্তি’ ঘোষণা করেছে। এর জবাবে কাম্বোডিয়া জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছে। চীন তার নাগরিকদের ওই সীমান্ত অঞ্চল এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত থাই সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে কাম্বোডিয়ান বাহিনী এখনও সীমান্তে বিচ্ছিন্নভাবে গোলাবর্ষণ চালাচ্ছে। তবে দ্বিতীয় দফা বিমান হামলার অনুমোদন এখনও দেওয়া হয়নি।