০৫:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত, হামাসের সতর্কতা: ‘বিপজ্জনক উত্তেজনা’ বিশ্বব্যাপী অস্বাস্থ্যকর আল্ট্রাপ্রসেসড খাবারের বিপুল লাভ এবং তার ক্ষতিকর প্রভাব উত্তরায় গলা কাটা মরদেহ: অটোরিকশা ছিনিয়ে নিতে কিশোরকে হত্যা অ্যাফ্রিকান গোল্ডেন ক্যাট: একটি বিরল প্রজাতির সুরক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা ঠান্ডা হাত? এটি হতে পারে রেনো’স রোগ সাইনাস যন্ত্রণা কেন বাড়ে—কারণ, লক্ষণ ও সমাধান মুম্বইয়ের উচ্চ সতর্কতা: দিল্লি বিস্ফোরণ সংক্রান্ত তিনজন আটক জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা অনুমোদনকে স্বাগত জানাল জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন শারজাহর হোলি কুরআন একাডেমি ও আইসেসকোর সহযোগিতা জোরদারের আলোচনা আকাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের উদ্দেশে মাছ রপ্তানি বন্ধ

আরসার হামলায় বাংলাদেশের সম্পৃক্ততার অভিযোগ আরাকান আর্মিপ্রধানের

সমকালের একটি শিরোনাম “সড়কজুড়ে পার্কিং, পণ্য ওঠানামা সারাদিন”

রায়সাহেব বাজার থেকে যাত্রাবাড়ী যাওয়ার পথে অনেক সময় দয়াগঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছাতেই লেগে যায় এক ঘণ্টা। ট্রাক, পিকআপ ভ্যান ও দোকানের মালপত্র রেখে দেওয়ায় সড়কের অর্ধেকই বন্ধ থাকে সারাদিন। গাড়ির চাকা যেন নড়ে না। যানজট না থাকলে সড়কের এই অংশটুকু পার হতে সময় লাগে মাত্র পাঁচ মিনিট।’ পুরান ঢাকার এই সড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আতিক মেসবাহ্ লগ্ন যানজটের অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন। শুধু এই সড়ক নয়; রায়সাহেব বাজার, নয়াবাজার থেকে গুলিস্তানমুখী সড়কসহ বিভিন্ন সড়কের একই হাল।

সরেজমিন দেখা যায়, ধোলাইখাল ট্রাকস্ট্যান্ডের জায়গা ছাড়িয়ে রায়সাহেব বাজার মোড় থেকে মুরগিটোলা মোড় পর্যন্ত সড়কে দুই সারিতে ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। দুই লেনের সড়কের কোথাও কোথাও দুই পাশে দুটি করে চার সারিতে গাড়ি দাঁড় করানো। এ ছাড়া ধোলাইখালে মেশিনপত্রের দোকানগুলোর সামনে সামগ্রী রেখে সড়কের অর্ধেক দখল করা হয়েছে।

সদরঘাট থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চলাচলকারী বাস আগে ছাড়ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে। ভিক্টোরিয়া পার্কের চারদিকে দাঁড়িয়ে থাকত বাস। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে গত সপ্তাহ থেকে বাসগুলো ধোলাইখাল টং মার্কেট থেকে রায়সাহেব বাজার মোড় পর্যন্ত সড়কে রাখা হয়। এখানে আগে থেকেই একটি লেগুনাস্ট্যান্ড আছে। এতে রায়সাহেব বাজার থেকে যাত্রাবাড়ী যাওয়ার সময় ধোলাইখালের এই দেড়-দুই কিলোমিটার সড়কে যাত্রীদের নাভিশ্বাস উঠে যায়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে।

