আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের ঘোষণায় ভোটগ্রহণ, প্রার্থীপত্র দাখিল, নির্বাচনী প্রচারণা এবং ফলাফল ঘোষণার সময়সূচি তুলে ধরা হয়েছে। তবে কমিশনের এই উদ্যোগে রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বিএনপির সমর্থন
ঘোষিত রোডম্যাপকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটির নেতারা বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা তাদের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন হলে জনগণ তাদের ভোটাধিকার অবাধে প্রয়োগ করতে পারবে। একই সঙ্গে তারা কমিশনের প্রতি নিরপেক্ষতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে।

জামায়াত ও এনসিপির প্রত্যাখ্যান
অন্যদিকে জামায়াত ইসলামী ও ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) রোডম্যাপকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের মতে, কমিশনের ঘোষণায় স্বচ্ছতা ও আস্থার ঘাটতি রয়েছে। এই দুটি দল অভিযোগ করেছে, পরিকল্পিত নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে না। তারা নির্বাচনের আগে বিকল্প কর্মসূচি গ্রহণ ও রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করার ইঙ্গিত দিয়েছে।
ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোট
কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর বিভক্ত প্রতিক্রিয়া নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলেও জামায়াত ও এনসিপির অনুপস্থিতি নির্বাচনের প্রতিযোগিতা ও বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নির্বাচন ঘিরে অনিশ্চয়তা
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর এখন মূল চ্যালেঞ্জ হলো সব রাজনৈতিক দলের আস্থা অর্জন করা। সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা ছাড়া নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখা কঠিন হবে। বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন হলে ভোটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক বাড়তে পারে।
সব মিলিয়ে, নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচন নির্ধারিত হলেও ভাগ্য নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ ও কমিশনের নিরপেক্ষ অবস্থানের ওপর।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















