০১:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
বিশ্বমুখী কনটেন্টে বাজি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোর ছবিতে ২০২৫: প্রাণী, মানুষ ও বদলে যাওয়া পৃথিবী নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রেকর্ড যোগ, চাপে বিদ্যুৎ গ্রিড এআই চিপ রপ্তানিতে কড়াকড়ি, স্থানীয় উৎপাদনে দৌড় অন্তত ৫০ জন প্রার্থীকে হত্যা করবে আওয়ামী লীগ- রাশেদ খান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্তায় ২০২৬ নিয়ে সতর্কতায় বৈশ্বিক বাজার মৃত্যুভয়ে নির্বাচন ছাড়লেন বিএনপি প্রার্থী গাজায় আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী নিয়ে দোহায় গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হাদির সুস্থতার সম্ভাবনা এখনো অনিশ্চিত, এখন ফ্যাক্টর সময় মস্কোতে নির্বাসিত আসাদ: বিলাসের আড়ালে নিঃসঙ্গ জীবন, রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের ইতিহাস ও নেতৃত্ব নিয়ে নতুন গ্রন্থ

বই প্রকাশ ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডিইউ) ইতিহাস, নেতৃত্ব ও বিকাশ নিয়ে লেখা একটি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে বইটির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যোগেশ সিং। বইটির নাম ‘দ্য ইউনিভার্সিটি অব দিল্লি – এ কমপ্রিহেনসিভ অ্যাকাউন্ট অব ইটস রেজিলিয়েন্স, নলেজ, লিডারশিপ অ্যান্ড গ্রোথ’। এটি রচনা করেছেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মনীষা চৌধুরী।

লেখকের অনুপ্রেরণা ও চ্যালেঞ্জ

মনীষা চৌধুরী জানান, বইটি লেখার পেছনে তাঁর মূল প্রেরণা ছিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘ যাত্রাপথকে লিপিবদ্ধ করা। তবে এ কাজে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সংরক্ষণাগারভিত্তিক দলিলপত্র খুঁজে বের করা, সেগুলো একত্রিত করা এবং সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা

চৌধুরী বইটিতে তুলে ধরেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হরিসিংহ গৌর (১৯২২–১৯২৬) থেকে শুরু করে বর্তমান উপাচার্য যোগেশ সিং পর্যন্ত নেতৃত্বের যাত্রা। তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে বিভিন্ন উপাচার্য সময়ের সীমাবদ্ধতা ও সুযোগের ভেতর দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে এগিয়ে নিয়েছেন।
বইটিতে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের মূল ধারণা, প্রক্রিয়া ও সংগ্রামের কথাও উল্লেখ রয়েছে। পাশাপাশি সংযুক্ত কলেজগুলো, স্কুল অব ওপেন লার্নিং এবং নন-কলেজিয়েট উইমেন্স এডুকেশন বোর্ড প্রতিষ্ঠার পেছনের ইতিহাসও বিশদভাবে আলোচিত হয়েছে।

উপাচার্যের বক্তব্য

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য যোগেশ সিং বলেন, ১৯২২ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে সরকার যে বার্ষিক অনুদান দিয়েছিল, তার পরিমাণ ছিল মাত্র ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু চলতি অর্থবছরে সেই অনুদান বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার কোটি টাকারও বেশি।
তিনি আরও বলেন, এই অনুদান বৃদ্ধিই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রমোন্নতি ও দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক।

বইটি শুধু দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস নয়, বরং এর নেতৃত্ব, শিক্ষার বিকাশ ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি জাতির বিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি। লেখক মনীষা চৌধুরীর মতে, অতীতের সংগ্রাম ও বর্তমানের অগ্রগতির ধারাবাহিকতাই ভবিষ্যতের দিকনির্দেশক হয়ে থাকবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্বমুখী কনটেন্টে বাজি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোর

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের ইতিহাস ও নেতৃত্ব নিয়ে নতুন গ্রন্থ

১০:০০:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বই প্রকাশ ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডিইউ) ইতিহাস, নেতৃত্ব ও বিকাশ নিয়ে লেখা একটি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে বইটির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যোগেশ সিং। বইটির নাম ‘দ্য ইউনিভার্সিটি অব দিল্লি – এ কমপ্রিহেনসিভ অ্যাকাউন্ট অব ইটস রেজিলিয়েন্স, নলেজ, লিডারশিপ অ্যান্ড গ্রোথ’। এটি রচনা করেছেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মনীষা চৌধুরী।

লেখকের অনুপ্রেরণা ও চ্যালেঞ্জ

মনীষা চৌধুরী জানান, বইটি লেখার পেছনে তাঁর মূল প্রেরণা ছিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘ যাত্রাপথকে লিপিবদ্ধ করা। তবে এ কাজে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সংরক্ষণাগারভিত্তিক দলিলপত্র খুঁজে বের করা, সেগুলো একত্রিত করা এবং সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা

চৌধুরী বইটিতে তুলে ধরেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হরিসিংহ গৌর (১৯২২–১৯২৬) থেকে শুরু করে বর্তমান উপাচার্য যোগেশ সিং পর্যন্ত নেতৃত্বের যাত্রা। তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে বিভিন্ন উপাচার্য সময়ের সীমাবদ্ধতা ও সুযোগের ভেতর দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে এগিয়ে নিয়েছেন।
বইটিতে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের মূল ধারণা, প্রক্রিয়া ও সংগ্রামের কথাও উল্লেখ রয়েছে। পাশাপাশি সংযুক্ত কলেজগুলো, স্কুল অব ওপেন লার্নিং এবং নন-কলেজিয়েট উইমেন্স এডুকেশন বোর্ড প্রতিষ্ঠার পেছনের ইতিহাসও বিশদভাবে আলোচিত হয়েছে।

উপাচার্যের বক্তব্য

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য যোগেশ সিং বলেন, ১৯২২ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে সরকার যে বার্ষিক অনুদান দিয়েছিল, তার পরিমাণ ছিল মাত্র ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু চলতি অর্থবছরে সেই অনুদান বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার কোটি টাকারও বেশি।
তিনি আরও বলেন, এই অনুদান বৃদ্ধিই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রমোন্নতি ও দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক।

বইটি শুধু দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস নয়, বরং এর নেতৃত্ব, শিক্ষার বিকাশ ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি জাতির বিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি। লেখক মনীষা চৌধুরীর মতে, অতীতের সংগ্রাম ও বর্তমানের অগ্রগতির ধারাবাহিকতাই ভবিষ্যতের দিকনির্দেশক হয়ে থাকবে।