১২:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাতীয় নির্বাচনকে ডাকসুর সঙ্গে মেলানো যাবে না, মডেল হিসেবে কাজ করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হার – আকাশ চোপড়া-অশ্বিনকেই ‘সঠিক’ প্রমাণ করছে বাংলাদেশ? ভেঙে দেওয়া সংসদ পুনর্বহাল চায় নেপালের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো রেমিট্যান্স যেভাবে বদলে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের অনেক গ্রাম নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার প্রথমদিনে শান্ত হতে শুরু করেছে নেপাল অবশেষে জাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা, কেনো এত সময় লাগলো? ঝালকাঠির হালতা নদী: ইতিহাস, জীবন ও ভবিষ্যতের লড়াই সাগর দ্বীপ : যাকে মানুষ চেনে গঙ্গাসাগর নামে ফরাসি মাস্টার সেজান তাঁর পারিবারিক প্রাসাদে মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন: ক্রিকেটের কবি

ফজলুর রহমান বাবু : অভিনয়ে যার রয়েছে স্বাভাবিক এক সত্ত্বা

বাংলাদেশের নাটক ও চলচ্চিত্র জগতের শক্তিমান অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবুর জন্ম ২২ আগস্ট ১৯৬০ সালে ফরিদপুর জেলায়। ছোটবেলা থেকেই তিনি শিল্প ও সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। গ্রামের পরিবেশ, লোকসংগীত, যাত্রাপালা ও নাট্যআড্ডা তার মনে অভিনয়ের বীজ বপন করে। পরিবারের সবাই তাকে “বাবু” নামে ডাকতেন, আর সেই নামই হয়ে ওঠে তার পরিচয়ের অংশ।

অভিনয়ের প্রথম ধাপ : ফরিদপুর টাউন থিয়েটার

১৯৭৮ সালে তিনি যোগ দেন ফরিদপুর টাউন থিয়েটারের বৈশাখী নাট্য গোষ্ঠীতে। এখানেই তার হাতে খড়ি হয়। ছোট ছোট চরিত্র দিয়ে শুরু হলেও শিগগিরই তিনি দর্শকের চোখে পড়ে যান। চরিত্রে ঢুকে যাওয়ার ক্ষমতা, সংলাপের ভঙ্গি ও প্রাঞ্জল অভিনয় তাকে স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় করে তোলে।

ঢাকায় আগমন ও আরণ্যক নাট্যদল

১৯৮৩ সালে চাকরির জন্য ঢাকায় আসেন বাবু। ঢাকায় এসে যোগ দেন সুপরিচিত নাট্যসংগঠন আরণ্যক নাট্যদলে। সেখানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান এবং নাট্যচর্চায় নতুন উচ্চতায় পৌঁছান। আরণ্যকের নাটকে গান গাওয়ার মাধ্যমে তার কণ্ঠশিল্পীর দিকটিও উন্মোচিত হয়।

চাকরি ও সংগ্রাম

অভিনয়ের পাশাপাশি বাবু দীর্ঘদিন অগ্রণী ব্যাংকে কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন। চাকরির ব্যস্ততার মাঝেও তিনি নিয়মিত নাটকে অভিনয় করেছেন। ব্যাংকের দায়িত্ব ও শিল্পচর্চার মধ্যে সমন্বয় করাই ছিল তার সবচেয়ে বড় সংগ্রাম।

টেলিভিশন ক্যারিয়ার

১৯৯১ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ধারাবাহিক মৃত্যু ক্ষুধা নাটকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় তার যাত্রা শুরু হয়। দারিদ্র্য ও ক্ষুধার কাহিনিনির্ভর এই নাটক তার অভিনয় প্রতিভাকে প্রথম জাতীয় পরিসরে পরিচিত করে তোলে।

বিখ্যাত পাঁচ নাটক

মৃত্যু ক্ষুধা

দারিদ্র্য ও ক্ষুধার যন্ত্রণা নিয়ে নির্মিত এই নাটকে বাবু অভিনয় করেন এক সংগ্রামী মানুষের চরিত্রে। বাস্তবসম্মত অভিনয় নাটকটিকে বিশেষ করে তোলে।

