একটা জাতি যখন অর্থনৈতিক সংকটে পড়িয়া যায় তখন কৃচ্ছ্রতাই তাহার সর্বাপেক্ষা বড় অস্ত্র। গত এক বছরে বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিক সংকটে পড়িয়া গিয়াছে তাহা স্বয়ং অর্থ উপদেষ্টার বক্তব্যই প্রমাণ করিতেছে। দায়িত্ব লইয়া তিনি বলিয়াছিলেন, অর্থনীতির অবস্থা বাইরের থেকে যত খারাপ বলা হইয়াছিলো বাস্তবে তাহা নহে। বর্তমানে তিনি বলিতেছেন, টাকা কোথায় পাইবো?
তাই এমন সময়ে জাতি হিসাবে সকলেরই দায়িত্ব হইলো দেশ-বিদেশে যে যেখানে থাকি না কেন, দেশের স্বার্থে কৃচ্ছ্রতা সাধন করা। কৃচ্ছ্রতা সাধন সব সময়ই একটি গাণিতিক বিষয়। বড় বেশি হিসাব করিয়া করিতে হয়। যেমন এই মুহূর্তে দেশের জন্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হইলো শিশুদের বাঁচিয়ে রাখা। শিশুদের স্বাস্থ্য ও তাহাদের বাঁচিয়ে রাখিতে হইলে শ্বেতসারের অপেক্ষা প্রোটিন অনেক বেশি প্রয়োজন।

শিশুদের জন্য সব থেকে বেশি প্রয়োজনীয় প্রোটিন রহিয়াছে ডিমে। এই ডিমের দাম ক্রমেই দুর্মূল্য হইতেছে। শুধু দেশে নয়, বিদেশেও। ডিমের দাম বাড়িবার অনেক কারণ থাকে। যাহারা ডিমের ব্যবসা করেন তাহাদের সঙ্গে আলাপ করিলে জানা যায় যে আমদানি বা খামার হইতে পাইকারি বাজার পৌঁছানো অবধি অনেক ডিম অযথা বা প্রয়োজনীয় যত্নের অভাবে ভাঙিয়া নষ্ট হইয়া থাকে। পাইকারি বাজারে গেলে অনেক নষ্ট ডিমের স্তুপ ও তাহার ছড়ানো কুসুম দেখা যায়। আবার পচিয়াও যায়। পচা ডিম ময়লা স্থানে ছুঁড়িয়া ফেলা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।
অথচ ডিম ভাঙিয়া নষ্ট হওয়া, পচিয়া নষ্ট হওয়া যে একটু বেশি নজর রাখিলে রক্ষা করা যাইবে না—তাহা নহে। তাই কৃচ্ছ্রতা পালনের এই সময়ে শিশুদের প্রয়োজনীয় ডিম অপচয় রোধ করিতেই হইবে। না হইলে শিশুদের শরীর আরো খারাপ হইবে। দেশের স্বার্থে সকলকেই এ বিষয়ে সচেতন হইতে হইবে—দেশ ও মানুষের কথা, বিশেষ করিয়া শিশুদের কথা চিন্তা করিয়া।
Sarakhon Report 


















