০৬:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জয়শঙ্কর-রুবিও বৈঠক: বাণিজ্য ও ভিসা ইস্যুতে টানাপোড়েনের মাঝেই আলোচনা রেল সংকট, নতুন টাস্কফোর্স এবং আগেভাগেই সমাধানের প্রশ্ন সংযুক্ত আরব আমিরাতে গোল্ডেন ভিসার যোগ্যতা যাচাই করুন দুই মিনিটে কিম ইউ-জং, কিম দো-হুন ভিয়েটনাম সফরের পর প্রেমের গুজব অস্বীকার এনভিডিয়ার ওপেনএআই-এ ১০০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগ চীন লাবুবু নকল পণ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে: মেধাস্বত্ব সুরক্ষায় উল্টাপাল্টা ভূমিকা দিল্লিতে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব, এক সপ্তাহে ৩৬ জন আক্রান্ত পাকিস্তানের বন্যায় শিশুদের জীবনে গভীর ক্ষত বন্দুক সহিংসতার ভয়ে যুক্তরাষ্ট্র এড়িয়ে চলছেন বহু বিদেশি ভ্রমণকারী নিউইয়র্কে স্কুলে মোবাইল নিষিদ্ধের প্রথম দিন

রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট উৎপাদনে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা: চীনের অগ্রগামিতা, যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপ এখনো পিছিয়ে

চীনের রপ্তানি বন্ধ ও বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া

প্রায় ছয় মাস আগে চীন হঠাৎ রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রপ্তানি বন্ধ করে বিশ্বকে বড় ধাক্কা দেয়। এই ম্যাগনেট ছাড়া গাড়ি, প্রতিরক্ষা, রোবট ও ড্রোনসহ বহু শিল্প চলতে পারে না। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ দ্রুত বিকল্প উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা শুরু করে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে চারটি নতুন কারখানা গড়ে উঠছে এবং পূর্ব ইউরোপেও একটি বড় কারখানা চালু হয়েছে। তবে চীনের তিন দশকের বিনিয়োগ ও প্রস্তুতি এত বিশাল যে দ্রুত তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

বাণিজ্যিক চাপের হাতিয়ার

চীন বহুবার এই ম্যাগনেটকে বাণিজ্য আলোচনার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমলে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনায় তারা এই কৌশল নেয়। আংশিক রপ্তানি চালু থাকলেও কঠোর নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে। এর ফলে ট্রাম্প ভারত ও ব্রাজিলের ওপর বেশি শুল্ক আরোপ করলেও চীনের ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে সতর্ক ছিলেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপরও চাপ দেওয়া হয়েছে যাতে তারা চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর শুল্ক পুনর্বিবেচনা করে।

শিল্পখাতে সংকট

চীনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ইয়েন্স এস্কেলুন্ড জানিয়েছেন, বহু প্রতিষ্ঠান উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট না পাওয়ায়। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাড়ি নির্মাতা ও প্রতিরক্ষা শিল্প। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ আগেই এ ঝুঁকি টের পেয়েছিল এবং কিছু প্রকল্পে সরকারি প্রণোদনা দিয়েছিল। সম্প্রতি কানাডার নিও পারফরম্যান্স ম্যাটেরিয়ালস এস্তোনিয়া নারভায় একটি কারখানা চালু করেছে, যা ইউরোপ ও আমেরিকার উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ করেছে। ভবিষ্যতে আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

চাহিদা ও সরবরাহের বাস্তবতা

উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপ বছরে প্রায় ৪০ হাজার টন রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট আমদানি করে, যার বেশিরভাগই আসে চীন থেকে। ইউরোপের বাইরে বছরে ২ হাজার টনেরও কম উৎপাদন হয়—মূলত জার্মানি ও ফিনল্যান্ডে। জাপান ও ভিয়েতনামে জাপানি কোম্পানিগুলো বছরে প্রায় ২৫ হাজার টন তৈরি করে। অন্যদিকে চীন একাই বছরে ২ লাখ টনের বেশি উৎপাদন করে।

যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপের নতুন কারখানা

জার্মানির VAC গ্রুপ আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলিনায় একটি কারখানা চালু করছে, যার ক্ষমতা বছরে প্রায় ২ হাজার টন। এমপি ম্যাটেরিয়ালস টেক্সাসে ১ হাজার টন ক্ষমতাসম্পন্ন কারখানা তৈরি করছে, যা জেনারেল মোটরসকে সরবরাহ দেবে। ভবিষ্যতে এ উৎপাদন বাড়িয়ে ১০ হাজার টন করার পরিকল্পনা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা বিভাগ এ প্রকল্পে ৪০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
এছাড়া ইউএসএ রেয়ার আর্থ (ওকলাহোমা) ও নোভিওন ম্যাগনেটিকস (টেক্সাস) নতুন কারখানা করছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পূর্ণ উৎপাদনে যেতে অন্তত তিন বছর সময় লাগবে।

