বর্ষার আকাশকে অনেক ভারী মেঘ বহন করতে হয়। যে মেঘভারে আকাশ নেমে আসে সমুদ্র ও বনবীথির অনেক কাছে। এই ভারী মেঘকে বিদায় দিয়ে আসে শরৎ, হালকা পেঁজা তুলার মতো তার মেঘ। আকাশ তখন হালকা মেঘরাশির শ্বেতশুভ্র পাহাড় নিয়ে ভেসে যায় দিগন্ত থেকে দিগন্তে।
তাই শরৎ শুধু ঋতু নয়, সে মানুষের মনেরও একটা উৎসব। প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের এই যোগসূত্র তো স্বাভাবিকই- প্রকৃতির তার মাতা। তাই নাড়ির এ যোগ খণ্ডাবে কে?
তারপরেও মানুষ এখন আর শুধু প্রকৃতির সেই স্বাধীন সন্তান নেই। রাষ্ট্র, ক্ষমতা লোভ, বণিকের মানদণ্ড সব মিলে মানুষ এখন নানান শেকলে বাধা। তারপরেও সে যেমন একটু আনমনা হয়, বর্ষার রিমঝিম শব্দে, তেমনি শীতের একটি সকালের এক চিলতে রোদ, হেমন্তের এক ফোঁটা শিশির এমনকি একটি আঁটো সাঁটো গভীর শীত রাত্রও তাকে নিয়ে যায় আলাদা একটা জগতে। এটাই মানুষের বেঁচে থাকা।
হালকা শরৎ, মধুর বসন্ত তাই উৎসবের রঙ শুধু নয়, মনের কোণে জাগিয়ে তোলে উৎসব। সেই শরৎও যদি ভারী হয়ে আসে চারপাশের দম আটকা পরিবেশে তখন সে ভূমিতে মানুষ উৎসবের বদলে অসহায়ই মনেই দিন গুরজান করে।
Sarakhon Report 



















