০১:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের জন্য যে ধ্বংসাত্মক কৌশল বানিয়েছিল, এখন তার শিকার নিজেই যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রি করবে: ট্রাম্প যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থীদের ওপর কঠোরতা বাড়ছে ট্রাম্পের শুল্ক সিদ্ধান্ত ১০০ কোটি ডলারের ফিলিপাইনি কৃষিপণ্যে ‘পারস্পরিক’ শুল্ক বাদ তাইওয়ানে প্রাক্তন টিএসএমসি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তদন্ত রাশিয়ার ড্রোন-কেন্দ্রিক সামরিক নীতি: আধুনিক যুদ্ধের নতুন মানদণ্ড এসসিও বৈঠকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহনশীলতা’র আহ্বান ভারতের আরও পরিষ্কার সুরে ফিরে আসা: বেঁচে ওঠা সুইডিশ র‍্যাপার ইয়াং লিন পানীয়, পালক আর রহস্যময় খুন: ‘পাম রয়্যাল’ সিজন টু-তে জমে উঠছে আরও নাটক যুক্তরাজ্যে যৌনসহিংসতার উদ্বেগজনক চিত্র: অর্ধেকের কাছাকাছি কিশোর যৌনসম্পর্কে শ্বাসরোধের অভিজ্ঞতা

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাতিল

দলীয় প্রতীক ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচন

সরকার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বরাদ্দের নিয়ম বাতিল করেছে। এ বিষয়ে একটি অধ্যাদেশে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীন। ফলে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আর দলীয় প্রতীকের অধীনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ থাকবে না।

অধ্যাদেশ কেন ও কিভাবে কার্যকর হলো

সোমবার গেজেট আকারে প্রকাশিত এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে চারটি বিদ্যমান স্থানীয় সরকার আইন সংশোধন করা হয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে কোনো প্রার্থী আর দলীয় মনোনয়ন বা প্রতীক নিয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

এর আগে ১ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় চারটি খসড়া অধ্যাদেশ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠায়। পরে ২৪ জুলাই উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সম্মতির পর এটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়।

দলীয় প্রতীকের সূচনা ও বিতর্ক

২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রথম দলীয় প্রতীক চালু হয়। তবে শুরু থেকেই রাজনৈতিক মহল ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের অনেকেই এর বিরোধিতা করে আসছিলেন। তাদের মতে, দলীয় প্রতীক নির্বাচনকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে দলীয় প্রতিযোগিতা ও বিভাজনের দিকে ঠেলে দিয়েছিল।

কমিশনের দীর্ঘদিনের দাবি

অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন এবং স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন বহুদিন ধরে দলীয় প্রতীক বাদ দেওয়ার সুপারিশ করছিল। তাদের যুক্তি, দলীয় প্রতীক না থাকলে নিরপেক্ষ ও যোগ্য অনেক ব্যক্তি নির্বাচনে আসতে উৎসাহিত হবেন। এতে স্থানীয় সরকারের কাজে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বাড়বে।

ভবিষ্যতে সম্ভাব্য প্রভাব

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিবর্তন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। একদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর নিয়ন্ত্রণ কমবে, অন্যদিকে তৃণমূলের মানুষের অংশগ্রহণ বাড়বে। ফলে যারা দলীয় রাজনীতির বাইরে থেকেও জনপ্রিয় ও যোগ্য, তারাও নির্বাচনে দাঁড়ানোর সুযোগ পাবেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের জন্য যে ধ্বংসাত্মক কৌশল বানিয়েছিল, এখন তার শিকার নিজেই

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাতিল

০২:১১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫

দলীয় প্রতীক ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচন

সরকার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বরাদ্দের নিয়ম বাতিল করেছে। এ বিষয়ে একটি অধ্যাদেশে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দীন। ফলে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আর দলীয় প্রতীকের অধীনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ থাকবে না।

অধ্যাদেশ কেন ও কিভাবে কার্যকর হলো

সোমবার গেজেট আকারে প্রকাশিত এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে চারটি বিদ্যমান স্থানীয় সরকার আইন সংশোধন করা হয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে কোনো প্রার্থী আর দলীয় মনোনয়ন বা প্রতীক নিয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

এর আগে ১ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় চারটি খসড়া অধ্যাদেশ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠায়। পরে ২৪ জুলাই উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সম্মতির পর এটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়।

দলীয় প্রতীকের সূচনা ও বিতর্ক

২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রথম দলীয় প্রতীক চালু হয়। তবে শুরু থেকেই রাজনৈতিক মহল ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের অনেকেই এর বিরোধিতা করে আসছিলেন। তাদের মতে, দলীয় প্রতীক নির্বাচনকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে দলীয় প্রতিযোগিতা ও বিভাজনের দিকে ঠেলে দিয়েছিল।

কমিশনের দীর্ঘদিনের দাবি

অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন এবং স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন বহুদিন ধরে দলীয় প্রতীক বাদ দেওয়ার সুপারিশ করছিল। তাদের যুক্তি, দলীয় প্রতীক না থাকলে নিরপেক্ষ ও যোগ্য অনেক ব্যক্তি নির্বাচনে আসতে উৎসাহিত হবেন। এতে স্থানীয় সরকারের কাজে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বাড়বে।

ভবিষ্যতে সম্ভাব্য প্রভাব

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিবর্তন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। একদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর নিয়ন্ত্রণ কমবে, অন্যদিকে তৃণমূলের মানুষের অংশগ্রহণ বাড়বে। ফলে যারা দলীয় রাজনীতির বাইরে থেকেও জনপ্রিয় ও যোগ্য, তারাও নির্বাচনে দাঁড়ানোর সুযোগ পাবেন।