বাবুবাজার থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, বাবুবাজার সেতুর নিচে নয়াবাজার থেকে তাঁতীবাজার পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে লোহালক্কড়ের দোকানের মালপত্র ফেলে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বাস-ট্রাকের দখলে থাকে সড়কের দুই পাশে একটি করে লেন। এদিকে রায়সাহেব বাজার থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত সড়কে রাত ১০টা পর্যন্ত মালপত্র গাড়িতে ওঠানামায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানা হয় না। সড়কের উভয় পাশে চার লেনের মধ্যে দুটি লেন বন্ধ থাকে ভ্যান, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যানে মালপত্র ওঠানামা করার কারণে। এই সড়কের পাশে ড্রেনের কাজ যেন কয়েক বছর ধরে লেগেই আছে। বিশ্বব্যাংকের প্রকল্পের মাধ্যমে বংশাল থেকে বুড়িগঙ্গা নদী পর্যন্ত ড্রেনের কাজ শেষ হয়েছে বছর দেড়েক আগে। এখন সংস্কারকাজ চলায় সড়কের একদিকের দুটি লেন বন্ধ।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “জাতীয় সংসদ নির্বাচন: বিএনপির প্রার্থী বাছাই শেষ হওয়ার পথে”

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির প্রার্থী বাছাইপ্রক্রিয়া শেষের দিকে। মাঠপর্যায়ের জরিপ ও সাংগঠনিক রীতি মেনে প্রার্থী বাছাইয়ের এ প্রক্রিয়া চালাচ্ছে দলটি, যা আগামী অক্টোবরেই চূড়ান্ত রূপ দিতে চান নেতারা। দলের নীতিনির্ধারকেরা জানিয়েছেন, শিগগিরই এ প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত ফল দৃশ্যমান হবে। তবে নির্দিষ্ট কোনো মাস বা তারিখ উল্লেখ করেননি তাঁরা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেড় বছর আগে থেকে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে বিএনপি শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবে। মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে বিএনপির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে আগামী অক্টোবরেই প্রার্থী চূড়ান্ত করার বিষয়ে তাগিদ দেন নেতারা। মিত্রদের আসন ছাড়ের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেন তাঁরা। সেখানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রার্থী চূড়ান্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, তফসিল ঘোষণার আগেই তিন শর মধ্যে অন্তত ৭০ শতাংশ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে চায় বিএনপি। অধিকাংশ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্তের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। দেড় শ আসনে কাদের প্রার্থী করা হবে, তা মোটামুটি নির্ধারিত হয়ে গেছে। বাকি দেড় শ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করা নিয়ে এখন শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। এর মধ্যে ৫০টির মতো আসন ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের মিত্রদের জন্য ছাড়ার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে কোন কোন আসনে ছাড় দেওয়া হচ্ছে, তা-ও অক্টোবরে মৌখিকভাবে জানানো হতে পারে।

নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রাখেন—বিএনপির এমন একাধিক নেতা জানান, দীর্ঘদিন থেকেই দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করার কাজটি নিবিড়ভাবে তত্ত্বাবধান করছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর তত্ত্বাবধানে ইতিমধ্যে পাঁচটি জরিপ সম্পন্ন হয়েছে।

বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের মাধ্যমেও সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি আসনভিত্তিক সম্ভাব্য প্রার্থীদেরও মতামত নিচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতার মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু করেছেন তারেক।

সর্বশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিএনপি। দলটির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, আগামী নির্বাচনে দেড় শ আসনে যাঁদের প্রার্থী করা হবে তাঁরা একাদশ সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করেন। এ ছাড়া বাকি দেড় শ আসনের মধ্যে শতাধিক আসনে নতুন প্রার্থী আসবে। এক্ষেত্রে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে লড়াই-সংগ্রাম বিশেষ করে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর-পরবর্তী সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে সম্পৃক্ত ত্যাগী, সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, এলাকায় জনপ্রিয় ক্লিন ইমেজধারীরা প্রাধান্য পাবেন।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “আরসার হামলায় বাংলাদেশের সম্পৃক্ততার অভিযোগ আরাকান আর্মিপ্রধানের”

