দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্র সফর
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সফরে রয়েছেন। দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ অধিদপ্তর (আইএসপিআর) রবিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তিনি মার্কিন সামরিক ও রাজনৈতিক শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন।
এটি গত কয়েক মাসের মধ্যে মুনিরের দ্বিতীয় যুক্তরাষ্ট্র সফর। এর আগে জুন মাসে তিনি পাঁচ দিনের সফরে প্রথমবারের মতো কোনো কর্মরত পাকিস্তানি সেনাপ্রধান হিসেবে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেছিলেন। দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা সেই বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য বাণিজ্য, জ্বালানি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা হয়।
মার্কিন সেন্টকম নেতৃত্ব পরিবর্তনের অনুষ্ঠান
বর্তমান সফরে ফিল্ড মার্শাল মুনির ফ্লোরিডার ট্যাম্পায় অনুষ্ঠিত মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্টকম) অবসর গ্রহণ অনুষ্ঠান ও নেতৃত্ব পরিবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। বিদায়ী কমান্ডার জেনারেল মাইকেল ই. কুরিলার প্রশংসা করে তিনি বলেন, তার নেতৃত্ব দ্বিপাক্ষিক সামরিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। একইসঙ্গে নতুন সেন্টকম কমান্ডার অ্যাডমিরাল ব্রাড কুপারের সঙ্গে নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

কৌশলগত স্বার্থে আলোচনা
মুনির মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইনের সঙ্গে কৌশলগত স্বার্থ ও পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি জেনারেল কেইনকে নিকট ভবিষ্যতে পাকিস্তান সফরের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান। পাশাপাশি বিভিন্ন মিত্র দেশের প্রতিরক্ষা প্রধানদের সঙ্গেও তার আলাপ হয়, যা বহুপাক্ষিক সামরিক সহযোগিতা জোরদারের প্রতি পাকিস্তানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে।
প্রবাসী পাকিস্তানিদের সঙ্গে মতবিনিময়
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত পাকিস্তানি প্রবাসীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সেনাপ্রধান তাদের দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী থাকার আহ্বান জানান। তিনি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের প্রচেষ্টায় প্রবাসীদের সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বানও জানান। আইএসপিআর জানায়, প্রবাসীরা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
জুন সফরের পর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি
মুনিরের জুন সফরের পর ইসলামাবাদ ও ওয়াশিংটন বহু প্রতীক্ষিত একটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করে। এর আওতায় পাকিস্তানের অনাবিষ্কৃত তেলসম্পদ যৌথভাবে উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রকাশ্যে চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ প্রকল্প বাস্তবায়নে দুই দেশ একটি উপযুক্ত জ্বালানি কোম্পানি নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