সেটেল ম্যারেজ

মধ্যবিত্ত জীবনের বিয়ে কেন্দ্রিক নাটক। বাবুর হাস্যরসাত্মক অভিনয় দর্শকদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় হয়।

আজরাইল

মৃত্যুর প্রতীকী কাহিনিতে বাবুর জটিল ও রহস্যময় চরিত্রাভিনয় নাটকটিকে ভিন্ন মাত্রা দেয়।

রহমান গায়েন

গ্রামীণ গান ও সংস্কৃতিকে ঘিরে নির্মিত এই নাটকে বাবু রহমান গায়েন চরিত্রে অভিনয় করেন এবং নিজেই গান গেয়ে নাটকটিকে প্রাণবন্ত করেন।

কিপ্টা

কৃপণ মানুষকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই নাটকে বাবুর অভিনয় সমাজের এক ব্যঙ্গাত্মক চিত্র তুলে ধরে।

চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার

১৯৯৯ সালে আবদুল্লাহ আল মামুন পরিচালিত বিহঙ্গ চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে। এরপর থেকে তিনি ধারাবাহিকভাবে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন।

শঙ্খনাদ (২০০৪)

গ্রামীণ সমাজ ও পরিবারকেন্দ্রিক চলচ্চিত্র। বাবু পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। তার চরিত্র ছিল বাস্তবসম্মত, যা গ্রামীণ জীবনের প্রতিফলন ঘটায়।

মেয়েটি এখন কোথায় যাবে (২০১৭)

সামাজিক বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই ছবিতে বাবু ছিলেন এক সংবেদনশীল চরিত্রে। আবেগময় অভিনয়ের কারণে তিনি ব্যাপক প্রশংসা পান।

ফাগুন হাওয়ায় (২০১৯)

ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই চলচ্চিত্রে বাবু চান্দার নামের চরিত্রে অভিনয় করেন। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে তার অভিনয় দর্শকদের মনে দাগ কাটে।

বিশ্বসুন্দরী (২০২০)

প্রেমকাহিনিভিত্তিক চলচ্চিত্রে বাবু সহায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি গল্পে আবেগ ও হাস্যরসের মিশেল ঘটান, যা সিনেমাটিকে ভারসাম্য দেয়।

নোনাজলের কাব্য (২০২১)

উপকূলীয় মানুষের জীবন ও সংস্কৃতি নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রে বাবু চেয়ারম্যান চরিত্রে অভিনয় করেন। চরিত্রটির মাধ্যমে তিনি সমাজের রক্ষণশীলতার প্রতীক হয়ে ওঠেন।

এই পাঁচটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে।

সংগীতচর্চা

বাবু নাটক ও চলচ্চিত্রে গান গেয়ে দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন। বিশেষ করে মনপুরা ছবির নিথুয়া পাথারে গানটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। তিনি কয়েকটি অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন, যার মধ্যে ইন্দুবালা ও হিরামন পাখি উল্লেখযোগ্য।

ব্যক্তিজীবন

১৯৯২ সালে তিনি বিয়ে করেন কাজী রোকসানা আক্তারকে। তাদের সংসারে দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। পারিবারিক জীবনে বাবু অত্যন্ত অনাড়ম্বর, সাদাসিধে ও পরিবারকেন্দ্রিক মানুষ হিসেবে পরিচিত।

পুরস্কার ও স্বীকৃতি

বাবু মোট পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে। এছাড়া গহীন বালুচর’ (২০১৭)-এর জন্য তিনি সেরা কৌতুক অভিনেতার পুরস্কার পান। টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে তার অসামান্য অবদানের জন্য তিনি দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও সম্মানিত শিল্পী হয়ে উঠেছেন।