বাংলাদেশ সীমান্তে আরাকান আর্মির ঘাঁটিতে ‘রোহিঙ্গা বিদ্রোহী’রা হামলা করছে বলে অভিযোগ করেছেন সশস্ত্র সংগঠনটির কমান্ডার ইন চিফ মেজর জেনারেল তোয়ান মারত নাইং। আর এতে ‘কিছু বাংলাদেশী কর্মকর্তার’ সমর্থন রয়েছে বলেও অভিযোগ তার। থাইল্যান্ড থেকে প্রকাশিত মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাওয়াদ্দিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ অভিযোগ করেন আরাকান আর্মির প্রধান। এ বিষয়ে জানতে ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত বাংলাদেশী দূতাবাসে যোগাযোগ করে ইরাওয়াদ্দি। তবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

তোয়ান মারত নাইং সাক্ষাৎকারে জানান, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) মিলিতভাবে ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে উত্তর রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপে আরাকান আর্মির একটি ঘাঁটিতে হামলা চালায়। তার বাহিনী যখন রাখাইনে মিয়ানমারের সেনা নিয়ন্ত্রিত এলাকা দখল করে শৃঙ্খলা ফেরাতে লড়াই করছে, তখনই এ হামলা চালানো হয়। আরাকান আর্মির প্রধানের দাবি, ‘বাংলাদেশী একটি বাহিনীর কর্মকর্তারা সীমান্তের ওপারে থাকা সশস্ত্রদের আমাদের ওপর হামলা চালাতে বলেছে। আগে এ সশস্ত্র নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ মূলত মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে হতো, কিন্তু এখন তাদের মধ্যে সরাসরি সমন্বয়ের বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে।’

তোয়ান মারত নাইংয়ের ভাষায়, ‘রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের নির্দেশ দেয়া হচ্ছে যেন তাউংপিও এলাকায় হামলা চালানো হয়। ওই এলাকা বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে। তা সম্ভব না হলে তাউংপিওর উত্তরের আরাকান আর্মির অবস্থানগুলোতে আক্রমণ চালাতে বলা হয়েছে।’ তবে তৃতীয় কোনো পক্ষ থেকে তাদের অস্ত্র সরবরাহের কোনো তথ্য আরাকান আর্মির কাছে নেই বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের বুথিডং ও মংডু টাউনশিপসহ প্রায় সব এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে আরাকান আর্মি। ১৯ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে আরাকান আর্মি জানায়, দীর্ঘ ও অনিরাপদ সীমান্তের কারণে আরসা ও আরএসও যোদ্ধারা মংডুতে অনুপ্রবেশ করেছে। তারা স্থানীয়দের হত্যা করছে, অপহরণ করছে বা মুক্তিপণ আদায় করছে। সেই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে।

তোয়ান মারত নাইং বলেন, ‘তারা সীমান্ত দিয়ে ঢুকে পড়লে সামনে যাকেই পায় হত্যা করে। এরপর নিহতদের গায়ে আরাকান আর্মির পোশাক বা সামরিক সরঞ্জাম পরিয়ে দেয়। কিন্তু আসলে যারা নিহত হয়েছে তারা সাধারণ মানুষ, আরাকান আর্মির সদস্য নয়।’

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “জুলাই সনদ ঘিরে ঐক্যের চেষ্টা, চোখ আসন সমঝোতায়”

জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ৯টি দল মিলে জোট করার চেষ্টা চলছে। দলগুলো জুলাই সনদ নিয়ে কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে।

আবার এই সম্ভাব্য জোটের একাধিক দল পরস্পর একীভূত হওয়ার আলোচনাও চলছে।

জোট গঠনের এ উদ্যোগে রয়েছে এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি এবং গণতন্ত্র মঞ্চের ছয় শরিক জেএসডি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও ভাসানী জনশক্তি পার্টি।

জোট করলে বিএনপি, নাকি জামায়াত— কোন বলয়ে যাবে, তা নিয়ে ৯ দলের মধ্যে প্রাথমিক আলাপ চলছে।

এর মধ্যে বামপন্থি কয়েকটি দল জামায়াতের সঙ্গে যাওয়ার বিরোধী। তাই প্রত্যাশিত আসন পেলে তারা বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় আগ্রহী।

