০২:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দেশে আবারও স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি যুক্তরাষ্ট্রে নতুন এইচ-১বি ভিসা ফি পুরনো ভিসাধারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় আইফোন এয়ার থেকে শুরু করে পাওয়ারহাউস ১৭ প্রো ম্যাক্স: আপনার জন্য সঠিক আইফোনটি খুঁজে নিন রেমা–কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য: হবিগঞ্জ ভ্রমণের এক বিস্তৃত গাইড এইচ-১বি ভিসার ফি বাড়ানো: যুক্তরাষ্ট্রের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত, ভারতের জন্য সুযোগ কোঙ্কণ উপকূলের ভূচিত্রকর্ম ২৪ হাজার বছরের পুরোনো হতে পারে—প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বাংলাদেশের চামড়া খাত: ১ বিলিয়ন রপ্তানি করতে হিমশিম খাচ্ছে এইচ-১বি ভিসার নতুন ফি নিয়ে ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের নতুন টানাপোড়েন টিকটক নিয়ে চূড়ান্ত চুক্তির পথে ওয়াশিংটন-বেইজিং ইসলামাবাদে কিশোরী টিকটক তারকা সানা ইউসুফ খুন, অভিযুক্ত বন্ধু গ্রেপ্তার

মধ্যরাতে রাবি উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও, পোষ্য কোটায় ভর্তি কার্যক্রম ‘স্থগিত’

সমকালের একটি শিরোনাম “মধ্যরাতে রাবি উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও, পোষ্য কোটায় ভর্তি কার্যক্রম ‘স্থগিত’”

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা পূণর্বহালের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে দিনভর অনশন, ধস্তাধস্তি আর উপ-উপাচার্যকে অবরুদ্ধ রাখার পর মধ্যরাতে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা একযোগে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জুবেরী ভবনে আসেন। পরে সেখান থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। রাত দেড়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা (পোষ্য কোটা) নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতিতে আগামীকাল রোববার জরুরি সিন্ডিকেট সভা আহবান করা হয়েছে। রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়। তবে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, উপাচার্য নিজ মুখে এসে তাদের সামনে বাতিলের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘শিক্ষা আর ভিক্ষা, একসাথে চলে না’, ‘অন টু থ্রি ফোর, পোষ্য কোটা নো মোর’, ‘রক্ত লাগলে রক্ত নিন, পোষ্য কোটা বাদ দিন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী সুপ্রভা বিনতে রফিক বলেন, ‘আমরা ১৪ জুলাইয়ের মতোই আজ আবার রাজপথে নেমেছি। পোষ্য কোটার চূড়ান্ত বিলুপ্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না।’

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “আজ রাতে নিউইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা, সঙ্গী চার রাজনীতিক”

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০ তম অধিবেশনে যোগ দিতে আজ রোববার দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।

সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চারজন রাজনৈতিক নেতা থাকছেন। তাঁরা হলেন—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির।

প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সফর সূচি অনুযায়ী, তিনি ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছবেন এবং ২৬ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। প্রধান উপদেষ্টার আগামী ২ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

এর আগে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, প্রধান উপদেষ্টা বিগত এক বছরে দেশে সংঘটিত সংস্কার এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার বিশ্ব নেতাদের সামনে তুলে ধরবেন।

এ ছাড়া আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতির সভাপতিত্বে ‘হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্য সিচুয়েশন অব রোহিঙ্গা মুসলিমস অ্যান্ড আদার মাইনোরিটিজ ইন মিয়ানমার’ শীর্ষক এক উচ্চপর্যায়ের সভায়ও অংশ নেবেন প্রধান উপদেষ্টা।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “প্রতিযোগিতা ছাড়াই এনসিটিকে ডিপি ওয়ার্ল্ডের হাতে দেয়ার জোর প্রস্তুতি”

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ডের হাতে তুলে দেয়ার জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। চলছে চুক্তির খসড়া তৈরির কাজ। তবে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র নয়, ডিপি ওয়ার্ল্ডকে বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে জিটুজি (গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট) পদ্ধতিতে। শুধু এনসিটি নয়, চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল প্রকল্পের একটি টার্মিনালও ভবিষ্যতে তাদেরকে দিয়ে পরিচালনার পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ।

