নতুন নীতির প্রভাব
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে এইচ-১বি ভিসার জন্য বছরে ১ লক্ষ ডলার ফি আরোপ করেছেন। সোমবার এই ঘোষণা আসার পর মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম কমে যায়। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নতুন এই ফি দক্ষ কর্মী নিয়োগে খরচ বাড়াবে এবং বিশেষ করে বিদেশি কর্মীদের ওপর নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানগুলো চাপের মুখে পড়বে।
কোম্পানিগুলোর সতর্কতা
শুক্রবার প্রশাসনের এই ঘোষণার পর মাইক্রোসফট, অ্যামাজন, অ্যালফাবেট (গুগল), গোল্ডম্যান স্যাকসসহ বড় বড় প্রতিষ্ঠান কর্মীদের ভ্রমণ পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার নির্দেশনা দেয়। অনেক কর্মীকে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে না যেতে বা দ্রুত ফিরে আসতে বলা হয়।
বিশ্লেষকদের দৃষ্টিভঙ্গি
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ফি শুধু নতুন ভিসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও দক্ষ কর্মীর যোগান কমে গেলে স্থানীয় কর্মীদের জন্য প্রতিযোগিতা বাড়বে। এর ফলে মার্কিন কর্মীদের উচ্চ বেতন দিতে হবে, যা আইটি কোম্পানির মুনাফা ৪ থেকে ১৩ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে।
বাজারে প্রভাব
কগনিজ্যান্ট টেকনোলজি সলিউশনস, জেপি মরগান এবং ইন্টেলসহ প্রধান এইচ-১বি ভিসা স্পনসর কোম্পানির শেয়ার প্রি-মার্কেট ট্রেডিংয়ে ১ দশমিক ২ থেকে ১ দশমিক ৬ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। অন্যদিকে ভারতীয় আইটি কোম্পানিগুলোর ওপর এর চাপ আরও বেশি। সোমবার ভারতীয় প্রযুক্তি খাতের সূচক প্রায় ৩ শতাংশ পড়ে যায়, যার প্রভাব নিফটি ৫০ সূচকেও পড়ে।
ভারতীয় আইটি খাতের সংকট
ভারতের আইটি কর্মীরাই এইচ-১বি ভিসার সবচেয়ে বড় অংশীদার। তবে নতুন এই ফি কার্যত নতুন ভিসা প্রায় বন্ধ করে দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, ১ লক্ষ ডলার বাড়তি খরচ ভারতীয় কর্মীদের গড় বেতনের প্রায় দ্বিগুণ, যা অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক নয়।
সামগ্রিক চিত্র
২০২৪–এর অর্থবছরে প্রদত্ত এইচ-১বি ভিসার ৬৯ শতাংশই ভারতের নাগরিকদের হাতে গিয়েছিল। নতুন নীতি কার্যকর হলে ভারতীয় আইটি কোম্পানির আয় কমে যাওয়া এবং খরচ বেড়ে যাওয়া অনিবার্য।