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীরও সনদকেন্দ্রিক বলয় আছে। তাদের মতো এই দলগুলোরও বলয় তৈরির পেছনে আছে আগামী সংসদ নির্বাচন।

যদিও বিএনপি তাদের যুগপৎ আন্দোলনের শরিক গণতন্ত্র মঞ্চ নিয়ে আগেই নির্বাচন করা এবং জয়ী হলে সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে।

তবে জুলাই সনদ নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের অবস্থান বিএনপির চেয়ে ভিন্ন। তারা পিআর পদ্ধতির উচ্চকক্ষ, সনদের আইনি ভিত্তি ও সাংবিধানিক সভায় সংবিধানের সংস্কার চায়।

এটি এনসিপি, এবি পার্টি ও গণঅধিকারের অবস্থানের কাছাকাছি।

৯ দলের একটির প্রধান সমকালকে বলেছেন, এটি ঠিক, আসন্ন নির্বাচনে আসনকেন্দ্রিক অনিশ্চয়তা তাদের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। আলাদা থাকলে বিএনপি কিংবা জামায়াতের সঙ্গে দরকষাকষিতে এই ৯ দলের কেউ সুবিধা করে উঠতে পারবে না। একসঙ্গে থাকলেই কেবল বেশি আসন পাওয়া সম্ভব। নির্বাচনী ছাড় বা সমঝোতাই তাদের বড় লক্ষ্য।

আরেকজন নেতা সমকালকে বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে এত তাড়াতাড়ি সমঝোতায় রাজি নয়। এনসিপি।

বিএনপির প্রার্থী বাছাই শেষ হওয়ার পথে— আজকের পত্রিকার শিরোনাম এটি। এই খবরে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মাঠপর্যায়ের জরিপ ও সাংগঠনিক রীতি মেনে বিএনপির প্রার্থী বাছাইপ্রক্রিয়া শেষের দিকে।

গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে আগামী অক্টোবরেই প্রার্থী চূড়ান্ত করার বিষয়ে তাগিদ দেন নেতারা।

সেখানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রার্থী চূড়ান্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়।

দলটির সূত্রে জানা যায়, তফসিল ঘোষণার আগেই অন্তত ৭০ শতাংশ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে চায় বিএনপি। তার মধ্যে দেড়শ আসনে কাদের প্রার্থী করা হবে, তা মোটামুটি নির্ধারিত হয়ে গেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত, হামাসের সতর্কতা: ‘বিপজ্জনক উত্তেজনা’

আরসার হামলায় বাংলাদেশের সম্পৃক্ততার অভিযোগ আরাকান আর্মিপ্রধানের

০৯:০২:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “সড়কজুড়ে পার্কিং, পণ্য ওঠানামা সারাদিন”

রায়সাহেব বাজার থেকে যাত্রাবাড়ী যাওয়ার পথে অনেক সময় দয়াগঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছাতেই লেগে যায় এক ঘণ্টা। ট্রাক, পিকআপ ভ্যান ও দোকানের মালপত্র রেখে দেওয়ায় সড়কের অর্ধেকই বন্ধ থাকে সারাদিন। গাড়ির চাকা যেন নড়ে না। যানজট না থাকলে সড়কের এই অংশটুকু পার হতে সময় লাগে মাত্র পাঁচ মিনিট।’ পুরান ঢাকার এই সড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আতিক মেসবাহ্ লগ্ন যানজটের অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন। শুধু এই সড়ক নয়; রায়সাহেব বাজার, নয়াবাজার থেকে গুলিস্তানমুখী সড়কসহ বিভিন্ন সড়কের একই হাল।

