সমকালের একটি শিরোনাম “ঢাকাকে বাঁচাতে ড্যাপ এখনই বাতিল করা দরকার: স্থপতি ইনস্টিটিউট”
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) প্রণীত ডিটেইল এরিয়া প্লান (ড্যাপ) বাতিলসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট। সংগঠনটি বলেছে, ঢাকাকে বাঁচাতে হলে এই ড্যাপ এখনই বাতিল করা দরকার। সংশোধিত জনবান্ধব নতুন কার্যকর ড্যাপ প্রণয়ন করতে হবে।
রোববার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। ‘জনবৈরী ড্যাপ, বৈষম্যপূর্ণ পরিকল্পনা: নিম্ন নাগরিক বাসযোগ্যতা ও বিপন্ন পরিবেশ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে ড্যাপের ১২টি আইনগত ও তথ্যগত ত্রুটি তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উত্থাপন করেন বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক স্থপতি ড. মাসুদ উর রশিদ। আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি স্থপতি ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ, সহসভাপতি (আন্তর্জাতিক সম্পর্ক) স্থপতি খান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, সহসভাপতি (জাতীয় বিষয়াদি) স্থপতি নওয়াজীশ মাহবুব, সম্পাদক (পেশা) স্থপতি ওয়াহিদ আসিফ প্রমুখ।
চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- বর্তমান স্ট্রাকচার প্ল্যান ও তিনধাপভিত্তিক মহাপরিকল্পনার সর্বশেষ তৃতীয় ধাপের গেজেটকৃত ড্যাপ (২০২২-২০৩৫) বাতিল করা; রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আইনের সঠিক ও যৌক্তিক বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল ও সহজলভ্য ভূমি ব্যবহার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন; প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট সকল দুর্যোগের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে দুর্যোগ সহনীয় একটি অংশগ্রহণমূলক ও হালনাগাদ মৌজাভিত্তিক ড্যাপ তৈরি এবং তা প্রতি পাঁচ বছর অন্তর পর্যালোচনা ও পরিচালনা করা এবং বৃহত্তর ঢাকা মহানগরীসহ গাজীপুর, সাভার, কেরানীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ এলাকা নিয়ে অবিলম্বে প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট সকল দুর্যোগ সহনশীলতা বিবেচনায় নিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক, পরিবেশবান্ধব, জনবান্ধব ও বৈষম্যহীন আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন তিনধাপ ভিত্তিক ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা প্রণয়ন, যেখানে সরকারের ক্লাইমেট চেঞ্জ, এসডিজি, সেনডিয়াল অ্যাগ্রিমেন্ট, জিরো ইমিশনস, ডি-কার্বোনাইজেশন ইত্যাদি আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতির যথাযথ সংযোজন নিশ্চিত করা হবে।
আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “গাজীপুরে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, সাংবাদিকসহ আহত ১০”
গাজীপুরের শ্রীপুরে বকেয়া বেতনসহ ১০ দফা দাবিতে আরএকে সিরামিক কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এতে মহাসড়কের দুপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আটকা পড়েন অফিসগামী যাত্রীরা।
শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে গেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ব্যাপক ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তাঁদের ছাত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস (টিয়ার গ্যাস) ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। তবে তাৎক্ষণিক তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনা বাজার এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কারখানার কয়েক শ শ্রমিক। সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সকাল ১০টার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কারখানার শ্রমিক মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। এ সময় হঠাৎ করে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে অনেক শ্রমিক আহত হন।’
কারখানার শ্রমিক মনির হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘ সাত মাসের চুক্তি (অ্যাগ্রিমেন্ট) অনুযায়ী বেতন-ভাতা বকেয়া পড়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ আজ নয়, কাল—এমন করে আমাদের শ্রমিকদের ঘোরাচ্ছেন। আমাদের তো সংসার আছে। ছেলেমেয়েদের স্কুলের বেতন পরিশোধ করতে হয়। কারখানা কর্তৃপক্ষ কেন আমাদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করছে না? নির্দিষ্ট যে বেতন, তা দিয়ে আমাদের সংসার চলে না। বাধ্য হয়ে কারখানার শ্রমিকেরা রাস্তায় নেমেছি। দাবি আদায় করেই ফিরব।’
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “বৈষম্যবিরোধীর ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা”
রাজধানীর গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে আটক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫ জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গুলশান থানা সূত্র জানিয়েছে, শনিবার রাতে হাতেনাতে আটকৃতদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন ও সাদাব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ সংগঠক ও কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সেলের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ ও আমিনুল ইসলাম।
এর আগে শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা। শাম্মী বিদেশে থাকায় তার স্বামীর কাছে এ চাঁদা দাবি করা হয়। কয়েক দিন আগে তারা ওই বাসায় গিয়ে ১০ লাখ টাকা নিয়ে আসেন। শনিবার রাত ৮টার দিকে তারা আবার ওই বাসায় যান স্বর্ণালংকার আনতে। সে সময় বাড়ির লোকজন পুলিশকে খবর দিলে পাঁচজনকে আটক করে থানায় নেয়া হয়।
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “গাজার নামে তহবিল সংগ্রহ, বাংলাদেশ থেকে অর্থ পৌঁছায় কি?”
