সমকালের একটি শিরোনাম “তারেক রহমান, বাবরসহ সব আসামি আপিলেও খালাস”
বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাসের হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের আপিল বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের রায়ের কিছু অংশ সংশোধন করে পর্যবেক্ষণসহ এ রায় প্রদান করা হয়।
আদালতে বাবর ও তারেক রহমানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যৈষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। আদালতে বিএনপির আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম সজল, মাকসুদ উল্লাহ, মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া প্রমুখ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, অনীক আর হক, আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ মাসুদ। গত একুশে আগস্ট উভয়পক্ষের শুনানি শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ।
এর আগে ১ ডিসেম্বর সব আসামিকে খালায় দিয়ে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনলিপি প্রকাশিত হলে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল দাখিল করে। পরে ১ জুন লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ।
২০০৪ সালের একুশে আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়।
২০১৮ সালে ঢাকার বিচারিক আদালতে দুটি মামলার রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু সহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “জিএম কাদের ও তাঁর স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা”
সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) এবং তাঁর স্ত্রী শেরীফা কাদেরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গত সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মনোনয়ন বাণিজ্য নিয়ে জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় এ দুজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করে দুদক। আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করেন।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর সংরক্ষিত নারী আসনে দলীয় মনোনয়ন দিতে ১৮ কোটি ১০ লাখ টাকার ঘুষ গ্রহণ করা হয়, যার মূল সুবিধাভোগী ছিলেন তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
অভিযোগে বলা হয়, চুক্তি অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ না করায় অধ্যাপক মাসুদা এম রশীদ চৌধুরীকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং তাঁর স্থলে জিএম কাদেরের স্ত্রী শরীফা কাদের সংসদ সদস্য হন।
এতে আরও বলা হয়, জিএম কাদের জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হন এবং দলীয় পদ বাণিজ্য ও মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল অর্থ সংগ্রহ করেন, যা পরে বিদেশে পাচার করা হয়। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট হলেও বর্তমানে ৬০০ থেকে ৬৫০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা পদ বাণিজ্যের প্রমাণ।
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামা অনুযায়ী, জিএম কাদেরের নামে নগদ ৪৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা, ব্যাংকে ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা এবং ৮৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা মূল্যের একটি জিপ গাড়ি রয়েছে।
আর তাঁর স্ত্রী শরীফা কাদেরের নামে নগদ ৫৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা, ব্যাংকে ২৮ লাখ ৯ হাজার টাকা এবং ৮০ লাখ টাকা মূল্যের একটি জিপ গাড়ি রয়েছে। তাঁর স্থাবর সম্পদের মধ্যে লালমনিরহাট ও ঢাকায় জমি ও ফ্ল্যাট রয়েছে।
বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে এক পরিবারের ৫ জন দগ্ধ”
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের বিসিক এলাকায় গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে একই পরিবারের নারী শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতের দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।
দগ্ধরা হলেন— তিন্নি, মুন্নি, মৌরি, মানব চৌধুরী ও বাচা। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দগ্ধ হয়েছেন মানব চৌধুরী। তার শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। মানব চৌধুরীর স্ত্রী বাচার ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের তিন সন্তান মৌরির ৩৬ শতাংশ, মুন্নির ২৮ শতাংশ ও তিন্নির শরীরের ২২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
মানবজমিনের একটি শিরোন “দেশের পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে”
দেশের পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে অথবা জটিল করে তোলা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি’র উদ্যোগে দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। বেলা ৩টার দিকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে এই সভা শুরু হয়। সভায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমাদের রাজপথের সহযোদ্ধা গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলাসহ সামপ্রতিক কিছু ঘটনা স্পষ্ট, দেশের স্থিতিশীল পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে অথবা জটিল করে তোলা হচ্ছে।
ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে এখন জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সময় এবং সুযোগ এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান উপায় জাতীয় নির্বাচন। যতক্ষণ পর্যন্ত একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরাসরি ভোটে তাদের কাছে দায়বদ্ধ ও জবাবদিহিমূলক একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত গণতন্ত্র ঝুঁকিমুক্ত নয়।
আগামী নির্বাচনকে ঘিরে অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, জনগণ লক্ষ্য করতে শুরু করেছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের বাংলাদেশে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ বিনষ্ট করার ক্ষেত্র প্রস্তুতে, সেই অশুভ শক্তির অপতৎপরতা সামপ্রতিক সময় ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হয়ে উঠছে।
সারাক্ষণ ডেস্ক 



















