০৫:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত, হামাসের সতর্কতা: ‘বিপজ্জনক উত্তেজনা’ বিশ্বব্যাপী অস্বাস্থ্যকর আল্ট্রাপ্রসেসড খাবারের বিপুল লাভ এবং তার ক্ষতিকর প্রভাব উত্তরায় গলা কাটা মরদেহ: অটোরিকশা ছিনিয়ে নিতে কিশোরকে হত্যা অ্যাফ্রিকান গোল্ডেন ক্যাট: একটি বিরল প্রজাতির সুরক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা ঠান্ডা হাত? এটি হতে পারে রেনো’স রোগ সাইনাস যন্ত্রণা কেন বাড়ে—কারণ, লক্ষণ ও সমাধান মুম্বইয়ের উচ্চ সতর্কতা: দিল্লি বিস্ফোরণ সংক্রান্ত তিনজন আটক জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা অনুমোদনকে স্বাগত জানাল জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন শারজাহর হোলি কুরআন একাডেমি ও আইসেসকোর সহযোগিতা জোরদারের আলোচনা আকাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের উদ্দেশে মাছ রপ্তানি বন্ধ

শারজাহ পুলিশ অনলাইন ভাড়া প্রতারণা চক্র ভেঙে দিল, গ্রেপ্তার ১৩

সংঘবদ্ধ অনলাইন প্রতারণা ভাঙন

শারজাহ পুলিশ একটি সংঘবদ্ধ সাইবার প্রতারণা চক্র ধ্বংস করেছে, যারা ভুয়া ভাড়া দেওয়ার নামে প্রতারণা করছিল। বুধবার পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় এশীয় বংশোদ্ভূত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সাত ধাপের প্রতারণা কৌশল

অভিযানটির নাম দেওয়া হয় “ওয়েব অব ইলিউশন”। তদন্তে বেরিয়ে আসে, একটি সুসংগঠিত নেটওয়ার্ক ভুক্তভোগীদের টানতে সাতটি ধাপ অনুসরণ করত—ভুয়া বিজ্ঞাপন দেওয়া, ভুক্তভোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা, সাইট ভিজিটের ব্যবস্থা করা, নিরাপত্তা জামানত নেওয়া, ভুয়া চুক্তিতে সই করানো, পালিয়ে যাওয়া এবং টাকা বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া।

পরিকল্পিতভাবে কাজ করা চক্র

শারজাহ পুলিশের অপরাধ ও বন্দর নিরাপত্তা বিষয়ক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওমর আহমেদ বুয়ালজৌদ জানান, চক্রের সদস্যরা সুস্পষ্ট দায়িত্ব ভাগাভাগি করে কাজ করত। তিনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত দলের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার প্রশংসা করেন এবং জানান, উন্নত মানবসম্পদ ও প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে চক্রের সব সদস্যকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।

কীভাবে ফাঁস হলো প্রতারণা

ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের পরিচালক কর্নেল ড. খলিফা ইউসুফ বালহাই বলেন, একজন ভুক্তভোগী একটি অনলাইন বিজ্ঞাপনের জবাব দেওয়ার পর প্রতারিত হন। এরপর অভিযোগ দায়ের করলে মামলাটি শুরু হয়। প্রতিটি লেনদেনের পর সিমকার্ড ধ্বংস করে সব প্রমাণ মুছে ফেলার চেষ্টা করলেও পুলিশ সফলভাবে প্রতিটি সদস্যকে চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

জনসাধারণের জন্য পুলিশের পরামর্শ

কর্তৃপক্ষ অনলাইন বিজ্ঞাপনের সত্যতা যাচাই করতে, বিজ্ঞাপনদাতার বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করতে এবং যথাযথ যাচাই ছাড়া টাকা স্থানান্তর বা চুক্তিতে সই না করার জন্য জনগণকে সতর্ক করেছে। শারজাহ পুলিশ বলেছে, এ ধরনের অপরাধ থেকে বাঁচার প্রথম প্রতিরক্ষা হলো জনসচেতনতা। এটি আর্থিক ও আইনি ক্ষতি থেকে মানুষকে রক্ষা করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত, হামাসের সতর্কতা: ‘বিপজ্জনক উত্তেজনা’

শারজাহ পুলিশ অনলাইন ভাড়া প্রতারণা চক্র ভেঙে দিল, গ্রেপ্তার ১৩

০৭:৩২:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সংঘবদ্ধ অনলাইন প্রতারণা ভাঙন

শারজাহ পুলিশ একটি সংঘবদ্ধ সাইবার প্রতারণা চক্র ধ্বংস করেছে, যারা ভুয়া ভাড়া দেওয়ার নামে প্রতারণা করছিল। বুধবার পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় এশীয় বংশোদ্ভূত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সাত ধাপের প্রতারণা কৌশল

অভিযানটির নাম দেওয়া হয় “ওয়েব অব ইলিউশন”। তদন্তে বেরিয়ে আসে, একটি সুসংগঠিত নেটওয়ার্ক ভুক্তভোগীদের টানতে সাতটি ধাপ অনুসরণ করত—ভুয়া বিজ্ঞাপন দেওয়া, ভুক্তভোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা, সাইট ভিজিটের ব্যবস্থা করা, নিরাপত্তা জামানত নেওয়া, ভুয়া চুক্তিতে সই করানো, পালিয়ে যাওয়া এবং টাকা বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া।

পরিকল্পিতভাবে কাজ করা চক্র

শারজাহ পুলিশের অপরাধ ও বন্দর নিরাপত্তা বিষয়ক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওমর আহমেদ বুয়ালজৌদ জানান, চক্রের সদস্যরা সুস্পষ্ট দায়িত্ব ভাগাভাগি করে কাজ করত। তিনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত দলের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার প্রশংসা করেন এবং জানান, উন্নত মানবসম্পদ ও প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে চক্রের সব সদস্যকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।

কীভাবে ফাঁস হলো প্রতারণা

ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের পরিচালক কর্নেল ড. খলিফা ইউসুফ বালহাই বলেন, একজন ভুক্তভোগী একটি অনলাইন বিজ্ঞাপনের জবাব দেওয়ার পর প্রতারিত হন। এরপর অভিযোগ দায়ের করলে মামলাটি শুরু হয়। প্রতিটি লেনদেনের পর সিমকার্ড ধ্বংস করে সব প্রমাণ মুছে ফেলার চেষ্টা করলেও পুলিশ সফলভাবে প্রতিটি সদস্যকে চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

জনসাধারণের জন্য পুলিশের পরামর্শ

কর্তৃপক্ষ অনলাইন বিজ্ঞাপনের সত্যতা যাচাই করতে, বিজ্ঞাপনদাতার বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করতে এবং যথাযথ যাচাই ছাড়া টাকা স্থানান্তর বা চুক্তিতে সই না করার জন্য জনগণকে সতর্ক করেছে। শারজাহ পুলিশ বলেছে, এ ধরনের অপরাধ থেকে বাঁচার প্রথম প্রতিরক্ষা হলো জনসচেতনতা। এটি আর্থিক ও আইনি ক্ষতি থেকে মানুষকে রক্ষা করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।