০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি কেন অর্ধশতাব্দীর মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এলো?

অগ্রগতির গতি শ্লথউদ্বেগে অর্থনীতিবিদরা

২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার গত পাঁচ দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে। এডিপির এই ভাঙা গতিপথ অর্থনৈতিক পরিকল্পনার স্থবিরতা, বৈদেশিক সহায়তার ওপর নির্ভরতা এবং বৈশ্বিক সংকটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াকে নতুন করে তুলে ধরছে। যেখানে বিগত বছরগুলোতে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের হার ৮৫ শতাংশের উপরে ছিল, সেখানে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে তা নেমে এসেছে মাত্র ৭০.৫ শতাংশে—যা ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।

বৈদেশিক ঋণনির্ভরতা ও প্রকল্প অনুমোদনের জটিলতা

সরকারের এডিপি বাস্তবায়নের বড় অংশ আজকাল বৈদেশিক ঋণ বা অনুদানের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ-পরবর্তী বৈশ্বিক আর্থিক সংকট, মার্কিন সুদের হার বৃদ্ধি এবং দাতাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বিলম্ব এই সহায়তা পাওয়ার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করেছে। ফলে বহু অবকাঠামো প্রকল্প অর্থসংকটে স্থবির হয়ে পড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, রেল, স্বাস্থ্য ও বিদ্যুৎখাতে বৈদেশিক অর্থায়ননির্ভর প্রকল্পগুলোর বাস্তব অগ্রগতি কাঙ্খিত মাত্রায় পৌঁছাতে পারেনি।

এ ছাড়া, প্রকল্প অনুমোদন প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা ও মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব উন্নয়ন খাতকে দুর্বল করে দিয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন ইউনিটগুলোর দক্ষতার অভাব এবং আগাম প্রস্তুতির ঘাটতি আরও বিলম্ব সৃষ্টি করেছে।

ডলার সংকট এবং আমদানি নিয়ন্ত্রণের নেতিবাচক প্রভাব

দেশে চলমান ডলার সংকটের কারণে আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে সরকার কঠোর নীতি গ্রহণ করে, যার প্রভাবে উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ, কাঁচামাল ও প্রযুক্তিপণ্য আমদানি বিলম্বিত হয়েছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎকেন্দ্র, সেতু এবং ফ্লাইওভারের মতো বড় প্রকল্পগুলোর কাজে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় ও ব্যয়ের ব্যবধান বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার রিজার্ভ হ্রাস পাওয়ায় এলসি খোলা কঠিন হয়ে পড়ে, যার ফলে ঠিকাদাররা সময়মতো মালামাল আমদানি করতে পারেননি। এই প্রভাব প্রকল্প বাস্তবায়নে সরাসরি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।

অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংকট ও বাজেট ঘাটতি

চলতি অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ কম রাজস্ব সংগ্রহ করতে পেরেছে। এতে উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এই ঘাটতি মেটাতে সরকার ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভর করেছে, যার ফলে বেসরকারি খাতে ঋণ সংকট তৈরি হয়েছে এবং মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। ফলে সরকারের পক্ষে স্বাভাবিক গতিতে উন্নয়ন ব্যয় বহন করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও আমলাতান্ত্রিক জড়তা

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন এবং পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। অনেক মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের বদলি, প্রশাসনিক রদবদল ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দেরি হয়েছে। রাজনৈতিক দিক থেকে প্রভাবিত কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি ইচ্ছাকৃতভাবে মন্থর করা হয়েছে, বিশেষ করে যেগুলোর সাফল্য পূর্ববর্তী সরকারের জনপ্রিয়তা বাড়াতে পারত।

এ ছাড়া প্রকল্প পরিচালকদের অনেকেই সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন, যেহেতু প্রশাসনিক বদল এবং আর্থিক জবাবদিহিতা নিয়ে উদ্বেগ বিরাজ করছিল।

