১১:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
ভিয়েতনামের ক্রেডিট কোটা সংস্কার: অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে আধুনিকায়নের প্রয়োজন আমেরিকার শীর্ষ আর্থিক পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান ২০২৬ গ্যাভিন নিউসমই ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডেমোক্র্যাটদের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় প্রার্থী। ইসরায়েল জনপ্রিয় না হলেও তার অস্ত্রের চাহিদা রয়েছে টি–২০ বিশ্বকাপ সামনে, নিউজিল্যান্ড সিরিজেই গড়ে উঠছে ভারতের মূল দল জাপানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বয়সী রক্ষাকবচদের সংকট ভিয়েতনামে ক্রেডিট কোটা সংস্কার: অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে আধুনিকায়নের প্রয়োজন হারিকেন মেলিসার পর জ্যামাইকায় লেপটোস্পাইরোসিসে প্রাণহানি তাজমহলে মিস ইউনিভার্স শুটের সময় অসুস্থ হন সুস্মিতা সেন ছুটির মৌসুমে রাজনীতির নয়, পরিবারের পাশে দাঁড়ান

ট্রাম্প–পুতিন আলাস্কা বৈঠক: যুদ্ধ শেষ নয়, অনিশ্চয়তার নতুন অধ্যায়

বৈঠকের ফলাফল
আলাস্কার অ্যানকারেজে অনুষ্ঠিত ট্রাম্প–পুতিন শীর্ষ বৈঠক থেকে ইউক্রেন যুদ্ধে কোনো যুদ্ধবিরতি বা চূড়ান্ত চুক্তি আসেনি। দুই নেতা অগ্রগতির দাবি করলেও সেটি কেবল মৌখিক; কোনো নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি বা পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়নি।

ট্রাম্প বৈঠক শেষে মন্তব্য করেন, “ইউক্রেনকে একটি চুক্তি করতে হবে।” অন্যদিকে পুতিন তার দীর্ঘদিনের অবস্থানই পুনর্ব্যক্ত করেন—যুদ্ধের “মূল কারণ” দূর করা এবং রাশিয়ার “নিরাপত্তা উদ্বেগ” মেটানো ছাড়া সমাধান সম্ভব নয়।

জেলেনস্কির প্রতিক্রিয়া
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করে সহযোগিতার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি “গঠনমূলক সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত” এবং এ উদ্দেশ্যে শিগগিরই ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন।

পশ্চিমাদের অবস্থান
বৈঠক শেষে পশ্চিমা দেশগুলো সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ন্যাটো এবং চেক প্রজাতন্ত্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা স্পষ্ট করে বলেছেন, “পুতিন শান্তি চান না, বরং পশ্চিমাদের বিভক্ত করতে চাইছেন।” ফলে ট্রাম্প ও পুতিনের অগ্রগতির দাবি নিয়ে ইউরোপীয় নেতারা সন্দিহান।

যুদ্ধক্ষেত্রের বাস্তবতা
বৈঠকের দিনও যুদ্ধ বন্ধ হয়নি। ইউক্রেনে রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর পাওয়া গেছে। কিয়েভ দাবি করেছে, অন্তত ৮৫টি ড্রোন ও একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়, যার মধ্যে ৬১টি ধ্বংস করা হয়েছে। এই বাস্তবতা দেখাচ্ছে, আলোচনার টেবিলে অগ্রগতি দাবি থাকলেও যুদ্ধক্ষেত্রে পরিস্থিতি অপরিবর্তিত।

ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ইতিহাসবিদদের মতে, এ রাউন্ডে পুতিন কূটনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছেন। কারণ, তিনি কোনো ছাড় না দিয়েও ‘অগ্রগতির’ দাবিকে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন। একজন ইতিহাসবিদ মন্তব্য করেন, “পুতিন কিছু না দিয়ে কিছু পেয়েছেন।”

ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভবিষ্যতে আরও বৈঠক হতে পারে। এমনকি তিনি বলেছেন, পরবর্তী বৈঠকে জেলেনস্কিও থাকতে পারেন। তবে এ নিয়ে কোনো সময়সূচি বা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়নি। আপাতত সম্ভাব্য একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের কথা আলোচনায় রয়েছে, যা অনিশ্চিত রয়ে গেছে।

