গুণচিতিরন্যাদিহৃতা বিপদাধিকহীন সংগুণা ভক্তা ব্যেকগুণেনান্যা ফলরহিতা হীনেহধিকে ফলযুক্তা।
দ্বিতীয় নিয়মটি হচ্ছে-
অবশ্য ব্রাহ্মস্কুট সিদ্ধান্তের বিখ্যাত টীকাকার পৃথুদকস্বামী দ্বিতীয় পদ্ধতিটি অনুসরণ করেছেন। মহাবীর, নেমীচন্দ্র প্রমুখ গণিতবিদেরাও এই পদ্ধতিই অনুসরণ করেছেন।
মহাবীর গণিতসারসংগ্রহে সাধারণ অন্তর, প্রথম পদ ও পদসংখ্যা বের করতে গিয়ে তিনটি সূত্র দিয়েছেন। দ্বিতীয় অধ্যায়ের ১৭ এবং ১০১ শ্লোকে বলেছেন-
গুণধনমাদিবিভক্তং যত,পদ নিতবধসমং স এব চয়ঃ
গচ্ছপ্রমগুণপ্রহৃতং গুণিতং ভবেত, প্রভবঃ।
যার সংক্ষিপ্ত মমার্থ হচ্ছে-
পদসংখ্যা নির্ণয় করবার সূত্র ১৮ তম শ্লোকে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন-
মুখভক্তে গুণবিত্তে যথা নিরগ্রং তথা গুণনেহৃতে
যাবত যোহত্র শলাকাস্তাবান্ গচ্ছো গুণধনস্থা।
মহাবীরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজ হচ্ছে গুণোত্তর শ্রেণীর যোগফল নির্ণয় করা। তিনি দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৩১৪-তম শ্লোকে এ সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন:গুণচিতিরন্যাদিহৃতা বিপদাধিকহীন সংগুণা ভক্তা ব্যেকগুণেনান্যা ফলরহিতা হীনেহধিকে ফলযুক্তা।
(চলবে)