১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
আলোকে শিল্পে রূপ দেওয়া লিন্ডসি অ্যাডেলম্যান পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ ‘ইনল্যান্ড টাইপ্যান’: প্রাণঘাতী বিষ, শান্ত স্বভাবের এই সরীসৃপের অজানা বিস্ময় কুমিল্লায় দায়িত্ব পালনকালে অসুস্থ হয়ে পুলিশের মৃত্যু রবিবার থেকে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা ভিয়েতনামী ঔপন্যাসিক ড. ফান কুয়ে মাই শারজাহ বইমেলায় পাঠকদের মুগ্ধ করলেন মংলায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ প্রবাসী নারী পর্যটক ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ৮৩৪ জন পাকিস্তানের দুর্ভিক্ষের বছর? প্রতিবন্ধী চাকরিপ্রত্যাশীদের আমরণ অনশন ৬৫ ঘণ্টা অতিক্রম, সরকারের নীরবতা অব্যাহত গণভোটের কোনো সাংবিধানিক ভিত্তি নেই: বিএনপি নেতা আমীর খসরু

বাংলাদশে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অনাগ্রহের কারণ

বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রতি মানুষের আগ্রহ তুলনামূলকভাবে কম। এর প্রধান কারণ হলো দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাব্যবস্থায় গবেষণা ও পরীক্ষামূলক শিক্ষার যথাযথ পরিবেশ তৈরি না হওয়া। স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে বিজ্ঞানের বই পড়ানো হলেও ল্যাবরেটরি ভিত্তিক শিক্ষা ও কৌতূহল জাগানো কার্যক্রম সীমিত। ফলে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের প্রতি বাস্তবমুখী আকর্ষণ পায় না।

অর্থনৈতিক ও কর্মসংস্থানের চাপ

অর্থনৈতিক বাস্তবতাও একটি বড় কারণ। অধিকাংশ শিক্ষার্থী দ্রুত কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে পড়াশোনা করে এবং বিজ্ঞানের মৌলিক গবেষণার প্রতি দীর্ঘমেয়াদি আগ্রহ তৈরি হয় না। গবেষণায় সময়, ধৈর্য ও অর্থের প্রয়োজন হলেও সমাজে এর তাৎক্ষণিক আর্থিক মূল্যায়ন কম হওয়ায় তরুণদের কাছে এটি তেমন আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে না।

রাষ্ট্র ও নীতিগত সীমাবদ্ধতা

সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল, সুযোগ এবং প্রণোদনা না থাকাও আরেকটি কারণ। গবেষকরা প্রয়োজনীয় সহায়তা পান না, ফলে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান অনেক সময় কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও গবেষণার পরিবেশ উন্নত নয়, বরং তত্ত্বনির্ভর শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়।

সামাজিক মানসিকতা ও সচেতনতার অভাব

সমাজে বিজ্ঞানচর্চাকে প্রায়শই শুধু পরীক্ষায় পাশ করার একটি বিষয় হিসেবে দেখা হয়। বিজ্ঞানকে জীবনের সাথে মিশিয়ে দেখানোর চর্চা কম, ফলে সাধারণ মানুষ বিজ্ঞানভিত্তিক চিন্তাভাবনা ও গবেষণাকে তেমন গুরুত্ব দেয় না। আবার অনেক সময় কুসংস্কার ও ধর্মীয় ব্যাখ্যা বিজ্ঞানের জায়গা দখল করে নেয়, যা নতুন প্রজন্মের কৌতূহল কমিয়ে দেয়।

 সুতরাং, শিক্ষাব্যবস্থার দুর্বলতা, আর্থিক চাপ, নীতিগত সীমাবদ্ধতা এবং সামাজিক মানসিকতা — সব মিলিয়ে বাংলাদেশের মানুষ বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও জ্ঞানের প্রতি তুলনামূলকভাবে কম আগ্রহী। এ অবস্থার পরিবর্তনে গবেষণাভিত্তিক শিক্ষা, তহবিল বৃদ্ধি এবং সমাজে বিজ্ঞানমুখী মানসিকতা তৈরির পদক্ষেপ জরুরি।

জনপ্রিয় সংবাদ

আলোকে শিল্পে রূপ দেওয়া লিন্ডসি অ্যাডেলম্যান

বাংলাদশে বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অনাগ্রহের কারণ

০৭:১৯:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫

বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রতি মানুষের আগ্রহ তুলনামূলকভাবে কম। এর প্রধান কারণ হলো দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাব্যবস্থায় গবেষণা ও পরীক্ষামূলক শিক্ষার যথাযথ পরিবেশ তৈরি না হওয়া। স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে বিজ্ঞানের বই পড়ানো হলেও ল্যাবরেটরি ভিত্তিক শিক্ষা ও কৌতূহল জাগানো কার্যক্রম সীমিত। ফলে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের প্রতি বাস্তবমুখী আকর্ষণ পায় না।

অর্থনৈতিক ও কর্মসংস্থানের চাপ

অর্থনৈতিক বাস্তবতাও একটি বড় কারণ। অধিকাংশ শিক্ষার্থী দ্রুত কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে পড়াশোনা করে এবং বিজ্ঞানের মৌলিক গবেষণার প্রতি দীর্ঘমেয়াদি আগ্রহ তৈরি হয় না। গবেষণায় সময়, ধৈর্য ও অর্থের প্রয়োজন হলেও সমাজে এর তাৎক্ষণিক আর্থিক মূল্যায়ন কম হওয়ায় তরুণদের কাছে এটি তেমন আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে না।

রাষ্ট্র ও নীতিগত সীমাবদ্ধতা

সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত তহবিল, সুযোগ এবং প্রণোদনা না থাকাও আরেকটি কারণ। গবেষকরা প্রয়োজনীয় সহায়তা পান না, ফলে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান অনেক সময় কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও গবেষণার পরিবেশ উন্নত নয়, বরং তত্ত্বনির্ভর শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়।

সামাজিক মানসিকতা ও সচেতনতার অভাব

সমাজে বিজ্ঞানচর্চাকে প্রায়শই শুধু পরীক্ষায় পাশ করার একটি বিষয় হিসেবে দেখা হয়। বিজ্ঞানকে জীবনের সাথে মিশিয়ে দেখানোর চর্চা কম, ফলে সাধারণ মানুষ বিজ্ঞানভিত্তিক চিন্তাভাবনা ও গবেষণাকে তেমন গুরুত্ব দেয় না। আবার অনেক সময় কুসংস্কার ও ধর্মীয় ব্যাখ্যা বিজ্ঞানের জায়গা দখল করে নেয়, যা নতুন প্রজন্মের কৌতূহল কমিয়ে দেয়।

 সুতরাং, শিক্ষাব্যবস্থার দুর্বলতা, আর্থিক চাপ, নীতিগত সীমাবদ্ধতা এবং সামাজিক মানসিকতা — সব মিলিয়ে বাংলাদেশের মানুষ বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও জ্ঞানের প্রতি তুলনামূলকভাবে কম আগ্রহী। এ অবস্থার পরিবর্তনে গবেষণাভিত্তিক শিক্ষা, তহবিল বৃদ্ধি এবং সমাজে বিজ্ঞানমুখী মানসিকতা তৈরির পদক্ষেপ জরুরি।