বন্দর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশে ল্যান্ডলর্ড মডেলে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের মাধ্যমে অপারেটর নিয়োগ সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রক্রিয়া। অথচ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কনটেইনার টার্মিনালটিতে সরাসরি সরকারি পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট অপারেটর নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। তাছাড়া এখানে কোনো প্রতিযোগিতা না হওয়ায় ডিপি ওয়ার্ল্ডের কাছে যাওয়ার পর এনসিটি পরিচালনার প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি ল্যান্ডলর্ড মডেল বলার সুযোগ থাকবে না। কারণ এ মডেলে বন্দরের জায়গা সরকারের মালিকানায় থাকে। বেসরকারি অপারেটর নিজেই জেটি বা যন্ত্রপাতিসহ নানা অবকাঠামো নির্মাণ করে দীর্ঘমেয়াদে পরিচালনা করে। কিন্তু এনসিটিতে এরই মধ্যে ভারী ও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিসহ বড় বিনিয়োগ করে রেখেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

নিউমুরিং টার্মিনালে যন্ত্রপাতি যুক্ত করার আগে ২০০৮ সালে অবশ্য প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের মাধ্যমে বিদেশী অপারেটর নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ২০০৯ সালে চারটি বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠানকেও বাছাই করা হয়েছিল। তবে দেশীয় অপারেটরকে সুযোগ দেয়ার নামে আওয়ামী লীগের তৎকালীন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা দরপত্রে হস্তক্ষেপ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। শেষ পর্যন্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অপারেটর নিয়োগের প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়। গত বছরের আগস্টে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার নতুন করে আবারো বিদেশী অপারেটর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছিল।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “বল এখন সরকারের কোর্টে”

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে টানাপড়েন। বিএনপি ও সমমনা জোটসহ কয়েকটি দল আলোচনার টেবিলে থেকে সমঝোতার পথ খুঁজছে, অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ অথবা গণভোট ছাড়া কোনো সমাধান মানতে রাজি নয়। ওদিকে, গণপরিষদের দাবিতে এখনো অনড় অবস্থানে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গণঅধিকার পরিষদ বলছে-রাজনৈতিক দলগুলোর শতভাগ ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়, তাই এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব সরকারের। অন্যদিকে, নতুন উদ্যোগ বা প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার গণতন্ত্র মঞ্চের ছয়টি দলের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ও গণঅধিকার পরিষদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছে। সূত্র জানায়, বৈঠকে কীভাবে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়নের জন্য দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে আনা যায় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানা যায়, সরকারের কাছে একাধিক প্রস্তাব রাখতে চায় তারা। বিশেষজ্ঞদের মতামতে গণভোট করা সম্ভব। বাস্তবায়নের ক্ষমতা বা দায়িত্ব কমিশনের নেই। জুলাই সনদ তৈরি করা ও পরামর্শ দেয়ার দায়িত্ব কমিশনের। তবে এর বাস্তবায়ন সরকারকেই করতে হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গত বুধবারের আলোচনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সনদের সংবিধান সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো সংবিধান আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নে মত দিয়েছে বিশেষজ্ঞ প্যানেল। তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার সনদের মূল সংস্কারগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে একটি ‘সংবিধান আদেশ’ (কনস্টিটিউশন অর্ডার) জারি করতে পারে। এ আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে। এতে গণভোটের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোট হবে। জনগণের সমর্থন পেলে তা জারির তারিখ থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে।

একাধিক রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সনদের ৮৪টি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। এরমধ্যে অনেকগুলো বিষয়ে নোট অব ডিসেন্টও রয়েছে। এতগুলো নোট অব ডিসেন্ট নিয়ে কীভাবে গণভোট হবে। তবে গণভোট হলে কয়টি প্রশ্ন থাকবে, তা স্পষ্ট নয়। এটি সময়সাপেক্ষও। গণভোটে নেতিবাচক ফল আসার আশঙ্কাও করেছেন কেউ কেউ। বিএনপিসহ তার সমমনা দলগুলো সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের মতামত নিয়ে সাংবিধানিক বিষয়গুলো সমাধানের পরামর্শ দিয়েছে।

কমিশন সূত্র আরও জানায়, বিশেষজ্ঞ প্যানেলের পরামর্শে জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট করার জন্য বলা হয়েছে। সেটি হবে সাংবিধানিক আদেশ সমর্থন করে কি করে না- এমন প্রশ্নে। দেশে বর্তমানে গণভোট করার কোনো আইন না থাকায়, যদি বিষয়টিতে রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়, তখন সাংবিধানিক আদেশে থাকবে, সরকার এ বিষয়ে গণভোটের আয়োজন করতে পারবে। অথবা আলাদা করে গণভোটের আদেশ দেয়া হতে পারে। রাজনৈতিক ঐকমত্য হলে বিষয়টির সমাধান এবং জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট প্রক্রিয়ার আয়োজন করা সহজ হবে। সে ক্ষেত্রে গণভোটের প্রশ্নের বিষয়ে কমিশন থেকে বলা হচ্ছে, সরকার সাংবিধানিক আদেশ দিয়ে সংবিধানের কিছু অংশ পরিবর্তনে প্রস্তাব করেছে। আপনি কি সেটি সমর্থন করেন কিনা? এ রকম প্রশ্ন হতে পারে।