সরেজমিন দেখা যায়, ধোলাইখাল ট্রাকস্ট্যান্ডের জায়গা ছাড়িয়ে রায়সাহেব বাজার মোড় থেকে মুরগিটোলা মোড় পর্যন্ত সড়কে দুই সারিতে ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। দুই লেনের সড়কের কোথাও কোথাও দুই পাশে দুটি করে চার সারিতে গাড়ি দাঁড় করানো। এ ছাড়া ধোলাইখালে মেশিনপত্রের দোকানগুলোর সামনে সামগ্রী রেখে সড়কের অর্ধেক দখল করা হয়েছে।

সদরঘাট থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে চলাচলকারী বাস আগে ছাড়ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে। ভিক্টোরিয়া পার্কের চারদিকে দাঁড়িয়ে থাকত বাস। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে গত সপ্তাহ থেকে বাসগুলো ধোলাইখাল টং মার্কেট থেকে রায়সাহেব বাজার মোড় পর্যন্ত সড়কে রাখা হয়। এখানে আগে থেকেই একটি লেগুনাস্ট্যান্ড আছে। এতে রায়সাহেব বাজার থেকে যাত্রাবাড়ী যাওয়ার সময় ধোলাইখালের এই দেড়-দুই কিলোমিটার সড়কে যাত্রীদের নাভিশ্বাস উঠে যায়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে।

বাবুবাজার থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, বাবুবাজার সেতুর নিচে নয়াবাজার থেকে তাঁতীবাজার পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে লোহালক্কড়ের দোকানের মালপত্র ফেলে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বাস-ট্রাকের দখলে থাকে সড়কের দুই পাশে একটি করে লেন। এদিকে রায়সাহেব বাজার থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত সড়কে রাত ১০টা পর্যন্ত মালপত্র গাড়িতে ওঠানামায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানা হয় না। সড়কের উভয় পাশে চার লেনের মধ্যে দুটি লেন বন্ধ থাকে ভ্যান, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যানে মালপত্র ওঠানামা করার কারণে। এই সড়কের পাশে ড্রেনের কাজ যেন কয়েক বছর ধরে লেগেই আছে। বিশ্বব্যাংকের প্রকল্পের মাধ্যমে বংশাল থেকে বুড়িগঙ্গা নদী পর্যন্ত ড্রেনের কাজ শেষ হয়েছে বছর দেড়েক আগে। এখন সংস্কারকাজ চলায় সড়কের একদিকের দুটি লেন বন্ধ।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম “জাতীয় সংসদ নির্বাচন: বিএনপির প্রার্থী বাছাই শেষ হওয়ার পথে”

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির প্রার্থী বাছাইপ্রক্রিয়া শেষের দিকে। মাঠপর্যায়ের জরিপ ও সাংগঠনিক রীতি মেনে প্রার্থী বাছাইয়ের এ প্রক্রিয়া চালাচ্ছে দলটি, যা আগামী অক্টোবরেই চূড়ান্ত রূপ দিতে চান নেতারা। দলের নীতিনির্ধারকেরা জানিয়েছেন, শিগগিরই এ প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত ফল দৃশ্যমান হবে। তবে নির্দিষ্ট কোনো মাস বা তারিখ উল্লেখ করেননি তাঁরা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দেড় বছর আগে থেকে এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে বিএনপি শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবে। মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে বিএনপির সর্বোচ্চ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে আগামী অক্টোবরেই প্রার্থী চূড়ান্ত করার বিষয়ে তাগিদ দেন নেতারা। মিত্রদের আসন ছাড়ের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেন তাঁরা। সেখানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রার্থী চূড়ান্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, তফসিল ঘোষণার আগেই তিন শর মধ্যে অন্তত ৭০ শতাংশ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে চায় বিএনপি। অধিকাংশ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্তের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। দেড় শ আসনে কাদের প্রার্থী করা হবে, তা মোটামুটি নির্ধারিত হয়ে গেছে। বাকি দেড় শ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করা নিয়ে এখন শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। এর মধ্যে ৫০টির মতো আসন ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের মিত্রদের জন্য ছাড়ার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে কোন কোন আসনে ছাড় দেওয়া হচ্ছে, তা-ও অক্টোবরে মৌখিকভাবে জানানো হতে পারে।

নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রাখেন—বিএনপির এমন একাধিক নেতা জানান, দীর্ঘদিন থেকেই দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করার কাজটি নিবিড়ভাবে তত্ত্বাবধান করছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁর তত্ত্বাবধানে ইতিমধ্যে পাঁচটি জরিপ সম্পন্ন হয়েছে।

বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের মাধ্যমেও সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি আসনভিত্তিক সম্ভাব্য প্রার্থীদেরও মতামত নিচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতার মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু করেছেন তারেক।

সর্বশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিএনপি। দলটির দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, আগামী নির্বাচনে দেড় শ আসনে যাঁদের প্রার্থী করা হবে তাঁরা একাদশ সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করেন। এ ছাড়া বাকি দেড় শ আসনের মধ্যে শতাধিক আসনে নতুন প্রার্থী আসবে। এক্ষেত্রে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে লড়াই-সংগ্রাম বিশেষ করে ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর-পরবর্তী সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে সম্পৃক্ত ত্যাগী, সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, এলাকায় জনপ্রিয় ক্লিন ইমেজধারীরা প্রাধান্য পাবেন।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “আরসার হামলায় বাংলাদেশের সম্পৃক্ততার অভিযোগ আরাকান আর্মিপ্রধানের”

বাংলাদেশ সীমান্তে আরাকান আর্মির ঘাঁটিতে ‘রোহিঙ্গা বিদ্রোহী’রা হামলা করছে বলে অভিযোগ করেছেন সশস্ত্র সংগঠনটির কমান্ডার ইন চিফ মেজর জেনারেল তোয়ান মারত নাইং। আর এতে ‘কিছু বাংলাদেশী কর্মকর্তার’ সমর্থন রয়েছে বলেও অভিযোগ তার। থাইল্যান্ড থেকে প্রকাশিত মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাওয়াদ্দিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ অভিযোগ করেন আরাকান আর্মির প্রধান। এ বিষয়ে জানতে ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত বাংলাদেশী দূতাবাসে যোগাযোগ করে ইরাওয়াদ্দি। তবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

তোয়ান মারত নাইং সাক্ষাৎকারে জানান, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) মিলিতভাবে ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে উত্তর রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপে আরাকান আর্মির একটি ঘাঁটিতে হামলা চালায়। তার বাহিনী যখন রাখাইনে মিয়ানমারের সেনা নিয়ন্ত্রিত এলাকা দখল করে শৃঙ্খলা ফেরাতে লড়াই করছে, তখনই এ হামলা চালানো হয়। আরাকান আর্মির প্রধানের দাবি, ‘বাংলাদেশী একটি বাহিনীর কর্মকর্তারা সীমান্তের ওপারে থাকা সশস্ত্রদের আমাদের ওপর হামলা চালাতে বলেছে। আগে এ সশস্ত্র নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ মূলত মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে হতো, কিন্তু এখন তাদের মধ্যে সরাসরি সমন্বয়ের বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে।’

তোয়ান মারত নাইংয়ের ভাষায়, ‘রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের নির্দেশ দেয়া হচ্ছে যেন তাউংপিও এলাকায় হামলা চালানো হয়। ওই এলাকা বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে। তা সম্ভব না হলে তাউংপিওর উত্তরের আরাকান আর্মির অবস্থানগুলোতে আক্রমণ চালাতে বলা হয়েছে।’ তবে তৃতীয় কোনো পক্ষ থেকে তাদের অস্ত্র সরবরাহের কোনো তথ্য আরাকান আর্মির কাছে নেই বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের বুথিডং ও মংডু টাউনশিপসহ প্রায় সব এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে আরাকান আর্মি। ১৯ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে আরাকান আর্মি জানায়, দীর্ঘ ও অনিরাপদ সীমান্তের কারণে আরসা ও আরএসও যোদ্ধারা মংডুতে অনুপ্রবেশ করেছে। তারা স্থানীয়দের হত্যা করছে, অপহরণ করছে বা মুক্তিপণ আদায় করছে। সেই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে।

