০১:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ভুয়া জুলাই শহীদ ও জুলাইযোদ্ধা সনাক্ত: দায় কার? ১০০ বিলিয়ন ডলারের আস্থা: যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন ও স্বাস্থ্যনীতি নিয়ে নতুন বিতর্ক স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড: ভরিতে ১,৯১,১৯৬ টাকা এয়ার ইন্ডিয়া দুর্ঘটনার পরবর্তী ব্যবস্থাপনায় আদালতের তীব্র সমালোচনা বিয়র্ন বর্গ: টেনিস বদলে দেওয়া কিংবদন্তির আত্মকথা ইসরায়েলের পশ্চিম তীর কৌশল: কীভাবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা চাপা পড়ছে ফিলিপাইন: সুপার টাইফুন রাগাসার আঘাতে হাজারো মানুষ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে নিউইয়র্কে আখতারের ওপর ডিম নিক্ষেপ : এক বছরের জমে ওঠা আক্রোশের বিস্ফোরণ না অন্যকিছু পুতিন ট্রাম্পকে এক বছরের জন্য পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তি বাড়ানোর প্রস্তাব দিলেন মেট্রো রেলের নতুন সময়সূচি

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের ইতিহাস ও নেতৃত্ব নিয়ে নতুন গ্রন্থ

বই প্রকাশ ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডিইউ) ইতিহাস, নেতৃত্ব ও বিকাশ নিয়ে লেখা একটি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে বইটির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যোগেশ সিং। বইটির নাম ‘দ্য ইউনিভার্সিটি অব দিল্লি – এ কমপ্রিহেনসিভ অ্যাকাউন্ট অব ইটস রেজিলিয়েন্স, নলেজ, লিডারশিপ অ্যান্ড গ্রোথ’। এটি রচনা করেছেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মনীষা চৌধুরী।

লেখকের অনুপ্রেরণা ও চ্যালেঞ্জ

মনীষা চৌধুরী জানান, বইটি লেখার পেছনে তাঁর মূল প্রেরণা ছিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘ যাত্রাপথকে লিপিবদ্ধ করা। তবে এ কাজে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সংরক্ষণাগারভিত্তিক দলিলপত্র খুঁজে বের করা, সেগুলো একত্রিত করা এবং সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা

চৌধুরী বইটিতে তুলে ধরেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হরিসিংহ গৌর (১৯২২–১৯২৬) থেকে শুরু করে বর্তমান উপাচার্য যোগেশ সিং পর্যন্ত নেতৃত্বের যাত্রা। তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে বিভিন্ন উপাচার্য সময়ের সীমাবদ্ধতা ও সুযোগের ভেতর দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে এগিয়ে নিয়েছেন।
বইটিতে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের মূল ধারণা, প্রক্রিয়া ও সংগ্রামের কথাও উল্লেখ রয়েছে। পাশাপাশি সংযুক্ত কলেজগুলো, স্কুল অব ওপেন লার্নিং এবং নন-কলেজিয়েট উইমেন্স এডুকেশন বোর্ড প্রতিষ্ঠার পেছনের ইতিহাসও বিশদভাবে আলোচিত হয়েছে।

উপাচার্যের বক্তব্য

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য যোগেশ সিং বলেন, ১৯২২ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে সরকার যে বার্ষিক অনুদান দিয়েছিল, তার পরিমাণ ছিল মাত্র ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু চলতি অর্থবছরে সেই অনুদান বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার কোটি টাকারও বেশি।
তিনি আরও বলেন, এই অনুদান বৃদ্ধিই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রমোন্নতি ও দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক।

বইটি শুধু দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস নয়, বরং এর নেতৃত্ব, শিক্ষার বিকাশ ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি জাতির বিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি। লেখক মনীষা চৌধুরীর মতে, অতীতের সংগ্রাম ও বর্তমানের অগ্রগতির ধারাবাহিকতাই ভবিষ্যতের দিকনির্দেশক হয়ে থাকবে।

ভুয়া জুলাই শহীদ ও জুলাইযোদ্ধা সনাক্ত: দায় কার?

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের ইতিহাস ও নেতৃত্ব নিয়ে নতুন গ্রন্থ

১০:০০:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বই প্রকাশ ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডিইউ) ইতিহাস, নেতৃত্ব ও বিকাশ নিয়ে লেখা একটি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে বইটির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যোগেশ সিং। বইটির নাম ‘দ্য ইউনিভার্সিটি অব দিল্লি – এ কমপ্রিহেনসিভ অ্যাকাউন্ট অব ইটস রেজিলিয়েন্স, নলেজ, লিডারশিপ অ্যান্ড গ্রোথ’। এটি রচনা করেছেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মনীষা চৌধুরী।

লেখকের অনুপ্রেরণা ও চ্যালেঞ্জ

মনীষা চৌধুরী জানান, বইটি লেখার পেছনে তাঁর মূল প্রেরণা ছিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘ যাত্রাপথকে লিপিবদ্ধ করা। তবে এ কাজে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সংরক্ষণাগারভিত্তিক দলিলপত্র খুঁজে বের করা, সেগুলো একত্রিত করা এবং সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা

চৌধুরী বইটিতে তুলে ধরেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হরিসিংহ গৌর (১৯২২–১৯২৬) থেকে শুরু করে বর্তমান উপাচার্য যোগেশ সিং পর্যন্ত নেতৃত্বের যাত্রা। তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে বিভিন্ন উপাচার্য সময়ের সীমাবদ্ধতা ও সুযোগের ভেতর দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে এগিয়ে নিয়েছেন।
বইটিতে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের মূল ধারণা, প্রক্রিয়া ও সংগ্রামের কথাও উল্লেখ রয়েছে। পাশাপাশি সংযুক্ত কলেজগুলো, স্কুল অব ওপেন লার্নিং এবং নন-কলেজিয়েট উইমেন্স এডুকেশন বোর্ড প্রতিষ্ঠার পেছনের ইতিহাসও বিশদভাবে আলোচিত হয়েছে।

উপাচার্যের বক্তব্য

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য যোগেশ সিং বলেন, ১৯২২ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে সরকার যে বার্ষিক অনুদান দিয়েছিল, তার পরিমাণ ছিল মাত্র ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু চলতি অর্থবছরে সেই অনুদান বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার কোটি টাকারও বেশি।
তিনি আরও বলেন, এই অনুদান বৃদ্ধিই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রমোন্নতি ও দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক।

বইটি শুধু দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস নয়, বরং এর নেতৃত্ব, শিক্ষার বিকাশ ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি জাতির বিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি। লেখক মনীষা চৌধুরীর মতে, অতীতের সংগ্রাম ও বর্তমানের অগ্রগতির ধারাবাহিকতাই ভবিষ্যতের দিকনির্দেশক হয়ে থাকবে।