তাঁর ড্রইংয়ে খানিকটা অ্যামেচারিশ আবার খানিকটা পেশাদার শিল্পীর ভাব লক্ষণীয়। তার অধিকাংশ ড্রইং বা খসড়া বা স্টাডি, কয়েকটি জলরং।
ঢাকা নিয়ে এরপর যার ছবি সবচেয়ে বেশি পাওয়া (১৮১২-১৮৮৪]। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ফৌজে গেছে তিনি হলেন জোসেফ স্কট ফিলিপস সালে দমদমে নিযুক্ত ছিলেন দ্বিতীয় লেফটেন্যান্ট হিসেবে। সে সময় সুন্দরবন হয়ে জলপথে ঢাকা এসেছিলেন। ছবিগুলি বা ড্রইংগুলি সে সময়ে করা। সেগুলি ১৯৮৭ সনে কিনেছিল ইন্ডিয়া এফিস। ফিলিপসের একটি ছবির অ্যালবাম যেখানে ৬৪টি ছবি ছিল। তার মধ্যে রমনার কালীমন্দিরের জলরংটি আমার প্রিয় যা আমার স্মৃতিবিস্মৃতির নগরীতে প্রথম ছাপা হয়।
ফিলিপস অ্যামেচার শিল্পী কিন্তু তাঁর পিতা ছিলেন রয়াল একাডেমির বিখ্যাত অধ্যাপক। অর্থাৎ চিত্রকলার মধ্যেই তিন বড় হয়েছেন সফল করেছেন। তাই তাঁর ড্রইংয়ে খানিকটা অ্যামেচারিশ আবার খানিকটা পেশাদার শিল্পীর ভাব লক্ষণীয়। তার অধিকাংশ ড্রইং বা খসড়া বা স্টাডি, কয়েকটি জলরং।
সুন্দরবন থেকে ঢাকা আসার সময় যে ক’টি স্টাডি করেছিলেন পেনসিলে তা যেকোনো সাধারণ শিল্পীর স্টাডির মতো, উল্লেখযোগ্য লাক্ষার তীরের নৌকার ড্রইংটি। এর বিন্যাস ভিন্ন রকম, জলরংয়ের আবহ আছে। নৌকোর গড়নের যে চিত্রটি তুলে ধরেছেন তাতে গতিময়তা আছে। অন্যান্য অনেকের মতো ঢাকার মন্দির, মসজিদের স্কেচ করেছেন বেশ কটি। নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে তিনটি মন্দির এবং একটি মসজিদের। এর মধ্যে বিখ্যাত রাজনগর মন্দিরের ড্রইংটি। ড্রইংয়ের উল্টোদিকে লিখেছেন ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিমে রাজনগরের হিন্দু মন্দির। পাশেও আরেকটি মন্দির। সেগুলি তখন পরিত্যক্ত।
এছাড়া ঢাকার তিনটি প্রত্নসম্পদের ড্রইং করেছেন ফিলিপস। একটি ঢাকার অদূরে একটি মঠ, শ্যামপুর পোল ও ডা. ল্যাম্বের বাগানে মসজিদ।
(চলবে)
মুনতাসীর মামুন 



