চীনের অপ্রতিদ্বন্দ্বী নিয়ন্ত্রণ

চীনের অগ্রগামিতার মূল কারণ তাদের হাতে রেয়ার খনিজ প্রক্রিয়াজাতকরণের নিয়ন্ত্রণ। ম্যাগনেট তৈরিতে প্রয়োজনীয় তিন ধরনের খনিজের ৯৯ শতাংশ চীনেই প্রক্রিয়াজাত হয়। অনেক দেশ, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও খনিজ চীনে পাঠায় প্রক্রিয়াজাত করার জন্য।
চীনা কোম্পানি শেংহে রিসোর্সেস বিশ্বের বিভিন্ন খনি ও রিফাইনারিতে বিনিয়োগ করেছে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও বিশেষজ্ঞ প্রায় সবই চীনের হাতে। সম্প্রতি দেশটি এ সরঞ্জামের রপ্তানি ও প্রযুক্তিবিদদের বিদেশে পাঠানোও সীমিত করেছে।

এস্তোনিয়ার নতুন উদ্যোগ

চীনের বিকল্প তৈরিতে ইউরোপ নজর দিয়েছে এস্তোনিয়ার নিও কোম্পানির প্রকল্পে। সিলামায়ে শহরে ১৯২০ সাল থেকেই জ্বালানি শিল্প রয়েছে, আর ১৯৮০-এর দশকে রেয়ার ধাতুর উৎপাদন শুরু হয়। নারভায় নতুন কারখানার প্রাথমিক ক্ষমতা বছরে ২ হাজার টন, যা ভবিষ্যতে ৫ হাজার টনে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে পূর্ণ উৎপাদনে পৌঁছাতে তিন বছর সময় লাগবে। নিওর প্রধান নির্বাহী রাহিম সুলেমান বলেন, এ ধরনের জটিল কাজ নতুনদের জন্য আরও কঠিন।

ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি

নারভা শহরটি রাশিয়ার সীমান্তের কাছে। ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর প্রেসিডেন্ট পুতিন এ অঞ্চলের কৌশলগত গুরুত্বের কথা বলেছিলেন। এতে এস্তোনিয়ার উদ্বেগ বেড়েছে। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টেন মিখাল জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা বিনিয়োগ ও মিত্রদের সহযোগিতা এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করছে।

চীনকে সরিয়ে এগিয়ে যাওয়া আপাতত অসম্ভব। প্রযুক্তি, সরঞ্জাম, খনিজ প্রক্রিয়াজাতকরণ—সবকিছুতেই তাদের একচেটিয়া আধিপত্য। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ নতুন কারখানা শুরু করলেও পূর্ণ উৎপাদন সক্ষমতা পেতে সময় লাগবে। তাই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা দীর্ঘমেয়াদি হবে, যেখানে এখনো চীনই অপ্রতিদ্বন্দ্বী।

জয়শঙ্কর-রুবিও বৈঠক: বাণিজ্য ও ভিসা ইস্যুতে টানাপোড়েনের মাঝেই আলোচনা

রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট উৎপাদনে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা: চীনের অগ্রগামিতা, যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপ এখনো পিছিয়ে

০২:৩০:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চীনের রপ্তানি বন্ধ ও বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া

প্রায় ছয় মাস আগে চীন হঠাৎ রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রপ্তানি বন্ধ করে বিশ্বকে বড় ধাক্কা দেয়। এই ম্যাগনেট ছাড়া গাড়ি, প্রতিরক্ষা, রোবট ও ড্রোনসহ বহু শিল্প চলতে পারে না। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ দ্রুত বিকল্প উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা শুরু করে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে চারটি নতুন কারখানা গড়ে উঠছে এবং পূর্ব ইউরোপেও একটি বড় কারখানা চালু হয়েছে। তবে চীনের তিন দশকের বিনিয়োগ ও প্রস্তুতি এত বিশাল যে দ্রুত তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

বাণিজ্যিক চাপের হাতিয়ার

চীন বহুবার এই ম্যাগনেটকে বাণিজ্য আলোচনার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমলে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনায় তারা এই কৌশল নেয়। আংশিক রপ্তানি চালু থাকলেও কঠোর নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে। এর ফলে ট্রাম্প ভারত ও ব্রাজিলের ওপর বেশি শুল্ক আরোপ করলেও চীনের ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে সতর্ক ছিলেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপরও চাপ দেওয়া হয়েছে যাতে তারা চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর শুল্ক পুনর্বিবেচনা করে।

