১২:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
টুনা মাছের আশ্চর্য পুনরুদ্ধার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আসলে বন্ধু নয় ইসলামাবাদের শিল্পী যিনি পুরোনো লোহাকে রূপ দিচ্ছেন ইস্পাতের দানব আর আশার ভাস্কর্যে চিংড়ি: খুলনার ‘সাদা সোনা’র রফতানি লক্ষ্য ২২,৬০০ কোটি টাকা মার্কিন ভিসা সাক্ষাৎকারে নতুন নিয়ম,বিপাকে প্রবাসীরা জামায়াত ও সমমনাদের আন্দোলন: পাঁচ দফার আড়ালে ‘দুই দফা’? বাংলাদেশে তরুণদের ভোট কি ইসলামপন্থিদের পক্ষে যাচ্ছে? জুলাই শহীদ বা জুলাই যোদ্ধা আসলে কারা, তালিকা নিয়ে কেন বিতর্ক উঠেছে? চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে সংস্কৃতি টিকলে আমরাও টিকে থাকব: ঘূর্ণিঝড়ের হুমকির মুখে ক্যারিবীয় দ্বীপ গ্রেনাডা

বাংলাদেশের দাপুটে জয়ে এশিয়া কাপে টিকে থাকার লড়াই জিইয়ে রাখা

আবুধাবিতে মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ অল্পের জন্য টিকে গেল। রোমাঞ্চকর ম্যাচে আট রানে আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপে টিকে থাকার আশা বজায় রাখল লিটন দাসের দল। শুরুটা দুর্দান্ত হলেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি হয়ে ওঠে উত্তেজনাপূর্ণ এবং অনেক বেশি চাপের, যা বাংলাদেশকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে নিতে হয়।

ব্যাটিংয়ের শুরুটা উজ্জ্বল

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন তানজিদ হাসান। ৩১ বলে ৫২ রান করেন তিনি, যেখানে ছিল চারটি চার ও তিনটি ছক্কা। তাঁর সঙ্গে সাইফ হাসান যোগ করেন ৩০ রান। সপ্তম ওভারে ৬৩ রানে কোনো উইকেট না হারানো দলটির স্কোর দেখে মনে হচ্ছিল ১৮০ রানের কাছাকাছি যাবে বাংলাদেশ।

কিন্তু মাঝপথে ব্যাটিং ভেঙে পড়ে। লিটন দাস ৯ রানে নুর আহমদের বলে এলবিডব্লিউ হন। শামীম হোসেন (১১) এবং তৌহিদ হৃদয় (২০ বলে ২৬) রান পেলেও বড় ইনিংস গড়তে পারেননি। শেষ দিকে জাকের আলি ও নুরুল হাসান কিছুটা আঘাত হানলেও ২০ ওভারে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৫৪/৫ এ, যা শুরুর প্রেক্ষাপটে হতাশাজনক।

নাসুমের জাদুকরী স্পেল

বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণকে নতুন জীবন দেন নাসুম আহমেদ। দলে ফিরেই প্রথম বলেই সেদিকুল আতালকে এলবিডব্লিউ করেন তিনি। পরে ফেরান ইব্রাহিম জাদরানকেও। মাত্র ১১ রান দিয়ে চার ওভার বোলিং করে তুলে নেন দুটি উইকেট এবং ম্যাচসেরা পুরস্কার পান। তাঁর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আফগানিস্তান প্রথম ছয় ওভারে দুই উইকেটে তোলে মাত্র ২৭ রান।

আফগানিস্তানের লড়াই

রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৩৫ রান করে কিছুটা চাপ সামলাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু রিশাদ হোসেন তাঁকে আউট করেন। এরপর গুলবাদিন নাইব (১৬) ও মোহাম্মদ নবী (১৫) দ্রুত আউট হয়ে গেলে আফগানিস্তানের রান তাড়া ভেঙে পড়ে।