ইসরায়েলি আগ্রাসনে ‘গাজা’ এখন ধ্বংসস্তূপ। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এ নগরী বহুদিন ধরে পরিচিত বিশ্বের বৃহত্তম কারাগার হিসেবে। গত দেড় বছরে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা, গুলি আর অবরোধে হাজার হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে আছে অসংখ্য শিশু। অবরুদ্ধ এ নগরে এখন দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি চললেও ত্রাণ কিংবা অন্য কোনো মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় প্রবেশ নিষিদ্ধ জাতিসংঘের ত্রাণও। গত জুনে গাজায় ত্রাণসহায়তা নিয়ে গিয়েছিলেন বিখ্যাত জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। কিন্তু তার সে প্রচেষ্টাও সফল হয়নি।
এমন পরিস্থিতিতে গাজাবাসীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বানে নগদ অর্থ ও ত্রাণ সংগ্রহ চলছে বাংলাদেশে। কয়েক বছর ধরে চলে আসা এ তৎপরতা সম্প্রতিক সময়ে জোরালো হয়েছে। বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গাজাবাসীকে সহায়তা করার জন্য নগদ অর্থ তুলছে। কেউ কেউ নগদ অর্থের পরিবর্তে খাদ্য ও চিকিৎসাসামগ্রী সংগ্রহ করছে। ফিলিস্তিনের প্রতি সহানুভূতিশীল মানুষ বিনা প্রশ্নেই নিজেদের অর্থ অনেক ব্যক্তি ও সংস্থার হাতে তুলে দিচ্ছেন। তবে বাংলাদেশ থেকে সহায়তার নামে উত্তোলিত এ ‘সাহায্য’ গাজায় আদৌ পৌঁছাচ্ছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সংগৃহীত নগদ অর্থ বা ত্রাণসহায়তা গাজায় পৌঁছাতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ ধরনের অনুমোদন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নেয়নি বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। অনুমোদন না নেয়ায় এসব অর্থ অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাঠানো হচ্ছে কিনা সেটি নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
গাজাবাসীর পাশে দাঁড়াতে নগদ অর্থ ও ত্রাণ সংগ্রহ করছে বাংলাদেশে অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসও। বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের পাশাপাশি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (এমএফএস) মাধ্যমে দূতাবাসটি নগদ সহায়তা গ্রহণ করছে। দূতাবাসের মাধ্যমে সংগৃহীত এসব ত্রাণসহায়তা গাজার মানুষের কাছে কতটা পৌঁছাচ্ছে তা নিয়েও বিতর্ক আছে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলছেন, ‘গাজা এখন পুরোপুরি বিধ্বস্ত ও অবরুদ্ধ নগরী। সেখানে জাতিসংঘের ত্রাণও পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ত্রাণ সেখানে কোনোভাবেই পৌঁছানো সম্ভব নয়।’