ফরিদপুরের এক ছোট মঞ্চ থেকে শুরু হওয়া ফজলুর রহমান বাবুর যাত্রা আজ তাকে বাংলাদেশের সংস্কৃতির প্রধান ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। মঞ্চ, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও সংগীতে সমান দক্ষতায় অবদান রেখে তিনি বহুমুখী প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন। তার অভিনয় কখনও সামাজিক বাস্তবতা, কখনও হাস্যরস, কখনও আবার গভীর আবেগের প্রতিচ্ছবি। ফজলুর রহমান বাবু কেবল একজন অভিনেতাই নন, বরং বাংলাদেশের সংস্কৃতির ইতিহাসে এক অমর অধ্যায়।

জাতীয় নির্বাচনকে ডাকসুর সঙ্গে মেলানো যাবে না, মডেল হিসেবে কাজ করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ফজলুর রহমান বাবু : অভিনয়ে যার রয়েছে স্বাভাবিক এক সত্ত্বা

১০:০০:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের নাটক ও চলচ্চিত্র জগতের শক্তিমান অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবুর জন্ম ২২ আগস্ট ১৯৬০ সালে ফরিদপুর জেলায়। ছোটবেলা থেকেই তিনি শিল্প ও সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। গ্রামের পরিবেশ, লোকসংগীত, যাত্রাপালা ও নাট্যআড্ডা তার মনে অভিনয়ের বীজ বপন করে। পরিবারের সবাই তাকে “বাবু” নামে ডাকতেন, আর সেই নামই হয়ে ওঠে তার পরিচয়ের অংশ।

অভিনয়ের প্রথম ধাপ : ফরিদপুর টাউন থিয়েটার

১৯৭৮ সালে তিনি যোগ দেন ফরিদপুর টাউন থিয়েটারের বৈশাখী নাট্য গোষ্ঠীতে। এখানেই তার হাতে খড়ি হয়। ছোট ছোট চরিত্র দিয়ে শুরু হলেও শিগগিরই তিনি দর্শকের চোখে পড়ে যান। চরিত্রে ঢুকে যাওয়ার ক্ষমতা, সংলাপের ভঙ্গি ও প্রাঞ্জল অভিনয় তাকে স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় করে তোলে।

ঢাকায় আগমন ও আরণ্যক নাট্যদল

১৯৮৩ সালে চাকরির জন্য ঢাকায় আসেন বাবু। ঢাকায় এসে যোগ দেন সুপরিচিত নাট্যসংগঠন আরণ্যক নাট্যদলে। সেখানে তিনি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান এবং নাট্যচর্চায় নতুন উচ্চতায় পৌঁছান। আরণ্যকের নাটকে গান গাওয়ার মাধ্যমে তার কণ্ঠশিল্পীর দিকটিও উন্মোচিত হয়।

চাকরি ও সংগ্রাম

অভিনয়ের পাশাপাশি বাবু দীর্ঘদিন অগ্রণী ব্যাংকে কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন। চাকরির ব্যস্ততার মাঝেও তিনি নিয়মিত নাটকে অভিনয় করেছেন। ব্যাংকের দায়িত্ব ও শিল্পচর্চার মধ্যে সমন্বয় করাই ছিল তার সবচেয়ে বড় সংগ্রাম।

টেলিভিশন ক্যারিয়ার

১৯৯১ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ধারাবাহিক মৃত্যু ক্ষুধা নাটকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় তার যাত্রা শুরু হয়। দারিদ্র্য ও ক্ষুধার কাহিনিনির্ভর এই নাটক তার অভিনয় প্রতিভাকে প্রথম জাতীয় পরিসরে পরিচিত করে তোলে।

বিখ্যাত পাঁচ নাটক

মৃত্যু ক্ষুধা

দারিদ্র্য ও ক্ষুধার যন্ত্রণা নিয়ে নির্মিত এই নাটকে বাবু অভিনয় করেন এক সংগ্রামী মানুষের চরিত্রে। বাস্তবসম্মত অভিনয় নাটকটিকে বিশেষ করে তোলে।

সেটেল ম্যারেজ

মধ্যবিত্ত জীবনের বিয়ে কেন্দ্রিক নাটক। বাবুর হাস্যরসাত্মক অভিনয় দর্শকদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় হয়।

আজরাইল

মৃত্যুর প্রতীকী কাহিনিতে বাবুর জটিল ও রহস্যময় চরিত্রাভিনয় নাটকটিকে ভিন্ন মাত্রা দেয়।

