১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও লাভে এগিয়ে টয়োটা, ট্রাম্পের শুল্কের মাঝেও বিক্রিতে রেকর্ড মার্থা ওয়াশিংটন থেকে মেলানিয়া ট্রাম্প: যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডিদের পোশাকে ইতিহাস, রাজনীতি ও শক্তির প্রতিচ্ছবি চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলির ঘটনায় কী জানা যাচ্ছে; দলগুলো কেন ক্যাডার রাখে? ট্রাম্প যখন যুদ্ধ শেষের দম্ভ দেখাচ্ছেন, চীন তখন নীরবে শান্তির পথে কাজ করছে অটিজম চিকিৎসার অপ্রতিষ্ঠিত পথে প্রতিটি পরিবার সাত দশক পর ব্রিটিশ মিউজিক্যালে নতুন জীবন পেল প্রিয় ভালুক সম্পর্কের উষ্ণতা ধরে রাখা উচিৎ, পারিবারিক সীমারেখা রক্ষা করে উৎসব উদযাপনের জ্ঞান শৈশবের গভীর ক্ষত থেকে লেখা এক রন্ধনশিল্পীর আত্মস্বীকারোক্তি মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৬৪) ক্ষমতার নৃত্য: ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস বলরুম প্রকল্পে দানের আড়ালে ব্যবসায়িক স্বার্থের খেলা

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৮৪)

ভাওয়ালের রাজার ঢাকার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কামরাঙ্গির চর, ফুলবাড়িয়া প্রভৃতি স্থানে গভীর গর্ত হয়ে গিয়েছিল।’

পত্রিকার সংবাদ অনুযায়ী যেসব ইমারত ক্ষতিগ্রস্তজ হয়েছিল, সেগুলো হলো-সেন্ট থমাস গীর্জা, সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ ভবন, ইডেন ফিমেল স্কুল, ইম্পিরিয়াল সেমিনারি, নওয়াব বাড়ি, কালীপ্রসন্ন ঘোষ (বান্ধব কুটির), নন্দলাল মুন্সী, চন্দ্রকান্ত গাঙ্গুলির বাড়ির অংশ। “জজ ম্যাজিস্ট্রেট প্রভৃতি সাহেবদিগের অধিকাংশ বাড়ি বাসের অনুপযুক্ত হইয়াছে। নবাবপুরের শাহীন মেডিকেল হল নামক ঔষধালয়টি একেবারে চূর্ণ হইয়াছে।

তাহার দ্বিতলে হাইকোজানি নামধেয় আম্মানী সাহেবেরা সপরিবারে ছিলেন। ১টি সাহেব ও ১টি মেম তখনই মরিয়াছেন। ৩টি মেম মুমূর্ষ, একটি মেমের জীবনের কোনো আশঙ্খা নাই। নাজিরের মঠের পতনে জন্মধ্যে স্থিত একটি বেশধারী ও দুইটি ধোবার মৃত্যু হইয়াছে, প্রায় পাঁচশত বাড়ি একেবারে নষ্ট ও আট হাজার বাড়ির কোনো না কোনো ক্ষতি হইয়াছে…”। আহত এক মহিলা পরে মারা যান। ভাওয়ালের রাজার ঢাকার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কামরাঙ্গির চর, ফুলবাড়িয়া প্রভৃতি স্থানে গভীর গর্ত হয়ে গিয়েছিল।’

ক্ষতির বিবরণটি সংবাদপত্রে যা ছাপা হয়েছে তা সঠিক। মৃতের সংখ্যা সরকারি হিসাবে পাঁচজন, বেসরকারি হিসাবে ছয়জন। তবে, ক্ষতির পরিমাণ সরকার যে দেড় লক্ষ রুপি বলেছেন তা খানিকটা কম। আবার সংবাদপত্র বিশ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে যে দাবি করেছে তাও খুব বেশি বলে মনে হয়।

