বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। রোববার মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে এ মহোৎসব। বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আগামী ২ অক্টোবর পাঁচ দিনব্যাপী উৎসবের শেষ হবে।
এ বছর সারাদেশে ৩৩ হাজার ৩৫৫টি মণ্ডপ ও মন্দিরে দুর্গাপূজার আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর ১ হাজার ৮৯৪টি বেশি মণ্ডপে দুর্গোৎসব পালন করা হবে।
শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে রাজধানীসহ সারাদেশে যেন উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। টানা চার দিনের সরকারি ছুটি উৎসবের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

সরকার নির্বাহী আদেশে আগামী বুধবার ছুটি ঘোষণা করেছে। পরদিন বৃহস্পতিবার শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমী উপলক্ষ্যে সরকারি ছুটি। এর সঙ্গে শুক্রবার ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা চার দিনের ছুটি উপভোগ করবে দেশবাসী। রাজধানীর পূজামণ্ডপগুলোতে প্রতিমা, মণ্ডপ নির্মাণ ও আলোকসজ্জাসহ সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
শাস্ত্রকারদের মতে, দুর্গা ভক্তদের বাধাবিঘ্ন, ভয়, দুঃখ, শোক, জ্বালা ও যন্ত্রণা থেকে রক্ষা করেন। আরেক ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, দুঃখের দ্বারা যাকে লাভ করা যায় তিনিই দুর্গা। দেবী দুঃখ দিয়ে মানুষের সহ্যক্ষমতা পরীক্ষা করেন এবং তখন ভক্তরা তাকে ডাকলে তিনি কষ্ট দূর করেন।
‘মহাচণ্ডী’তে উল্লেখ আছে, ত্রেতা যুগে ভগবান রামচন্দ্র রাবণের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে শক্তি বৃদ্ধির আশায় শরৎকালে দেবী মহামায়ার পূজা করেছিলেন। এরপর তিনি যুদ্ধে জয়লাভ করে সীতাকে উদ্ধার করেন ও রাবণকে পরাজিত করেন। সেই থেকে প্রতিবছর শরৎকালে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দুর্গোৎসব পালন করে আসছেন।
লোকনাথ পঞ্জিকা অনুযায়ী, আগামীকাল ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠী, ২৯ সেপ্টেম্বর মহাসপ্তমী, ৩০ সেপ্টেম্বর মহাষ্টমী, ১ অক্টোবর মহানবমী এবং ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে শারদীয় দুর্গোৎসবের।

এ বছর দেবী দুর্গার আগমন হবে গজে (হাতি) এবং প্রস্থান হবে দোলায় (পালকি)। শাস্ত্রমতে, গজে আগমন শান্তি, সমৃদ্ধি ও শস্য-শ্যামলার প্রতীক। তবে দোলায় প্রস্থানকে অশুভ ধরা হয়, যা মহামারী বা মড়কের ইঙ্গিত বহন করে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর বাসস’কে বলেন, সারাদেশে পূজার প্রস্তুতি শেষ। এ বছর ঢাকা মহানগরীতে ২৫৮টি মণ্ডপ ও মন্দিরে দুর্গাপূজা উদযাপন করা হবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