আলাস্কা বৈঠক থেকে যুদ্ধবিরতি বা সমঝোতার পথ সুগম হয়নি। ট্রাম্প ইউক্রেনকে চুক্তির পথে যেতে বললেও, পুতিন তার পুরনো শর্তে অটল থেকেছেন। জেলেনস্কি সহযোগিতার ইঙ্গিত দিলেও পশ্চিমাদের মধ্যে আশঙ্কা আরও গভীর হয়েছে। বাস্তবে যুদ্ধ যেমন চলছে, তেমনি কূটনীতির মঞ্চে অনিশ্চয়তাও অব্যাহত রয়েছে। এই পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তি থেকে এখনো অনেক দূরে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভিয়েতনামের ক্রেডিট কোটা সংস্কার: অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে আধুনিকায়নের প্রয়োজন

ট্রাম্প–পুতিন আলাস্কা বৈঠক: যুদ্ধ শেষ নয়, অনিশ্চয়তার নতুন অধ্যায়

০৪:৩০:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

বৈঠকের ফলাফল
আলাস্কার অ্যানকারেজে অনুষ্ঠিত ট্রাম্প–পুতিন শীর্ষ বৈঠক থেকে ইউক্রেন যুদ্ধে কোনো যুদ্ধবিরতি বা চূড়ান্ত চুক্তি আসেনি। দুই নেতা অগ্রগতির দাবি করলেও সেটি কেবল মৌখিক; কোনো নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি বা পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়নি।

ট্রাম্প বৈঠক শেষে মন্তব্য করেন, “ইউক্রেনকে একটি চুক্তি করতে হবে।” অন্যদিকে পুতিন তার দীর্ঘদিনের অবস্থানই পুনর্ব্যক্ত করেন—যুদ্ধের “মূল কারণ” দূর করা এবং রাশিয়ার “নিরাপত্তা উদ্বেগ” মেটানো ছাড়া সমাধান সম্ভব নয়।

জেলেনস্কির প্রতিক্রিয়া
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করে সহযোগিতার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি “গঠনমূলক সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত” এবং এ উদ্দেশ্যে শিগগিরই ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন।

পশ্চিমাদের অবস্থান
বৈঠক শেষে পশ্চিমা দেশগুলো সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ন্যাটো এবং চেক প্রজাতন্ত্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা স্পষ্ট করে বলেছেন, “পুতিন শান্তি চান না, বরং পশ্চিমাদের বিভক্ত করতে চাইছেন।” ফলে ট্রাম্প ও পুতিনের অগ্রগতির দাবি নিয়ে ইউরোপীয় নেতারা সন্দিহান।

যুদ্ধক্ষেত্রের বাস্তবতা
বৈঠকের দিনও যুদ্ধ বন্ধ হয়নি। ইউক্রেনে রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর পাওয়া গেছে। কিয়েভ দাবি করেছে, অন্তত ৮৫টি ড্রোন ও একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়, যার মধ্যে ৬১টি ধ্বংস করা হয়েছে। এই বাস্তবতা দেখাচ্ছে, আলোচনার টেবিলে অগ্রগতি দাবি থাকলেও যুদ্ধক্ষেত্রে পরিস্থিতি অপরিবর্তিত।

ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ইতিহাসবিদদের মতে, এ রাউন্ডে পুতিন কূটনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছেন। কারণ, তিনি কোনো ছাড় না দিয়েও ‘অগ্রগতির’ দাবিকে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছেন। একজন ইতিহাসবিদ মন্তব্য করেন, “পুতিন কিছু না দিয়ে কিছু পেয়েছেন।”

ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভবিষ্যতে আরও বৈঠক হতে পারে। এমনকি তিনি বলেছেন, পরবর্তী বৈঠকে জেলেনস্কিও থাকতে পারেন। তবে এ নিয়ে কোনো সময়সূচি বা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়নি। আপাতত সম্ভাব্য একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের কথা আলোচনায় রয়েছে, যা অনিশ্চিত রয়ে গেছে।

আলাস্কা বৈঠক থেকে যুদ্ধবিরতি বা সমঝোতার পথ সুগম হয়নি। ট্রাম্প ইউক্রেনকে চুক্তির পথে যেতে বললেও, পুতিন তার পুরনো শর্তে অটল থেকেছেন। জেলেনস্কি সহযোগিতার ইঙ্গিত দিলেও পশ্চিমাদের মধ্যে আশঙ্কা আরও গভীর হয়েছে। বাস্তবে যুদ্ধ যেমন চলছে, তেমনি কূটনীতির মঞ্চে অনিশ্চয়তাও অব্যাহত রয়েছে। এই পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তি থেকে এখনো অনেক দূরে।