দেশে আবারও স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি

মধ্যরাতে রাবি উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও, পোষ্য কোটায় ভর্তি কার্যক্রম ‘স্থগিত’

০৮:৫৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “মধ্যরাতে রাবি উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও, পোষ্য কোটায় ভর্তি কার্যক্রম ‘স্থগিত’”

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা পূণর্বহালের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে দিনভর অনশন, ধস্তাধস্তি আর উপ-উপাচার্যকে অবরুদ্ধ রাখার পর মধ্যরাতে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা একযোগে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জুবেরী ভবনে আসেন। পরে সেখান থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। রাত দেড়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা (পোষ্য কোটা) নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতিতে আগামীকাল রোববার জরুরি সিন্ডিকেট সভা আহবান করা হয়েছে। রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়। তবে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, উপাচার্য নিজ মুখে এসে তাদের সামনে বাতিলের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘শিক্ষা আর ভিক্ষা, একসাথে চলে না’, ‘অন টু থ্রি ফোর, পোষ্য কোটা নো মোর’, ‘রক্ত লাগলে রক্ত নিন, পোষ্য কোটা বাদ দিন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী সুপ্রভা বিনতে রফিক বলেন, ‘আমরা ১৪ জুলাইয়ের মতোই আজ আবার রাজপথে নেমেছি। পোষ্য কোটার চূড়ান্ত বিলুপ্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না।’

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “আজ রাতে নিউইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা, সঙ্গী চার রাজনীতিক”

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০ তম অধিবেশনে যোগ দিতে আজ রোববার দিবাগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।

সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চারজন রাজনৈতিক নেতা থাকছেন। তাঁরা হলেন—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির।

প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সফর সূচি অনুযায়ী, তিনি ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছবেন এবং ২৬ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। প্রধান উপদেষ্টার আগামী ২ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

এর আগে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, প্রধান উপদেষ্টা বিগত এক বছরে দেশে সংঘটিত সংস্কার এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার বিশ্ব নেতাদের সামনে তুলে ধরবেন।

এ ছাড়া আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতির সভাপতিত্বে ‘হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্য সিচুয়েশন অব রোহিঙ্গা মুসলিমস অ্যান্ড আদার মাইনোরিটিজ ইন মিয়ানমার’ শীর্ষক এক উচ্চপর্যায়ের সভায়ও অংশ নেবেন প্রধান উপদেষ্টা।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “প্রতিযোগিতা ছাড়াই এনসিটিকে ডিপি ওয়ার্ল্ডের হাতে দেয়ার জোর প্রস্তুতি”

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ডের হাতে তুলে দেয়ার জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। চলছে চুক্তির খসড়া তৈরির কাজ। তবে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র নয়, ডিপি ওয়ার্ল্ডকে বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে জিটুজি (গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট) পদ্ধতিতে। শুধু এনসিটি নয়, চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল প্রকল্পের একটি টার্মিনালও ভবিষ্যতে তাদেরকে দিয়ে পরিচালনার পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ।

বন্দর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশে ল্যান্ডলর্ড মডেলে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের মাধ্যমে অপারেটর নিয়োগ সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রক্রিয়া। অথচ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কনটেইনার টার্মিনালটিতে সরাসরি সরকারি পর্যায়ে সুনির্দিষ্ট অপারেটর নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। তাছাড়া এখানে কোনো প্রতিযোগিতা না হওয়ায় ডিপি ওয়ার্ল্ডের কাছে যাওয়ার পর এনসিটি পরিচালনার প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি ল্যান্ডলর্ড মডেল বলার সুযোগ থাকবে না। কারণ এ মডেলে বন্দরের জায়গা সরকারের মালিকানায় থাকে। বেসরকারি অপারেটর নিজেই জেটি বা যন্ত্রপাতিসহ নানা অবকাঠামো নির্মাণ করে দীর্ঘমেয়াদে পরিচালনা করে। কিন্তু এনসিটিতে এরই মধ্যে ভারী ও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিসহ বড় বিনিয়োগ করে রেখেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