শিল্পখাতে সংকট

চীনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ইয়েন্স এস্কেলুন্ড জানিয়েছেন, বহু প্রতিষ্ঠান উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট না পাওয়ায়। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাড়ি নির্মাতা ও প্রতিরক্ষা শিল্প। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ আগেই এ ঝুঁকি টের পেয়েছিল এবং কিছু প্রকল্পে সরকারি প্রণোদনা দিয়েছিল। সম্প্রতি কানাডার নিও পারফরম্যান্স ম্যাটেরিয়ালস এস্তোনিয়া নারভায় একটি কারখানা চালু করেছে, যা ইউরোপ ও আমেরিকার উৎপাদন ক্ষমতা দ্বিগুণ করেছে। ভবিষ্যতে আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

চাহিদা ও সরবরাহের বাস্তবতা

উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপ বছরে প্রায় ৪০ হাজার টন রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট আমদানি করে, যার বেশিরভাগই আসে চীন থেকে। ইউরোপের বাইরে বছরে ২ হাজার টনেরও কম উৎপাদন হয়—মূলত জার্মানি ও ফিনল্যান্ডে। জাপান ও ভিয়েতনামে জাপানি কোম্পানিগুলো বছরে প্রায় ২৫ হাজার টন তৈরি করে। অন্যদিকে চীন একাই বছরে ২ লাখ টনের বেশি উৎপাদন করে।

যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপের নতুন কারখানা

জার্মানির VAC গ্রুপ আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলিনায় একটি কারখানা চালু করছে, যার ক্ষমতা বছরে প্রায় ২ হাজার টন। এমপি ম্যাটেরিয়ালস টেক্সাসে ১ হাজার টন ক্ষমতাসম্পন্ন কারখানা তৈরি করছে, যা জেনারেল মোটরসকে সরবরাহ দেবে। ভবিষ্যতে এ উৎপাদন বাড়িয়ে ১০ হাজার টন করার পরিকল্পনা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা বিভাগ এ প্রকল্পে ৪০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
এছাড়া ইউএসএ রেয়ার আর্থ (ওকলাহোমা) ও নোভিওন ম্যাগনেটিকস (টেক্সাস) নতুন কারখানা করছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পূর্ণ উৎপাদনে যেতে অন্তত তিন বছর সময় লাগবে।

চীনের অপ্রতিদ্বন্দ্বী নিয়ন্ত্রণ

চীনের অগ্রগামিতার মূল কারণ তাদের হাতে রেয়ার খনিজ প্রক্রিয়াজাতকরণের নিয়ন্ত্রণ। ম্যাগনেট তৈরিতে প্রয়োজনীয় তিন ধরনের খনিজের ৯৯ শতাংশ চীনেই প্রক্রিয়াজাত হয়। অনেক দেশ, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও খনিজ চীনে পাঠায় প্রক্রিয়াজাত করার জন্য।
চীনা কোম্পানি শেংহে রিসোর্সেস বিশ্বের বিভিন্ন খনি ও রিফাইনারিতে বিনিয়োগ করেছে। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও বিশেষজ্ঞ প্রায় সবই চীনের হাতে। সম্প্রতি দেশটি এ সরঞ্জামের রপ্তানি ও প্রযুক্তিবিদদের বিদেশে পাঠানোও সীমিত করেছে।

এস্তোনিয়ার নতুন উদ্যোগ

চীনের বিকল্প তৈরিতে ইউরোপ নজর দিয়েছে এস্তোনিয়ার নিও কোম্পানির প্রকল্পে। সিলামায়ে শহরে ১৯২০ সাল থেকেই জ্বালানি শিল্প রয়েছে, আর ১৯৮০-এর দশকে রেয়ার ধাতুর উৎপাদন শুরু হয়। নারভায় নতুন কারখানার প্রাথমিক ক্ষমতা বছরে ২ হাজার টন, যা ভবিষ্যতে ৫ হাজার টনে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে পূর্ণ উৎপাদনে পৌঁছাতে তিন বছর সময় লাগবে। নিওর প্রধান নির্বাহী রাহিম সুলেমান বলেন, এ ধরনের জটিল কাজ নতুনদের জন্য আরও কঠিন।

ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি

নারভা শহরটি রাশিয়ার সীমান্তের কাছে। ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর প্রেসিডেন্ট পুতিন এ অঞ্চলের কৌশলগত গুরুত্বের কথা বলেছিলেন। এতে এস্তোনিয়ার উদ্বেগ বেড়েছে। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টেন মিখাল জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা বিনিয়োগ ও মিত্রদের সহযোগিতা এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করছে।

চীনকে সরিয়ে এগিয়ে যাওয়া আপাতত অসম্ভব। প্রযুক্তি, সরঞ্জাম, খনিজ প্রক্রিয়াজাতকরণ—সবকিছুতেই তাদের একচেটিয়া আধিপত্য। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ নতুন কারখানা শুরু করলেও পূর্ণ উৎপাদন সক্ষমতা পেতে সময় লাগবে। তাই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা দীর্ঘমেয়াদি হবে, যেখানে এখনো চীনই অপ্রতিদ্বন্দ্বী।