কিন্তু শেষদিকে আসে নাটকীয়তা। আজমাতউল্লাহ ওমরজাই মাত্র ১৬ বলে ৩০ রান করেন, তিনটি ছক্কার সাহায্যে ম্যাচকে আবার আফগানিস্তানের অনুকূলে নিয়ে যান। শামীম হোসেনকে টার্গেট করলে চাপ বাড়ে, তবে তাসকিন আহমেদ ধীরস্থির থেকে ধোঁকাবাজি ডেলিভারিতে তাঁকে আউট করেন।

শেষ মুহূর্তের উত্তেজনা

ক্যাপ্টেন রশিদ খানও লড়াই চালান। ১১ বলে ২০ রান করে আফগানিস্তানকে আশা জাগালেও মুস্তাফিজুর রহমান তাঁর উইকেট নেন কাটারে ভর করে। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, শেষ ওভারে নুর আহমদ টাসকিনকে টানা দুটি ছক্কা মারেন। সমীকরণ দাঁড়ায় তিন বলে ১০ রান দরকার। টাসকিন এবার ঠাণ্ডা মাথায় সঠিক লাইন ও লেন্থে বল করে ম্যাচ শেষ করেন। আফগানিস্তান অল আউট হয় ১৪৬ রানে।

বাংলাদেশের সাফল্য ও প্রতিক্রিয়া

মুস্তাফিজুর নেন তিনটি উইকেট, টাসকিন ও রিশাদ পান দুটি করে। তবে পুরো ম্যাচে ছায়া হয়ে থাকেন নাসুম আহমেদ, যিনি তাঁর মিতব্যয়ী স্পেলে জয় নিশ্চিত করেন। ম্যাচ শেষে লিটন দাস বলেন, “আমরা ব্যাটিংয়ে ১৫-২০ রান কম করেছি। তবে নাসুমসহ বোলাররা আমাদের সুযোগ এনে দিয়েছে।” আফগান অধিনায়ক রশিদ খান আফসোস করে জানান, “এই ম্যাচ আমাদের শেষ করা উচিত ছিল, কিন্তু আমরা ভুল শট খেলেছি।”

টিকে থাকার সমীকরণ

এই জয়ে বাংলাদেশ এশিয়া কাপে বেঁচে থাকল, তবে খুব সামান্য ব্যবধানে। দলের নেট রানরেট এখনো ঋণাত্মক। ফলে লিটনদের টিকে থাকতে হলে এখন আফগানিস্তানকে শ্রীলঙ্কাকে বড় রানের ব্যবধানে হারাতে হবে। তাহলে রান শ্রীলঙ্কা বাদ গেলে বাংলাদেশ টিকে থাকবে তবে  আপাতত বাংলাদেশ বেঁচে আছে, লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য।

টুনা মাছের আশ্চর্য পুনরুদ্ধার

বাংলাদেশের দাপুটে জয়ে এশিয়া কাপে টিকে থাকার লড়াই জিইয়ে রাখা

০৪:০৭:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আবুধাবিতে মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ অল্পের জন্য টিকে গেল। রোমাঞ্চকর ম্যাচে আট রানে আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপে টিকে থাকার আশা বজায় রাখল লিটন দাসের দল। শুরুটা দুর্দান্ত হলেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি হয়ে ওঠে উত্তেজনাপূর্ণ এবং অনেক বেশি চাপের, যা বাংলাদেশকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে নিতে হয়।

ব্যাটিংয়ের শুরুটা উজ্জ্বল

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন তানজিদ হাসান। ৩১ বলে ৫২ রান করেন তিনি, যেখানে ছিল চারটি চার ও তিনটি ছক্কা। তাঁর সঙ্গে সাইফ হাসান যোগ করেন ৩০ রান। সপ্তম ওভারে ৬৩ রানে কোনো উইকেট না হারানো দলটির স্কোর দেখে মনে হচ্ছিল ১৮০ রানের কাছাকাছি যাবে বাংলাদেশ।

