ট্রাম্প প্রশাসনের বড় পদক্ষেপ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ৩৭ জন বর্তমান ও সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তার নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেছে। অভিযোগ করা হয়েছে, তারা ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থে গোয়েন্দা তথ্য রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছেন।
এই পদক্ষেপটি জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক (DNI) তুলসি গ্যাবার্ড সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত এক স্মারকে ঘোষণা করেন। তিনি জানান, প্রেসিডেন্টের নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
কারা অন্তর্ভুক্ত
যাদের ছাড়পত্র বাতিল করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও বারাক ওবামার আমলে দায়িত্ব পালন করা বেশ কিছু নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
তবে এখনও স্পষ্ট নয়, তালিকাভুক্ত ৩৭ জনের সবাই কি না বর্তমানে সক্রিয় ছাড়পত্রের অধিকারী ছিলেন।
গ্যাবার্ডের অভিযোগ
গ্যাবার্ড বলেন, এই কর্মকর্তারা “জনগণের আস্থা ভঙ্গ করেছেন”। তারা অনুমোদন ছাড়া গোপন তথ্য ফাঁস করেছেন, গোয়েন্দা তথ্য বিকৃত করেছেন এবং নৈতিক মানদণ্ড লঙ্ঘন করেছেন।
তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “নিরাপত্তা ছাড়পত্র পাওয়া কোনো অধিকার নয়, বরং একটি সুযোগ। যারা সংবিধানের শপথ ভঙ্গ করে নিজেদের স্বার্থকে জনগণের স্বার্থের ওপরে স্থান দিয়েছেন, তারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।”
তবে এই অভিযোগের পক্ষে গ্যাবার্ড কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করেননি।
পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা
এটি প্রথম নয়। ট্রাম্প প্রশাসনের আগেও কিছু কর্মকর্তার নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেছে।
এর মধ্যে ছিলেন বাইডেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস এবং কংগ্রেস সদস্যরা, যারা চার বছর আগে ক্যাপিটল দাঙ্গার তদন্তে জড়িত ছিলেন।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
ডেমোক্র্যাটরা এই পদক্ষেপকে রাজনৈতিক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার কৌশল বলে আখ্যা দিয়েছে। তারা অভিযোগ করেছে, ট্রাম্প প্রশাসন অজনপ্রিয় নীতি এবং ট্রাম্পের বিতর্কিত অতীত থেকে মনোযোগ সরাতে এমন ব্যবস্থা নিচ্ছে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার মুখপাত্র বলেন, “এগুলো অদ্ভুত অভিযোগ, যা মূলত একটি দুর্বল কৌশল।”
গোয়েন্দা সংস্থায় সংস্কার
একই সঙ্গে গ্যাবার্ড ঘোষণা করেছেন, জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের কার্যালয় (ODNI)-এর কর্মী সংখ্যা ৪০ শতাংশ কমানো হবে এবং বাজেট থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলার কেটে দেওয়া হবে।
তার মতে, গত দুই দশকে সংস্থাটি “অতিরিক্ত ফুলে ওঠা, অকার্যকর এবং ক্ষমতার অপব্যবহারে জর্জরিত” হয়েছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, গোয়েন্দা সম্প্রদায়কে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে, যাতে তারা “পক্ষপাতহীন, নিরপেক্ষ ও সময়োপযোগী তথ্য” প্রদান করতে পারে।
রাশিয়া তদন্ত ও বিতর্ক
সাম্প্রতিক সময়ে গ্যাবার্ড ও ট্রাম্প বিশেষভাবে সমালোচনা করছেন ওবামা আমলের গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের, যারা ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের প্রমাণ উপস্থাপন করেছিলেন।
ট্রাম্প ও গ্যাবার্ড এই মূল্যায়নকে “রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র” বলে অভিহিত করেছেন।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















