০২:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
লন্ডনের ডানপন্থী সমাবেশে সহিংসতা, রেকর্ড সমাগমে উত্তেজনা দোহায় হামাস নেতাদের ওপর হামলা, যুদ্ধবিরতির আলাপ জটিলতায় নতুন গবেষণা: আটলান্টিক প্রবাহ ভাঙার ঝুঁকি এখন অনেক বেশি” ডাকসু ও জাকসুতে বৈষম্যবিরোধীদের বিপর্যয়, চ্যালেঞ্জের মুখে এনসিপি? জাতীয় নির্বাচনকে ডাকসুর সঙ্গে মেলানো যাবে না, মডেল হিসেবে কাজ করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হার – আকাশ চোপড়া-অশ্বিনকেই ‘সঠিক’ প্রমাণ করছে বাংলাদেশ? ভেঙে দেওয়া সংসদ পুনর্বহাল চায় নেপালের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো রেমিট্যান্স যেভাবে বদলে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের অনেক গ্রাম নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার প্রথমদিনে শান্ত হতে শুরু করেছে নেপাল অবশেষে জাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা, কেনো এত সময় লাগলো?

হারু নেমুরির নতুন অ্যালবাম: সহজ শোনার পথ নয়

স্বাধীন শিল্পী হিসেবে প্রথম অ্যালবাম

জাপানি সঙ্গীতশিল্পী হারুনা কিমিশিমা, যিনি হারু নেমুরি নামে পরিচিত, নতুন অ্যালবাম “ekkolaptomenos”-এ রাজনীতি, জাতীয়তাবাদ ও সেন্সরশিপ নিয়ে তীব্র অবস্থান নিয়েছেন।
এটি তাঁর প্রথম অ্যালবাম যা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর শুরুর দিকে তিনি সনি মিউজিক জাপান থেকে বিচ্ছিন্ন হন।

প্রত্যাশা ভাঙার আনন্দ

হারু নেমুরি অতীতে উচ্চ চিৎকারের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গীতে আলাদা পরিচয় তৈরি করেছিলেন। তবে নতুন অ্যালবামে তিনি সেই ধারা কিছুটা কমিয়েছেন। তাঁর ভাষায়, “শ্রোতারা যখন আশা করে আমি চিৎকার করব, তখন আমি ইচ্ছে করেই তা ভঙ্গ করতে ভালোবাসি।”

নতুন সুর ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা

১১টি গানের এই অ্যালবামে তিনি আধুনিক জীবনের কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছেন এবং এমন কিছু ভাঙার চেষ্টা করেছেন যেগুলো স্থির মনে হয়।
এবার তিনি ইলেকট্রনিক সাউন্ড, নতুন ধরনের তাল এবং পারকাশন ব্যবহার করেছেন। “panopticon” ও “excivitas”-এ সেই পরীক্ষা স্পষ্ট। আবার “supernova” ও “terrain vague”-এ তাঁর পরিচিত রক ধারাও বজায় আছে।

স্বাধীনতার চ্যালেঞ্জ

নতুন অ্যালবাম প্রকাশের পাশাপাশি তিনি একাই উত্তর আমেরিকায় ট্যুর আয়োজন করছেন। বড় ভেন্যু বুক করা থেকে শুরু করে ভিসা সমস্যা—সবকিছুই তাঁর জন্য নতুন অভিজ্ঞতা।
তিনি আশঙ্কা করছেন, প্রো-প্যালেস্টাইন অবস্থানের কারণে ভবিষ্যতে মার্কিন ভিসা পেতে সমস্যা হতে পারে। এমনকি ট্যুরের মার্চেন্ডাইজ পাঠানো নিয়েও বিপাকে পড়েছেন, কারণ জাপান পোস্ট সাময়িকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্যিক পণ্য পাঠানো বন্ধ রেখেছে।

দার্শনিক ও রাজনৈতিক অনুপ্রেরণা

“ekkolaptomenos”-এর ধারণা তৈরি হয় টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জুন তানাকার এক প্রবন্ধ থেকে, যেখানে আরাটা ইসোজাকির “terrain vague” ধারণা উঠে আসে—শহরের অব্যবহৃত ফাঁকা জায়গার প্রতীকী ব্যাখ্যা।
অ্যালবামের শিরোনামটি এসেছে গ্রিক শব্দ থেকে, যার অর্থ “একইসঙ্গে ফেটে বের হওয়া এবং বের করে আনা।” গানগুলিতে ইতিহাস, ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন থেকে নেওয়া নানা ইঙ্গিত ব্যবহার করা হয়েছে।

স্পষ্ট রাজনৈতিক বার্তা

“symposium” গানে তিনি সরাসরি বলেন: “এই দেশটা বাজে।”
এই স্পষ্ট উচ্চারণ তাঁর সঙ্গীতে বিরল নয়। সম্প্রতি তিনি ভাইরাল হওয়া একক গান “IGMF” প্রকাশ করেন, যা ডানপন্থী দল Sanseito-কে লক্ষ্য করে লেখা। সেই গানে টোকিওর প্রার্থী সায়াকা শিওইরির বক্তব্য তুলে ধরে তিনি প্রতিবাদ করেছেন। গানটি সাউন্ডক্লাউডে লাখের কাছাকাছি বার শোনা হয়েছে এবং তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

কাঁচা রাগ ও কাব্যিক প্রকাশ

হারু নেমুরি মনে করেন, “IGMF” ও “ekkolaptomenos” একই মুদ্রার দুই পিঠ। তাঁর ভাষায়, “রাগ ও দুঃখ দুটোতেই মূলত একই উৎস। অ্যালবামে আমি সেগুলোকে কাব্যিক ও বিমূর্ত করেছি, আর ‘IGMF’ ছিল একেবারে কাঁচা।”