কিন্তু মাঝপথে ব্যাটিং ভেঙে পড়ে। লিটন দাস ৯ রানে নুর আহমদের বলে এলবিডব্লিউ হন। শামীম হোসেন (১১) এবং তৌহিদ হৃদয় (২০ বলে ২৬) রান পেলেও বড় ইনিংস গড়তে পারেননি। শেষ দিকে জাকের আলি ও নুরুল হাসান কিছুটা আঘাত হানলেও ২০ ওভারে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৫৪/৫ এ, যা শুরুর প্রেক্ষাপটে হতাশাজনক।

নাসুমের জাদুকরী স্পেল

বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণকে নতুন জীবন দেন নাসুম আহমেদ। দলে ফিরেই প্রথম বলেই সেদিকুল আতালকে এলবিডব্লিউ করেন তিনি। পরে ফেরান ইব্রাহিম জাদরানকেও। মাত্র ১১ রান দিয়ে চার ওভার বোলিং করে তুলে নেন দুটি উইকেট এবং ম্যাচসেরা পুরস্কার পান। তাঁর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আফগানিস্তান প্রথম ছয় ওভারে দুই উইকেটে তোলে মাত্র ২৭ রান।

আফগানিস্তানের লড়াই

রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৩৫ রান করে কিছুটা চাপ সামলাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু রিশাদ হোসেন তাঁকে আউট করেন। এরপর গুলবাদিন নাইব (১৬) ও মোহাম্মদ নবী (১৫) দ্রুত আউট হয়ে গেলে আফগানিস্তানের রান তাড়া ভেঙে পড়ে।

কিন্তু শেষদিকে আসে নাটকীয়তা। আজমাতউল্লাহ ওমরজাই মাত্র ১৬ বলে ৩০ রান করেন, তিনটি ছক্কার সাহায্যে ম্যাচকে আবার আফগানিস্তানের অনুকূলে নিয়ে যান। শামীম হোসেনকে টার্গেট করলে চাপ বাড়ে, তবে তাসকিন আহমেদ ধীরস্থির থেকে ধোঁকাবাজি ডেলিভারিতে তাঁকে আউট করেন।

শেষ মুহূর্তের উত্তেজনা

ক্যাপ্টেন রশিদ খানও লড়াই চালান। ১১ বলে ২০ রান করে আফগানিস্তানকে আশা জাগালেও মুস্তাফিজুর রহমান তাঁর উইকেট নেন কাটারে ভর করে। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, শেষ ওভারে নুর আহমদ টাসকিনকে টানা দুটি ছক্কা মারেন। সমীকরণ দাঁড়ায় তিন বলে ১০ রান দরকার। টাসকিন এবার ঠাণ্ডা মাথায় সঠিক লাইন ও লেন্থে বল করে ম্যাচ শেষ করেন। আফগানিস্তান অল আউট হয় ১৪৬ রানে।

বাংলাদেশের সাফল্য ও প্রতিক্রিয়া

মুস্তাফিজুর নেন তিনটি উইকেট, টাসকিন ও রিশাদ পান দুটি করে। তবে পুরো ম্যাচে ছায়া হয়ে থাকেন নাসুম আহমেদ, যিনি তাঁর মিতব্যয়ী স্পেলে জয় নিশ্চিত করেন। ম্যাচ শেষে লিটন দাস বলেন, “আমরা ব্যাটিংয়ে ১৫-২০ রান কম করেছি। তবে নাসুমসহ বোলাররা আমাদের সুযোগ এনে দিয়েছে।” আফগান অধিনায়ক রশিদ খান আফসোস করে জানান, “এই ম্যাচ আমাদের শেষ করা উচিত ছিল, কিন্তু আমরা ভুল শট খেলেছি।”

টিকে থাকার সমীকরণ

এই জয়ে বাংলাদেশ এশিয়া কাপে বেঁচে থাকল, তবে খুব সামান্য ব্যবধানে। দলের নেট রানরেট এখনো ঋণাত্মক। ফলে লিটনদের টিকে থাকতে হলে এখন আফগানিস্তানকে শ্রীলঙ্কাকে বড় রানের ব্যবধানে হারাতে হবে। তাহলে রান শ্রীলঙ্কা বাদ গেলে বাংলাদেশ টিকে থাকবে তবে  আপাতত বাংলাদেশ বেঁচে আছে, লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য।