ট্রাম্পের স্বাস্থ্যনীতি নিয়ে নতুন বিতর্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার অটিজমের কারণ হিসেবে শিশুদের টিকা এবং গর্ভাবস্থায় নারীদের জনপ্রিয় ব্যথানাশক ওষুধ টাইলেনল ব্যবহারের কথা উল্লেখ করেছেন। এই দাবি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়, তবুও তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যনীতির আলোচনায় এ ইস্যু সামনে এনেছেন।
প্রযুক্তি খাতে অভিবাসন নীতির প্রভাব
ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন নীতি কঠোর করার অংশ হিসেবে এইচ-১বি ভিসার জন্য এককালীন ১ লাখ ডলার ফি ঘোষণা করেছে। প্রযুক্তি কোম্পানির নির্বাহী ও বিনিয়োগকারীরা বলছেন, এই সিদ্ধান্তে কোম্পানিগুলোর খরচ কয়েক মিলিয়ন ডলার বাড়তে পারে এবং বিশেষ করে নতুন স্টার্টআপগুলো বিপদে পড়বে, কারণ তারা এ ধরনের খরচ সামলাতে সক্ষম নাও হতে পারে।
প্রতিযোগিতার সুযোগ নিচ্ছে অন্যান্য দেশ
দক্ষিণ কোরিয়াসহ বেশ কিছু দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অভিবাসন নীতির সুযোগ নিতে চাইছে। তারা বিদেশি বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের আকৃষ্ট করে নিজেদের শিল্প ও প্রযুক্তি খাত শক্তিশালী করতে এবং মেধা পাচার রোধে কাজ করছে।
শেয়ারবাজারে প্রভাব
সোমবার প্রযুক্তি খাতে শেয়ারের তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এইচ-১বি ভিসার ফি বৃদ্ধির ফলে যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষ জনশক্তি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়তে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে প্রযুক্তি শিল্পের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।
রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা
- যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি নিয়ে বিভিন্ন স্তরে সমালোচনা বাড়ছে।
- ব্রিটেনের ডাচেস অব ইয়র্ক, সারা ফার্গুসনের সঙ্গে একাধিক দাতব্য সংস্থা সম্পর্ক ছিন্ন করেছে, কারণ তিনি এক ইমেইলে মৃত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টিনকে “সুপ্রিম বন্ধু” বলে উল্লেখ করেছিলেন।
- হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সীমান্ত নীতি বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত টম হোম্যানকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছেন। তবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে যে তিনি এফবিআইয়ের এক গোপন অভিযানে ৫০ হাজার ডলার ঘুষ নিয়েছিলেন।
আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি
কারাকাসে ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী বেসামরিকদের নিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ ও সাঁজোয়া যান মহড়া চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির পর তারা এ ধরনের প্রস্তুতি জোরদার করেছে।
পরিবেশগত হুমকি
শ্রীলঙ্কায় বিশালাকার “স্নেকহেড” মাছকে ক্ষতিকর প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এটি নদী বা জলাধারে ছেড়ে দিলে ব্যাপক পরিবেশগত ক্ষতি করতে পারে।
ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তগুলো যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নীতি থেকে শুরু করে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র পর্যন্ত বড় প্রভাব ফেলছে। স্বাস্থ্যনীতি, প্রযুক্তি খাত, অভিবাসন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক—সবখানেই এর প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে, যা আগামী সময়ে আরও বিতর্ক ও অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।