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

২০২৬ সালে হারু নেমুরি তাঁর সঙ্গীতজীবনের ১০ বছর পূর্ণ করবেন। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, তখন হয়তো আবার প্রথম দিকের কাব্যমূলক ও ইন্ডি রক ধারায় ফিরে যাবেন।
তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তাঁর নিজের হাতে—তিনি চিৎকার করুন বা না করুন।

লন্ডনের ডানপন্থী সমাবেশে সহিংসতা, রেকর্ড সমাগমে উত্তেজনা

হারু নেমুরির নতুন অ্যালবাম: সহজ শোনার পথ নয়

১১:০০:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

স্বাধীন শিল্পী হিসেবে প্রথম অ্যালবাম

জাপানি সঙ্গীতশিল্পী হারুনা কিমিশিমা, যিনি হারু নেমুরি নামে পরিচিত, নতুন অ্যালবাম “ekkolaptomenos”-এ রাজনীতি, জাতীয়তাবাদ ও সেন্সরশিপ নিয়ে তীব্র অবস্থান নিয়েছেন।
এটি তাঁর প্রথম অ্যালবাম যা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর শুরুর দিকে তিনি সনি মিউজিক জাপান থেকে বিচ্ছিন্ন হন।

প্রত্যাশা ভাঙার আনন্দ

হারু নেমুরি অতীতে উচ্চ চিৎকারের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গীতে আলাদা পরিচয় তৈরি করেছিলেন। তবে নতুন অ্যালবামে তিনি সেই ধারা কিছুটা কমিয়েছেন। তাঁর ভাষায়, “শ্রোতারা যখন আশা করে আমি চিৎকার করব, তখন আমি ইচ্ছে করেই তা ভঙ্গ করতে ভালোবাসি।”

নতুন সুর ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা

১১টি গানের এই অ্যালবামে তিনি আধুনিক জীবনের কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছেন এবং এমন কিছু ভাঙার চেষ্টা করেছেন যেগুলো স্থির মনে হয়।
এবার তিনি ইলেকট্রনিক সাউন্ড, নতুন ধরনের তাল এবং পারকাশন ব্যবহার করেছেন। “panopticon” ও “excivitas”-এ সেই পরীক্ষা স্পষ্ট। আবার “supernova” ও “terrain vague”-এ তাঁর পরিচিত রক ধারাও বজায় আছে।

স্বাধীনতার চ্যালেঞ্জ

নতুন অ্যালবাম প্রকাশের পাশাপাশি তিনি একাই উত্তর আমেরিকায় ট্যুর আয়োজন করছেন। বড় ভেন্যু বুক করা থেকে শুরু করে ভিসা সমস্যা—সবকিছুই তাঁর জন্য নতুন অভিজ্ঞতা।
তিনি আশঙ্কা করছেন, প্রো-প্যালেস্টাইন অবস্থানের কারণে ভবিষ্যতে মার্কিন ভিসা পেতে সমস্যা হতে পারে। এমনকি ট্যুরের মার্চেন্ডাইজ পাঠানো নিয়েও বিপাকে পড়েছেন, কারণ জাপান পোস্ট সাময়িকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্যিক পণ্য পাঠানো বন্ধ রেখেছে।

দার্শনিক ও রাজনৈতিক অনুপ্রেরণা

“ekkolaptomenos”-এর ধারণা তৈরি হয় টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জুন তানাকার এক প্রবন্ধ থেকে, যেখানে আরাটা ইসোজাকির “terrain vague” ধারণা উঠে আসে—শহরের অব্যবহৃত ফাঁকা জায়গার প্রতীকী ব্যাখ্যা।
অ্যালবামের শিরোনামটি এসেছে গ্রিক শব্দ থেকে, যার অর্থ “একইসঙ্গে ফেটে বের হওয়া এবং বের করে আনা।” গানগুলিতে ইতিহাস, ধর্মতত্ত্ব ও দর্শন থেকে নেওয়া নানা ইঙ্গিত ব্যবহার করা হয়েছে।

স্পষ্ট রাজনৈতিক বার্তা

“symposium” গানে তিনি সরাসরি বলেন: “এই দেশটা বাজে।”
এই স্পষ্ট উচ্চারণ তাঁর সঙ্গীতে বিরল নয়। সম্প্রতি তিনি ভাইরাল হওয়া একক গান “IGMF” প্রকাশ করেন, যা ডানপন্থী দল Sanseito-কে লক্ষ্য করে লেখা। সেই গানে টোকিওর প্রার্থী সায়াকা শিওইরির বক্তব্য তুলে ধরে তিনি প্রতিবাদ করেছেন। গানটি সাউন্ডক্লাউডে লাখের কাছাকাছি বার শোনা হয়েছে এবং তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

কাঁচা রাগ ও কাব্যিক প্রকাশ

হারু নেমুরি মনে করেন, “IGMF” ও “ekkolaptomenos” একই মুদ্রার দুই পিঠ। তাঁর ভাষায়, “রাগ ও দুঃখ দুটোতেই মূলত একই উৎস। অ্যালবামে আমি সেগুলোকে কাব্যিক ও বিমূর্ত করেছি, আর ‘IGMF’ ছিল একেবারে কাঁচা।”

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

২০২৬ সালে হারু নেমুরি তাঁর সঙ্গীতজীবনের ১০ বছর পূর্ণ করবেন। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, তখন হয়তো আবার প্রথম দিকের কাব্যমূলক ও ইন্ডি রক ধারায় ফিরে যাবেন।
তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তাঁর নিজের হাতে—তিনি চিৎকার করুন বা না করুন।