১২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
সন্ত্রাস দমনে অপ্রবেশ্য নিরাপত্তা বলয়, সংঘটিত অপরাধে সর্বমুখী আঘাতের ঘোষণা অমিত শাহের ইসরায়েলের ঐতিহাসিক স্বীকৃতি সোমালিল্যান্ডকে, আফ্রিকার শিংয়ে নতুন ভূরাজনৈতিক ঢেউ চীনা যুদ্ধবিমানের প্রধান ক্রেতা হিসেবে পাকিস্তানের উত্থান, পেন্টাগনের প্রতিবেদনে স্পষ্ট বার্তা পাকিস্তানে সৌর বিদ্যুতের উত্থান, নারীরা কি কেবল দর্শক চৌদ্দ দেশের কণ্ঠে একসুর, পশ্চিম তীরে নতুন ইহুদি বসতি সম্প্রসারণে ইসরায়েলের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ইউএই মরুভূমির পাঁচশ মিটার ওপরে নিঃশব্দ উড়াল, রাস আল খাইমায় হট এয়ার বেলুনের ভেতরের গল্প শুরু হচ্ছে ভুয়া কনসার্ট টিকিটে প্রতারণা, তিন মাসের লড়াইয়ে টাকা ফিরে পেলেন প্রবাসী নারী দাম বাড়লেও সোনা ছাড়া নয় বিয়ে, বুদ্ধিমত্তায় কেনাকাটায় ঝুঁকছেন ক্রেতারা লবণ জলে বাঁধা পরিবার: সিডনি–হোবার্ট ইয়ট রেসে বাবা–ছেলে–ভাইবোনের প্রজন্মের লড়াই হিজবুল্লাহ দুর্বল হলেও নিঃশেষ নয়, নিরস্ত্রীকরণ ঘিরে আবারও যুদ্ধের শঙ্কা

ডেনমার্কে ড্রোন আতঙ্কে এয়ারপোর্ট বন্ধ

অলবর্গ বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা

ডেনমার্কের উত্তরাঞ্চলের অলবর্গ বিমানবন্দর ড্রোন দেখা যাওয়ার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, অনুমতি ছাড়া আকাশসীমায় ড্রোন উড়তে দেখা গেছে।

অন্য বিমানবন্দরেও ড্রোন কার্যকলাপ

দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের তিনটি ছোট বিমানবন্দর — এসবিয়ার্গ, সন্ডারবুর্গ এবং স্ক্রিডস্ট্রুপ — এও ড্রোনের উপস্থিতি রিপোর্ট করা হলেও সেগুলো বন্ধ করা হয়নি।

কোপেনহেগেনে এর আগে একই ঘটনা

এর আগেই সপ্তাহের শুরুতে কোপেনহেগেনের প্রধান বিমানবন্দর কাস্ট্রুপ কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখতে হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডরিকসেন ঘটনাটিকে ডেনমার্কের অবকাঠামোর ওপর ‘সবচেয়ে বড় আক্রমণ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

Denmark: Drone activity confirmed at multiple airports - BBC News

পুলিশের তদন্ত

পুলিশ জানায়, মাটিতেও ড্রোনগুলো দেখা গেছে। তারা এটিকে কৌতুক বা দুষ্টুমি হিসেবেও উড়িয়ে দিচ্ছে না। কে বা কারা এগুলো চালাচ্ছে এবং এর উদ্দেশ্য কী, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রভাবিত ফ্লাইট ও সামরিক ঘাঁটি

অন্তত তিনটি ফ্লাইট অলবর্গ বিমানবন্দর থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরটি সামরিক ঘাঁটিও হওয়ায় ডেনিশ সশস্ত্র বাহিনীও প্রভাবিত হয়েছে।
নর্থ জাটল্যান্ড পুলিশ জানায়, তারা ঘনিষ্ঠভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। কতগুলো ড্রোন জড়িত সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি। পুলিশের প্রধান পরিদর্শক জেসপার বোজগার্ড ম্যাডসেন বলেন, সুযোগ পেলে ড্রোনগুলো ভূপাতিত করা হবে। তবে যাত্রী বা আশপাশের মানুষের জন্য আপাতত কোনো ঝুঁকি নেই।

দক্ষিণাঞ্চলের ড্রোন কার্যকলাপ

এসবিয়ার্গ, সন্ডারবুর্গ এবং স্ক্রিডস্ট্রুপে পাওয়া ড্রোন কার্যকলাপ নিয়েও পুলিশ সতর্ক রয়েছে। তবে সেসব বিমানবন্দর বন্ধ করা হয়নি এবং জনসাধারণের জন্য কোনো হুমকি নেই।

EPA Aalborg airport on Thursday

ইউরোপজুড়ে উদ্বেগ

ইউরোপের আকাশসীমা এখন সতর্ক পর্যায়ে আছে। বেশ কয়েকটি ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্র সম্প্রতি রুশ অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলেছে।

গত সপ্তাহে এস্তোনিয়া ও পোল্যান্ড ন্যাটোর কাছে জরুরি পরামর্শ বৈঠক ডাকে। রোমানিয়াও অভিযোগ করেছে, রুশ ড্রোন তাদের আকাশসীমা ভেঙেছে।

রাশিয়া অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, পোল্যান্ডের ঘটনা ইচ্ছাকৃত ছিল না এবং রোমানিয়ার অভিযোগে কোনো মন্তব্য করেনি।

ন্যাটোর প্রতিক্রিয়া

ন্যাটো মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে রাশিয়ার কর্মকাণ্ডকে উসকানিমূলক আখ্যা দিয়ে সতর্ক করেছে যে, নিজেদের রক্ষায় তারা সামরিক ও অসামরিক সব ধরনের উপায় ব্যবহার করবে।