তোয়ান মারত নাইং বলেন, ‘তারা সীমান্ত দিয়ে ঢুকে পড়লে সামনে যাকেই পায় হত্যা করে। এরপর নিহতদের গায়ে আরাকান আর্মির পোশাক বা সামরিক সরঞ্জাম পরিয়ে দেয়। কিন্তু আসলে যারা নিহত হয়েছে তারা সাধারণ মানুষ, আরাকান আর্মির সদস্য নয়।’

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “জুলাই সনদ ঘিরে ঐক্যের চেষ্টা, চোখ আসন সমঝোতায়”

জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ৯টি দল মিলে জোট করার চেষ্টা চলছে। দলগুলো জুলাই সনদ নিয়ে কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে।

আবার এই সম্ভাব্য জোটের একাধিক দল পরস্পর একীভূত হওয়ার আলোচনাও চলছে।

জোট গঠনের এ উদ্যোগে রয়েছে এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি এবং গণতন্ত্র মঞ্চের ছয় শরিক জেএসডি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও ভাসানী জনশক্তি পার্টি।

জোট করলে বিএনপি, নাকি জামায়াত— কোন বলয়ে যাবে, তা নিয়ে ৯ দলের মধ্যে প্রাথমিক আলাপ চলছে।

এর মধ্যে বামপন্থি কয়েকটি দল জামায়াতের সঙ্গে যাওয়ার বিরোধী। তাই প্রত্যাশিত আসন পেলে তারা বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় আগ্রহী।

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীরও সনদকেন্দ্রিক বলয় আছে। তাদের মতো এই দলগুলোরও বলয় তৈরির পেছনে আছে আগামী সংসদ নির্বাচন।

যদিও বিএনপি তাদের যুগপৎ আন্দোলনের শরিক গণতন্ত্র মঞ্চ নিয়ে আগেই নির্বাচন করা এবং জয়ী হলে সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়ে রেখেছে।

তবে জুলাই সনদ নিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের অবস্থান বিএনপির চেয়ে ভিন্ন। তারা পিআর পদ্ধতির উচ্চকক্ষ, সনদের আইনি ভিত্তি ও সাংবিধানিক সভায় সংবিধানের সংস্কার চায়।

এটি এনসিপি, এবি পার্টি ও গণঅধিকারের অবস্থানের কাছাকাছি।

৯ দলের একটির প্রধান সমকালকে বলেছেন, এটি ঠিক, আসন্ন নির্বাচনে আসনকেন্দ্রিক অনিশ্চয়তা তাদের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। আলাদা থাকলে বিএনপি কিংবা জামায়াতের সঙ্গে দরকষাকষিতে এই ৯ দলের কেউ সুবিধা করে উঠতে পারবে না। একসঙ্গে থাকলেই কেবল বেশি আসন পাওয়া সম্ভব। নির্বাচনী ছাড় বা সমঝোতাই তাদের বড় লক্ষ্য।

আরেকজন নেতা সমকালকে বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে এত তাড়াতাড়ি সমঝোতায় রাজি নয়। এনসিপি।

বিএনপির প্রার্থী বাছাই শেষ হওয়ার পথে— আজকের পত্রিকার শিরোনাম এটি। এই খবরে বলা হয়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে মাঠপর্যায়ের জরিপ ও সাংগঠনিক রীতি মেনে বিএনপির প্রার্থী বাছাইপ্রক্রিয়া শেষের দিকে।

গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে আগামী অক্টোবরেই প্রার্থী চূড়ান্ত করার বিষয়ে তাগিদ দেন নেতারা।

সেখানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রার্থী চূড়ান্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়।

দলটির সূত্রে জানা যায়, তফসিল ঘোষণার আগেই অন্তত ৭০ শতাংশ আসনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে চায় বিএনপি। তার মধ্যে দেড়শ আসনে কাদের প্রার্থী করা হবে, তা মোটামুটি নির্ধারিত হয়ে গেছে।