প্রকল্প ব্যয় বাড়লেও বাস্তবায়ন কমেছে

বিগত কয়েক বছরে প্রকল্প ব্যয় অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্পের অপ্রয়োজনীয় ব্যয়, অদক্ষতা এবং লুটপাটের সংস্কৃতি এতে ভূমিকা রেখেছে। অনেক প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ হলেও বাস্তব কাজ তেমন হয়নি। এমনকি বছরের শেষে অনেক মন্ত্রণালয় হঠাৎ করে খরচ বাড়িয়ে দেয় ‘বছর শেষ খরচের সংস্কৃতির’ অংশ হিসেবে—যা প্রকৃত উন্নয়নের চেয়ে কাগজে-কলমে কাজ দেখানোর প্রবণতাকে স্পষ্ট করে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও আইএমইডির অসন্তোষ

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) প্রকাশ্যে এডিপি বাস্তবায়নের গতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাস্তব প্রয়োজন ও সক্ষমতার ভিত্তিতে প্রকল্প বাছাই না হওয়ায় এডিপির মান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

আইএমইডি’র বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, অন্তত ৪০ শতাংশ প্রকল্পের কাজ শুরু হতে ১৮ মাসেরও বেশি সময় লেগেছে, যা স্বাভাবিক প্রশাসনিক দক্ষতার প্রশ্ন তোলে।

উন্নয়নের গন্তব্যে পৌঁছাতে চাই রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও দক্ষতা

বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বহু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি—যার মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্বলতা ও বাজেট ঘাটতি উল্লেখযোগ্য। এসব সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য শুধু অর্থ বরাদ্দই যথেষ্ট নয়, বরং প্রয়োজন প্রকৃত বাস্তবায়ন দক্ষতা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা।

বর্তমানে যেভাবে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ধীর গতিতে চলছে, তা একদিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, অন্যদিকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা হারাতে সহায়ক হচ্ছে। উন্নয়ন পরিকল্পনাকে কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবতার ভিত্তিতে অগ্রসর করতে না পারলে এডিপি ব্যর্থতার এই ধারা চলমানই থাকবে।

বাংলাদেশের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি কেন অর্ধশতাব্দীর মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এলো?

০৫:৩৫:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫

অগ্রগতির গতি শ্লথউদ্বেগে অর্থনীতিবিদরা

২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার গত পাঁচ দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে এসেছে। এডিপির এই ভাঙা গতিপথ অর্থনৈতিক পরিকল্পনার স্থবিরতা, বৈদেশিক সহায়তার ওপর নির্ভরতা এবং বৈশ্বিক সংকটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াকে নতুন করে তুলে ধরছে। যেখানে বিগত বছরগুলোতে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের হার ৮৫ শতাংশের উপরে ছিল, সেখানে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে তা নেমে এসেছে মাত্র ৭০.৫ শতাংশে—যা ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বনিম্ন।

বৈদেশিক ঋণনির্ভরতা ও প্রকল্প অনুমোদনের জটিলতা

সরকারের এডিপি বাস্তবায়নের বড় অংশ আজকাল বৈদেশিক ঋণ বা অনুদানের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ-পরবর্তী বৈশ্বিক আর্থিক সংকট, মার্কিন সুদের হার বৃদ্ধি এবং দাতাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বিলম্ব এই সহায়তা পাওয়ার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করেছে। ফলে বহু অবকাঠামো প্রকল্প অর্থসংকটে স্থবির হয়ে পড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, রেল, স্বাস্থ্য ও বিদ্যুৎখাতে বৈদেশিক অর্থায়ননির্ভর প্রকল্পগুলোর বাস্তব অগ্রগতি কাঙ্খিত মাত্রায় পৌঁছাতে পারেনি।

এ ছাড়া, প্রকল্প অনুমোদন প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা ও মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব উন্নয়ন খাতকে দুর্বল করে দিয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন ইউনিটগুলোর দক্ষতার অভাব এবং আগাম প্রস্তুতির ঘাটতি আরও বিলম্ব সৃষ্টি করেছে।