ন্যাটো এবং ভারত: একটি শান্তিপূর্ণ, মুক্ত এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বের অংশীদার

বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়া এর পূর্ণ দায়িত্ব বহন করে। এসব কর্মকাণ্ড জীবনহানির ঝুঁকি বাড়াচ্ছে এবং তা বন্ধ করতে হবে। ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘আমরা প্রতিরক্ষামূলক জোট হলেও পরিস্থিতি সম্পর্কে একেবারে অজ্ঞ নই।’

ট্রাম্পের মন্তব্য

জাতিসংঘে ভাষণের পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেন, ন্যাটো দেশগুলো উচিত তাদের আকাশসীমা ভাঙা রুশ বিমানের ওপর সরাসরি আক্রমণ চালানো।

জনপ্রিয় সংবাদ

সন্ত্রাস দমনে অপ্রবেশ্য নিরাপত্তা বলয়, সংঘটিত অপরাধে সর্বমুখী আঘাতের ঘোষণা অমিত শাহের

ডেনমার্কে ড্রোন আতঙ্কে এয়ারপোর্ট বন্ধ

০৫:১৭:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অলবর্গ বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা

ডেনমার্কের উত্তরাঞ্চলের অলবর্গ বিমানবন্দর ড্রোন দেখা যাওয়ার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, অনুমতি ছাড়া আকাশসীমায় ড্রোন উড়তে দেখা গেছে।

অন্য বিমানবন্দরেও ড্রোন কার্যকলাপ

দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের তিনটি ছোট বিমানবন্দর — এসবিয়ার্গ, সন্ডারবুর্গ এবং স্ক্রিডস্ট্রুপ — এও ড্রোনের উপস্থিতি রিপোর্ট করা হলেও সেগুলো বন্ধ করা হয়নি।

কোপেনহেগেনে এর আগে একই ঘটনা

এর আগেই সপ্তাহের শুরুতে কোপেনহেগেনের প্রধান বিমানবন্দর কাস্ট্রুপ কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখতে হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডরিকসেন ঘটনাটিকে ডেনমার্কের অবকাঠামোর ওপর ‘সবচেয়ে বড় আক্রমণ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

Denmark: Drone activity confirmed at multiple airports - BBC News

পুলিশের তদন্ত

পুলিশ জানায়, মাটিতেও ড্রোনগুলো দেখা গেছে। তারা এটিকে কৌতুক বা দুষ্টুমি হিসেবেও উড়িয়ে দিচ্ছে না। কে বা কারা এগুলো চালাচ্ছে এবং এর উদ্দেশ্য কী, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

প্রভাবিত ফ্লাইট ও সামরিক ঘাঁটি

অন্তত তিনটি ফ্লাইট অলবর্গ বিমানবন্দর থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরটি সামরিক ঘাঁটিও হওয়ায় ডেনিশ সশস্ত্র বাহিনীও প্রভাবিত হয়েছে।
নর্থ জাটল্যান্ড পুলিশ জানায়, তারা ঘনিষ্ঠভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। কতগুলো ড্রোন জড়িত সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি। পুলিশের প্রধান পরিদর্শক জেসপার বোজগার্ড ম্যাডসেন বলেন, সুযোগ পেলে ড্রোনগুলো ভূপাতিত করা হবে। তবে যাত্রী বা আশপাশের মানুষের জন্য আপাতত কোনো ঝুঁকি নেই।

দক্ষিণাঞ্চলের ড্রোন কার্যকলাপ

এসবিয়ার্গ, সন্ডারবুর্গ এবং স্ক্রিডস্ট্রুপে পাওয়া ড্রোন কার্যকলাপ নিয়েও পুলিশ সতর্ক রয়েছে। তবে সেসব বিমানবন্দর বন্ধ করা হয়নি এবং জনসাধারণের জন্য কোনো হুমকি নেই।

EPA Aalborg airport on Thursday

ইউরোপজুড়ে উদ্বেগ

ইউরোপের আকাশসীমা এখন সতর্ক পর্যায়ে আছে। বেশ কয়েকটি ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্র সম্প্রতি রুশ অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলেছে।

গত সপ্তাহে এস্তোনিয়া ও পোল্যান্ড ন্যাটোর কাছে জরুরি পরামর্শ বৈঠক ডাকে। রোমানিয়াও অভিযোগ করেছে, রুশ ড্রোন তাদের আকাশসীমা ভেঙেছে।

রাশিয়া অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, পোল্যান্ডের ঘটনা ইচ্ছাকৃত ছিল না এবং রোমানিয়ার অভিযোগে কোনো মন্তব্য করেনি।

ন্যাটোর প্রতিক্রিয়া

ন্যাটো মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে রাশিয়ার কর্মকাণ্ডকে উসকানিমূলক আখ্যা দিয়ে সতর্ক করেছে যে, নিজেদের রক্ষায় তারা সামরিক ও অসামরিক সব ধরনের উপায় ব্যবহার করবে।

ন্যাটো এবং ভারত: একটি শান্তিপূর্ণ, মুক্ত এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বের অংশীদার

বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়া এর পূর্ণ দায়িত্ব বহন করে। এসব কর্মকাণ্ড জীবনহানির ঝুঁকি বাড়াচ্ছে এবং তা বন্ধ করতে হবে। ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘আমরা প্রতিরক্ষামূলক জোট হলেও পরিস্থিতি সম্পর্কে একেবারে অজ্ঞ নই।’

ট্রাম্পের মন্তব্য

জাতিসংঘে ভাষণের পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেন, ন্যাটো দেশগুলো উচিত তাদের আকাশসীমা ভাঙা রুশ বিমানের ওপর সরাসরি আক্রমণ চালানো।