চীনের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান জে-২০ সহজেই শত্রুপক্ষের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম বলে জানিয়েছেন এর অন্যতম এক প্রধান নকশাবিদ। সম্প্রতি এ জে-২০ সংশ্লিষ্ট কোনো বিশেষজ্ঞ এবারই প্রথম এ তথ্য জনসম্মুক্ষে আনলেন।
ছেংতু এয়ারক্রাফ্ট ডিজাইন অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডেপুটি চিফ ডিজাইনার কং ফেং শনিবার চিলিন প্রদেশের রাজধানী ছাংছুনে পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ার ফোর্সের এভিয়েশন ওপেন-হাউস কার্যক্রমে বলেন, ‘জে-২০–এর রাডার সিগনেচার অত্যন্ত কম, ইনফ্রারেড বৈশিষ্ট্যও উন্নত। ফলে এটি সূচের মতো সহজেই প্রতিপক্ষের প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক ভেদ করতে পারে।’
তিনি জানান, জে-২০ শুধু অদৃশ্য ক্ষমতায় নয়, বরং বহুমুখী যুদ্ধ দক্ষতায়ও অনন্য। এর দীর্ঘপাল্লার সক্ষমতা, উন্নত অ্যাকটিভ ফেজড অ্যারে রাডার ও আধুনিক সেন্সর সিস্টেম একে চতুর্থ প্রজন্মের যেকোনো বিমানের তুলনায় অনেক এগিয়ে রেখেছে। এ ছাড়া দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও স্মার্ট স্ট্রাইক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমও একে কার্যকর করে তুলেছে।
কং আরও বলেন, জে-২০ একা যেমন যুদ্ধ চালাতে পারে, তেমনি আগাম সতর্কীকরণ বিমান ও ড্রোনের সঙ্গে যৌথভাবে একটি সমন্বিত যুদ্ধব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম।
‘মাইটি ড্রাগন’ কোডনামে পরিচিত জে-২০ প্রথম জনসমক্ষে আসে ২০১৬ সালে। বর্তমানে এর তিনটি সংস্করণ চালু রয়েছে—বেসলাইন মডেল, উন্নত ইঞ্জিনযুক্ত এক আসনের জে-২০এ এবং দুই আসনের জে-২০এস। এ তিনটিই সম্প্রতি বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত এক মহড়ায় উড্ডয়ন প্রদর্শনীতে অংশ নেয়।
তথ্য ও ছবি: সিএমজি বাংলা