স্বাভাবিকভাবেই ঢাকার মানুষজন এ ভূমিকম্পে মানসিকভাবে বিপর্যন্ত হয়ে গিয়েছিল। নওয়াব আহসান উল্লাহ ডায়েরিতে লিখেছিলেন-“একটু পরেই ভূমিকম্প শুরু হলো। আমি বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম, রবার গাছের কাছে পৌঁছলে দালানের কার্নিশ ভেঙে পড়তে লাগল। আমি সেখানেই সেজদায় পড়ে গেলাম এবং স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের আগমন পর্যন্ত ওখানে সেজদায় রইলাম। এত ভূমিকম্প আজ পর্যন্ত আর হয় নি।

(চলবে)

জনপ্রিয় সংবাদ

বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও লাভে এগিয়ে টয়োটা, ট্রাম্পের শুল্কের মাঝেও বিক্রিতে রেকর্ড

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-৮৪)

০৭:০০:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভাওয়ালের রাজার ঢাকার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কামরাঙ্গির চর, ফুলবাড়িয়া প্রভৃতি স্থানে গভীর গর্ত হয়ে গিয়েছিল।’

পত্রিকার সংবাদ অনুযায়ী যেসব ইমারত ক্ষতিগ্রস্তজ হয়েছিল, সেগুলো হলো-সেন্ট থমাস গীর্জা, সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ ভবন, ইডেন ফিমেল স্কুল, ইম্পিরিয়াল সেমিনারি, নওয়াব বাড়ি, কালীপ্রসন্ন ঘোষ (বান্ধব কুটির), নন্দলাল মুন্সী, চন্দ্রকান্ত গাঙ্গুলির বাড়ির অংশ। “জজ ম্যাজিস্ট্রেট প্রভৃতি সাহেবদিগের অধিকাংশ বাড়ি বাসের অনুপযুক্ত হইয়াছে। নবাবপুরের শাহীন মেডিকেল হল নামক ঔষধালয়টি একেবারে চূর্ণ হইয়াছে।

তাহার দ্বিতলে হাইকোজানি নামধেয় আম্মানী সাহেবেরা সপরিবারে ছিলেন। ১টি সাহেব ও ১টি মেম তখনই মরিয়াছেন। ৩টি মেম মুমূর্ষ, একটি মেমের জীবনের কোনো আশঙ্খা নাই। নাজিরের মঠের পতনে জন্মধ্যে স্থিত একটি বেশধারী ও দুইটি ধোবার মৃত্যু হইয়াছে, প্রায় পাঁচশত বাড়ি একেবারে নষ্ট ও আট হাজার বাড়ির কোনো না কোনো ক্ষতি হইয়াছে…”। আহত এক মহিলা পরে মারা যান। ভাওয়ালের রাজার ঢাকার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কামরাঙ্গির চর, ফুলবাড়িয়া প্রভৃতি স্থানে গভীর গর্ত হয়ে গিয়েছিল।’

ক্ষতির বিবরণটি সংবাদপত্রে যা ছাপা হয়েছে তা সঠিক। মৃতের সংখ্যা সরকারি হিসাবে পাঁচজন, বেসরকারি হিসাবে ছয়জন। তবে, ক্ষতির পরিমাণ সরকার যে দেড় লক্ষ রুপি বলেছেন তা খানিকটা কম। আবার সংবাদপত্র বিশ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে যে দাবি করেছে তাও খুব বেশি বলে মনে হয়।

স্বাভাবিকভাবেই ঢাকার মানুষজন এ ভূমিকম্পে মানসিকভাবে বিপর্যন্ত হয়ে গিয়েছিল। নওয়াব আহসান উল্লাহ ডায়েরিতে লিখেছিলেন-“একটু পরেই ভূমিকম্প শুরু হলো। আমি বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম, রবার গাছের কাছে পৌঁছলে দালানের কার্নিশ ভেঙে পড়তে লাগল। আমি সেখানেই সেজদায় পড়ে গেলাম এবং স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের আগমন পর্যন্ত ওখানে সেজদায় রইলাম। এত ভূমিকম্প আজ পর্যন্ত আর হয় নি।

(চলবে)