ডলার সংকট এবং আমদানি নিয়ন্ত্রণের নেতিবাচক প্রভাব

দেশে চলমান ডলার সংকটের কারণে আমদানি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে সরকার কঠোর নীতি গ্রহণ করে, যার প্রভাবে উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ, কাঁচামাল ও প্রযুক্তিপণ্য আমদানি বিলম্বিত হয়েছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎকেন্দ্র, সেতু এবং ফ্লাইওভারের মতো বড় প্রকল্পগুলোর কাজে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় ও ব্যয়ের ব্যবধান বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার রিজার্ভ হ্রাস পাওয়ায় এলসি খোলা কঠিন হয়ে পড়ে, যার ফলে ঠিকাদাররা সময়মতো মালামাল আমদানি করতে পারেননি। এই প্রভাব প্রকল্প বাস্তবায়নে সরাসরি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।

অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংকট ও বাজেট ঘাটতি

চলতি অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ কম রাজস্ব সংগ্রহ করতে পেরেছে। এতে উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এই ঘাটতি মেটাতে সরকার ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভর করেছে, যার ফলে বেসরকারি খাতে ঋণ সংকট তৈরি হয়েছে এবং মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। ফলে সরকারের পক্ষে স্বাভাবিক গতিতে উন্নয়ন ব্যয় বহন করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও আমলাতান্ত্রিক জড়তা

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন এবং পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে। অনেক মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের বদলি, প্রশাসনিক রদবদল ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে দেরি হয়েছে। রাজনৈতিক দিক থেকে প্রভাবিত কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি ইচ্ছাকৃতভাবে মন্থর করা হয়েছে, বিশেষ করে যেগুলোর সাফল্য পূর্ববর্তী সরকারের জনপ্রিয়তা বাড়াতে পারত।

এ ছাড়া প্রকল্প পরিচালকদের অনেকেই সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন, যেহেতু প্রশাসনিক বদল এবং আর্থিক জবাবদিহিতা নিয়ে উদ্বেগ বিরাজ করছিল।

প্রকল্প ব্যয় বাড়লেও বাস্তবায়ন কমেছে

বিগত কয়েক বছরে প্রকল্প ব্যয় অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রকল্পের অপ্রয়োজনীয় ব্যয়, অদক্ষতা এবং লুটপাটের সংস্কৃতি এতে ভূমিকা রেখেছে। অনেক প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ হলেও বাস্তব কাজ তেমন হয়নি। এমনকি বছরের শেষে অনেক মন্ত্রণালয় হঠাৎ করে খরচ বাড়িয়ে দেয় ‘বছর শেষ খরচের সংস্কৃতির’ অংশ হিসেবে—যা প্রকৃত উন্নয়নের চেয়ে কাগজে-কলমে কাজ দেখানোর প্রবণতাকে স্পষ্ট করে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও আইএমইডির অসন্তোষ

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) প্রকাশ্যে এডিপি বাস্তবায়নের গতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাস্তব প্রয়োজন ও সক্ষমতার ভিত্তিতে প্রকল্প বাছাই না হওয়ায় এডিপির মান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

আইএমইডি’র বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, অন্তত ৪০ শতাংশ প্রকল্পের কাজ শুরু হতে ১৮ মাসেরও বেশি সময় লেগেছে, যা স্বাভাবিক প্রশাসনিক দক্ষতার প্রশ্ন তোলে।

উন্নয়নের গন্তব্যে পৌঁছাতে চাই রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও দক্ষতা

বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বহু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি—যার মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্বলতা ও বাজেট ঘাটতি উল্লেখযোগ্য। এসব সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য শুধু অর্থ বরাদ্দই যথেষ্ট নয়, বরং প্রয়োজন প্রকৃত বাস্তবায়ন দক্ষতা, রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা।

বর্তমানে যেভাবে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ধীর গতিতে চলছে, তা একদিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, অন্যদিকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা হারাতে সহায়ক হচ্ছে। উন্নয়ন পরিকল্পনাকে কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবতার ভিত্তিতে অগ্রসর করতে না পারলে এডিপি ব্যর্থতার এই ধারা চলমানই থাকবে।