রহমান গায়েন

গ্রামীণ গান ও সংস্কৃতিকে ঘিরে নির্মিত এই নাটকে বাবু রহমান গায়েন চরিত্রে অভিনয় করেন এবং নিজেই গান গেয়ে নাটকটিকে প্রাণবন্ত করেন।

কিপ্টা

কৃপণ মানুষকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই নাটকে বাবুর অভিনয় সমাজের এক ব্যঙ্গাত্মক চিত্র তুলে ধরে।

চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার

১৯৯৯ সালে আবদুল্লাহ আল মামুন পরিচালিত বিহঙ্গ চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে। এরপর থেকে তিনি ধারাবাহিকভাবে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন।

শঙ্খনাদ (২০০৪)

গ্রামীণ সমাজ ও পরিবারকেন্দ্রিক চলচ্চিত্র। বাবু পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। তার চরিত্র ছিল বাস্তবসম্মত, যা গ্রামীণ জীবনের প্রতিফলন ঘটায়।

মেয়েটি এখন কোথায় যাবে (২০১৭)

সামাজিক বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই ছবিতে বাবু ছিলেন এক সংবেদনশীল চরিত্রে। আবেগময় অভিনয়ের কারণে তিনি ব্যাপক প্রশংসা পান।

ফাগুন হাওয়ায় (২০১৯)

ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই চলচ্চিত্রে বাবু চান্দার নামের চরিত্রে অভিনয় করেন। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে তার অভিনয় দর্শকদের মনে দাগ কাটে।

বিশ্বসুন্দরী (২০২০)

প্রেমকাহিনিভিত্তিক চলচ্চিত্রে বাবু সহায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি গল্পে আবেগ ও হাস্যরসের মিশেল ঘটান, যা সিনেমাটিকে ভারসাম্য দেয়।

নোনাজলের কাব্য (২০২১)

উপকূলীয় মানুষের জীবন ও সংস্কৃতি নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রে বাবু চেয়ারম্যান চরিত্রে অভিনয় করেন। চরিত্রটির মাধ্যমে তিনি সমাজের রক্ষণশীলতার প্রতীক হয়ে ওঠেন।

এই পাঁচটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে।

সংগীতচর্চা

বাবু নাটক ও চলচ্চিত্রে গান গেয়ে দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন। বিশেষ করে মনপুরা ছবির নিথুয়া পাথারে গানটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়। তিনি কয়েকটি অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন, যার মধ্যে ইন্দুবালা ও হিরামন পাখি উল্লেখযোগ্য।

ব্যক্তিজীবন

১৯৯২ সালে তিনি বিয়ে করেন কাজী রোকসানা আক্তারকে। তাদের সংসারে দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। পারিবারিক জীবনে বাবু অত্যন্ত অনাড়ম্বর, সাদাসিধে ও পরিবারকেন্দ্রিক মানুষ হিসেবে পরিচিত।

পুরস্কার ও স্বীকৃতি

বাবু মোট পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে। এছাড়া গহীন বালুচর’ (২০১৭)-এর জন্য তিনি সেরা কৌতুক অভিনেতার পুরস্কার পান। টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে তার অসামান্য অবদানের জন্য তিনি দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও সম্মানিত শিল্পী হয়ে উঠেছেন।

ফরিদপুরের এক ছোট মঞ্চ থেকে শুরু হওয়া ফজলুর রহমান বাবুর যাত্রা আজ তাকে বাংলাদেশের সংস্কৃতির প্রধান ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। মঞ্চ, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র ও সংগীতে সমান দক্ষতায় অবদান রেখে তিনি বহুমুখী প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন। তার অভিনয় কখনও সামাজিক বাস্তবতা, কখনও হাস্যরস, কখনও আবার গভীর আবেগের প্রতিচ্ছবি। ফজলুর রহমান বাবু কেবল একজন অভিনেতাই নন, বরং বাংলাদেশের সংস্কৃতির ইতিহাসে এক অমর অধ্যায়।