১৯৭০-এর দশক থেকে পাখির সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে, বিশেষ করে ধূসর পার্ট্রিজ, ইয়েলো হ্যামার, ল্যাপউইং ও সবুজ উডপেকারের ক্ষেত্রে তা উদ্বেগজনকভাবে স্পষ্ট।
যুক্তরাজ্যে বন্য পাখির প্রজাতি দ্রুত বিলুপ্তির দিকে ধাবিত হচ্ছে। ১৯৭০-এর দশক থেকে সংখ্যা কমতে শুরু করে এবং নতুন সরকারি তথ্য বলছে এ প্রবণতা এখনো অব্যাহত। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্যে প্রজাতি সূচক ৪% এবং ইংল্যান্ডে ৭% হ্রাস পেয়েছে।
অতিরিক্ত যান্ত্রিক কৃষি কার্যক্রম, কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং হেজরোর মতো আবাসস্থল ধ্বংস—এসব কারণে পাখির সংখ্যা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে কিছু অঞ্চলে কচ্ছপ ঘুঘুসহ বিরল পাখিরা আবার ফিরে আসছে, কারণ কৃষকরা নতুন আবাসস্থল তৈরি করছে এবং টেকসই উপায়ে চাষ করছে। পরিবেশ, খাদ্য ও গ্রামীণ বিষয়ক দপ্তরের (ডেফ্রা) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ধরনের টেকসই কৃষি পদ্ধতি ব্যাপকভাবে গ্রহণ করা না হলে পাখির সংখ্যা পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়।

আরএসপিবি-র সংরক্ষণবিষয়ক বিজ্ঞানের প্রধান প্রফেসর রিচার্ড গ্রেগরি বলেন:
“ভীতিকর ব্যাপার হলো, নতুন তথ্য আমাদের দেখাচ্ছে পাখির সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে—তা কৃষিজমি, জলাভূমি, পাহাড়ি অঞ্চল কিংবা সাগরে হোক না কেন। বিশেষ করে সমুদ্রপাখির সংখ্যা বিপর্যয়করভাবে নেমে গেছে। অনেকে অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত, সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নানা চাপ।”
কৃষিজমির পাখির সংখ্যা দীর্ঘমেয়াদে প্রায় ৬২% এবং স্বল্পমেয়াদে ১১% হ্রাস পেয়েছে। বিশেষায়িত কৃষিজ পাখি সাধারণ প্রজাতির তুলনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কচ্ছপ ঘুঘু, ধূসর পার্ট্রিজ ও ট্রি স্প্যারোর মতো প্রজাতি সবচেয়ে বড় আঘাত পেয়েছে।
তবে বনাঞ্চলের পাখির সংখ্যা কিছুটা স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে, কারণ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন স্থানে আবাসস্থল পুনর্গঠন করা হচ্ছে। গত বছরের তথ্য বলেছিল, স্বল্পমেয়াদে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বনাঞ্চলের প্রজাতি হ্রাস পাচ্ছে। এ বছর চিত্র কিছুটা ভিন্ন—কম প্রজাতি হ্রাস পাচ্ছে এবং কিছু বাড়তেও শুরু করেছে। তবে ডেফ্রা জানিয়েছে, সবুজ উডপেকার এখনও সংকটে আছে, ২০১৮ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ২২% হ্রাস পেয়েছে।

ল্যাপউইং ও ইয়েলো হ্যামারের মতো প্রজাতির সংখ্যা ৬৫% এর বেশি হ্রাস পেয়েছে এবং গত পাঁচ বছর ধরে তা অব্যাহতভাবে কমছে।
সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে এবং পরবর্তী সময়ে প্রজাতির সংখ্যা ও জীববৈচিত্র্য বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















