ইউএনবি থেকে অনূদিত
সরবরাহ বেড়েছে, দাম কিছুটা কমেছে
চাঁদপুর মাছ অবতরণ কেন্দ্রে গত কয়েক দিনে ইলিশের সরবরাহ হঠাৎ বেড়ে গেছে। এর ফলে বাজারে দামের ওপর চাপ কমেছে এবং ভোক্তারা কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন। তবে ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া ২২ দিনের ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার আগে এই সরবরাহকেই শেষ সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রতিদিন হাজার মণ ইলিশ আসছে
বড় স্টেশন মাছ ঘাটের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত দুই থেকে তিন দিনে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার থেকে এক হাজার দুইশ’ মণ ইলিশ উঠছে। এর আগে এই পরিমাণ ছিল মাত্র চার থেকে পাঁচশ’ মণ।

ছোট ইলিশের আধিক্য, দাম তুলনামূলক কম
মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বারাত সরকারসহ অন্যান্যরা জানিয়েছেন, ধরা পড়া ইলিশের প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশই ছোট আকারের। চারটি ছোট ইলিশ মিলে এক কেজি হয়। এ ধরনের মাছ কেজিপ্রতি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকারের ইলিশ কেজিপ্রতি ১,৮৫০ থেকে ২,২০০ টাকা এবং ৮০০–৯০০ গ্রামের ইলিশ কেজিপ্রতি ১,৬০০ থেকে ১,৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে
দাম কিছুটা কমলেও নিম্ন আয়ের মানুষ এখনো ইলিশ কেনার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছেন। দুই নারী ক্রেতাকে কেজিপ্রতি ৪৫০ টাকায় ইলিশ কিনতে দেখা গেছে, আবার দুই ব্যাংক কর্মকর্তা প্রতিজন ১,৯৫০ টাকা দরে পাঁচটি ইলিশ কিনেছেন।
নদী থেকে সরাসরি আসছে বিভিন্ন অঞ্চলে
স্থানীয় বিক্রেতারা জানিয়েছেন, পদ্মা ও মেঘনা নদী ছাড়াও হাতিয়া, সন্দ্বীপ, রামগতি, চরফ্যাশন, বরগুনা ও ভোলাসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে প্রতিদিন ট্রলার, পিকআপ ও ট্রাকে ইলিশ আসছে। চাঁদপুর থেকে এই মাছ ঢাকা, গাজীপুর, টঙ্গী, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও সাভারসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের ব্যস্ত সময়
হারিনা ঘাটের অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী শেখ আমির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, জাকির হোসেন, রাসেল গাজী ও পরিমল দাস জানিয়েছেন, বিপুল পরিমাণ ইলিশ আসায় তারা অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন।
প্রশাসনের মন্তব্য
ইলিশ ছোট হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নিবাস চন্দ্র চন্দ বলেন, তিনি সদ্য দায়িত্ব নিয়েছেন, তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অনিচ্ছুক।
এই বাড়তি সরবরাহে বাজারে দামের কিছুটা স্বস্তি এলেও নিম্ন আয়ের মানুষ এখনো অনেকটাই বঞ্চিত। সামনে নিষেধাজ্ঞা শুরু হলে আবারও বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতি দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা।
Sarakhon Report 



















