সাবেক ইন্ডিয়ানা গভর্নর এবং রাজ্যের রিপাবলিকান রাজনীতির প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব মিচ ড্যানিয়েলস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী সীমানা পুনর্নির্ধারণ (রিডিস্ট্রিক্টিং) উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ট্রাম্প চাইলে নীরব থাকতে পারতেন, কিন্তু অযথা বিষয়টিকে দলীয় সংঘাতে রূপ দিয়েছেন।
দলীয় স্বার্থে সীমানা পরিবর্তন নিয়ে অভিযোগ
ড্যানিয়েলসের মতে, ট্রাম্পের এই মন্তব্য সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়টিকে অতিমাত্রায় দলীয় করে তুলেছে। যদিও তিনি স্বীকার করেছেন, ডেমোক্র্যাটরাও অতীতে রিপাবলিকানদের বিরুদ্ধে একই ধরনের রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, এখন যেন “ভণ্ডামির মৌসুম” চলছে, কারণ দুই দলই সুবিধা পেলেই গেরিম্যান্ডারিং করেছে।

ইন্ডিয়ানায় অতিরিক্ত আসন পাওয়ার সম্ভাবনা কম
বর্তমান ইন্ডিয়ানা গভর্নর মাইক ব্রন এখনো বিশেষ অধিবেশন ডাকার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেননি। ড্যানিয়েলস মনে করেন, ইন্ডিয়ানা ইতোমধ্যেই রিপাবলিকান শক্ত ঘাঁটি—নয়টির মধ্যে সাতটি কংগ্রেসনাল আসন তাদের দখলে। তার ভাষায়, “আরেকটি আসন পাওয়ার জন্য সীমানা এমনভাবে পরিবর্তন করতে হবে যা খুবই অস্বাভাবিক ও প্রকাশ্য দলীয় পদক্ষেপ হবে।”
সীমানা পুনর্নির্ধারণের আদর্শ মানদণ্ড
ড্যানিয়েলসের মতে, যদি সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতেই হয়, তবে সেটি হওয়া উচিত ভৌগোলিকভাবে যৌক্তিক এবং যত কম সম্ভব প্রশাসনিক সীমা অতিক্রম করা উচিত।
ডেমোক্র্যাটদের সীমিত প্রভাব
যদি ব্রন বিশেষ অধিবেশন ডাকেন, ইন্ডিয়ানার ডেমোক্র্যাটদের তেমন প্রভাব থাকবে না, কারণ রিপাবলিকানরা রাজ্য আইনসভায় সুপারমেজরিটি ধরে রেখেছে। ড্যানিয়েলস জানান, এ বিষয়ে তিনি হাউস স্পিকার টড হিউস্টনের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি।

অতীতের অভিজ্ঞতা ও গেরিম্যান্ডারিংয়ের প্রভাব
ড্যানিয়েলস নিজে রাজ্যে রিপাবলিকানদের সুপারমেজরিটি গঠনের অন্যতম স্থপতি ছিলেন। তিনি গত বছর ওয়াশিংটন পোস্টে এক নিবন্ধে একদলীয় শাসন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তার মতে, একসময় গেরিম্যান্ডারিং একটি দলের আধিপত্য বাড়ানোর মূল কৌশল ছিল, কিন্তু এখন সামাজিক বিভাজন ও জনসংখ্যার বিন্যাস প্রাকৃতিকভাবেই সেই প্রভাব ফেলছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক এলাকা তৈরি করতে হলে উল্টোভাবে সীমানা টেনে বিভিন্ন এলাকা জোড়া লাগাতে হয়।
প্রতিযোগিতাহীন রাজনীতি নিয়ে শঙ্কা
পলিটিকোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড্যানিয়েলস বলেন, গেরিম্যান্ডারিংয়ের কারণে আমরা আর ভারসাম্যপূর্ণ ও প্রতিযোগিতামূলক এলাকা পাই না, যা একটি সুস্থ রাজনৈতিক ব্যবস্থার জন্য অপরিহার্য।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