নিউমুরিং টার্মিনালে যন্ত্রপাতি যুক্ত করার আগে ২০০৮ সালে অবশ্য প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের মাধ্যমে বিদেশী অপারেটর নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ২০০৯ সালে চারটি বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠানকেও বাছাই করা হয়েছিল। তবে দেশীয় অপারেটরকে সুযোগ দেয়ার নামে আওয়ামী লীগের তৎকালীন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা দরপত্রে হস্তক্ষেপ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। শেষ পর্যন্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অপারেটর নিয়োগের প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়। গত বছরের আগস্টে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার নতুন করে আবারো বিদেশী অপারেটর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছিল।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “বল এখন সরকারের কোর্টে”

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে টানাপড়েন। বিএনপি ও সমমনা জোটসহ কয়েকটি দল আলোচনার টেবিলে থেকে সমঝোতার পথ খুঁজছে, অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ অথবা গণভোট ছাড়া কোনো সমাধান মানতে রাজি নয়। ওদিকে, গণপরিষদের দাবিতে এখনো অনড় অবস্থানে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গণঅধিকার পরিষদ বলছে-রাজনৈতিক দলগুলোর শতভাগ ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়, তাই এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব সরকারের। অন্যদিকে, নতুন উদ্যোগ বা প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার গণতন্ত্র মঞ্চের ছয়টি দলের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ও গণঅধিকার পরিষদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছে। সূত্র জানায়, বৈঠকে কীভাবে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়নের জন্য দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে আনা যায় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ঐকমত্য কমিশন সূত্র জানা যায়, সরকারের কাছে একাধিক প্রস্তাব রাখতে চায় তারা। বিশেষজ্ঞদের মতামতে গণভোট করা সম্ভব। বাস্তবায়নের ক্ষমতা বা দায়িত্ব কমিশনের নেই। জুলাই সনদ তৈরি করা ও পরামর্শ দেয়ার দায়িত্ব কমিশনের। তবে এর বাস্তবায়ন সরকারকেই করতে হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গত বুধবারের আলোচনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সনদের সংবিধান সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো সংবিধান আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়নে মত দিয়েছে বিশেষজ্ঞ প্যানেল। তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার সনদের মূল সংস্কারগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে একটি ‘সংবিধান আদেশ’ (কনস্টিটিউশন অর্ডার) জারি করতে পারে। এ আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে। এতে গণভোটের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোট হবে। জনগণের সমর্থন পেলে তা জারির তারিখ থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে।

একাধিক রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সনদের ৮৪টি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। এরমধ্যে অনেকগুলো বিষয়ে নোট অব ডিসেন্টও রয়েছে। এতগুলো নোট অব ডিসেন্ট নিয়ে কীভাবে গণভোট হবে। তবে গণভোট হলে কয়টি প্রশ্ন থাকবে, তা স্পষ্ট নয়। এটি সময়সাপেক্ষও। গণভোটে নেতিবাচক ফল আসার আশঙ্কাও করেছেন কেউ কেউ। বিএনপিসহ তার সমমনা দলগুলো সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের মতামত নিয়ে সাংবিধানিক বিষয়গুলো সমাধানের পরামর্শ দিয়েছে।

কমিশন সূত্র আরও জানায়, বিশেষজ্ঞ প্যানেলের পরামর্শে জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট করার জন্য বলা হয়েছে। সেটি হবে সাংবিধানিক আদেশ সমর্থন করে কি করে না- এমন প্রশ্নে। দেশে বর্তমানে গণভোট করার কোনো আইন না থাকায়, যদি বিষয়টিতে রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়, তখন সাংবিধানিক আদেশে থাকবে, সরকার এ বিষয়ে গণভোটের আয়োজন করতে পারবে। অথবা আলাদা করে গণভোটের আদেশ দেয়া হতে পারে। রাজনৈতিক ঐকমত্য হলে বিষয়টির সমাধান এবং জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট প্রক্রিয়ার আয়োজন করা সহজ হবে। সে ক্ষেত্রে গণভোটের প্রশ্নের বিষয়ে কমিশন থেকে বলা হচ্ছে, সরকার সাংবিধানিক আদেশ দিয়ে সংবিধানের কিছু অংশ পরিবর্তনে প্রস্তাব করেছে। আপনি কি সেটি সমর্থন করেন কিনা? এ রকম প্রশ্ন হতে পারে।