০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
ভিক্টোরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দুধ খামার বিক্রয়: লাভজনক সুযোগ এবং সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য গঠনমূলক পদক্ষপে ভালো স্মৃতি চাই? আগে ‘স্মৃতি’ বলতে কী বোঝায় তা নতুন করে ভাবুন দক্ষিণ আফ্রিকার রহস্যময় ও বিস্ময়কর রিংখালস সাপ প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩১১) এই সপ্তাহে কী দেখবেন–শুনবেন: বিগেলোর থ্রিলার, স্টিলারের পারিবারিক ডক, কারলাইল–লোভাটো ব্রডওয়েতে ‘রাগটাইম’ মঞ্চায়ন: শক্তিশালী সুর ও আবেগের পরিপূরক স্মৃতি দ্রুত মলিন হয়ে যায় কিন্তু ফটোগ্রাফি মুহূর্তটিকে থামিয়ে দিতে পারে এসএনএলে সাব্রিনা কারপেন্টার: ইমেজ, রসিকতা আর ভাইরাল কৌশল যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা: বিশ্বে উন্নতির সুযোগ, সতর্কতার সাথে পরিচালনা জরুরি – প্রেসিডেন্ট থারমান বালি পাচার নিয়ে তল্লাশি ইডি-র, ভোটের আগে সক্রিয়তার অভিযোগ

সিঙ্গাপুরের ওষুধ রপ্তানিতে ট্রাম্পের শুল্কের ঝড়

সিঙ্গাপুরের উদ্বেগ

সিঙ্গাপুরের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রী গ্যান কিম ইয়ং জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে যে উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে তা নিয়ে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো এখন স্পষ্টীকরণ চাইছে। তারা জানতে চাইছে, এ শুল্ক থেকে কোনো ছাড় পাওয়ার সুযোগ আছে কি না।

সিঙ্গাপুর প্রতিবছর প্রায় ৪ বিলিয়ন সিঙ্গাপুর ডলারের (প্রায় ৩.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) ওষুধ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে। এ রপ্তানির বেশিরভাগই ব্র্যান্ডেড ওষুধ।

ট্রাম্পের ঘোষণার প্রভাব

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, ব্র্যান্ডেড ওষুধ আমদানিতে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। তবে যদি কোনো প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন কারখানা স্থাপন করে, তবে তারা এ শুল্ক থেকে ছাড় পেতে পারে।

গ্যান কিম ইয়ং বলেছেন, ফার্মাসিউটিক্যাল খাত সিঙ্গাপুরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে মোট রপ্তানির প্রায় ১৩ শতাংশ এ খাত থেকে আসে। অনেক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা সম্প্রসারণ বা নতুন কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা করছে, যা তাদের শুল্ক ছাড় পাওয়ার যোগ্য করে তুলতে পারে।

চলমান বাণিজ্য আলোচনা

আগস্টে মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন গ্যান। তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা চলছে। বিশেষ করে ফার্মাসিউটিক্যাল ও সেমিকন্ডাক্টর খাতে সম্ভাব্য চুক্তির বিষয়ে উভয় পক্ষ বিস্তারিত কাজ করছে।

গ্যান বলেন, “আমরা আশা করছি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন এক সমঝোতায় পৌঁছাতে পারব যাতে আমাদের কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতামূলকভাবে সেখানে রপ্তানি চালিয়ে যেতে পারে। শুল্ক হার ১৫ শতাংশ বা অন্য কিছু হবে কিনা, তা আলোচনার অংশ। তবে বর্তমান শীর্ষ শুল্কের তুলনায় কিছুটা হলেও সুবিধাজনক হার আশা করছি।”

রপ্তানির সামগ্রিক চিত্র

২০০৪ সাল থেকে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি থাকলেও বর্তমানে সিঙ্গাপুর থেকে রপ্তানিতে ১০ শতাংশ ভিত্তিমূলক শুল্ক কার্যকর রয়েছে।

সেমিকন্ডাক্টর, কনজিউমার ইলেকট্রনিকস ও ফার্মাসিউটিক্যাল—এসব খাত যুক্তরাষ্ট্রে সিঙ্গাপুরের মোট রপ্তানির প্রায় ৪০ শতাংশ জুড়ে আছে। জুলাইয়ে সিঙ্গাপুরের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সতর্ক করেছিল, বৃহত্তর খাতভিত্তিক শুল্ক আরোপ হলে এসব পণ্যের চাহিদা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কার্যকর শুল্ক হার এপ্রিলে ৬.৮ শতাংশ থেকে বেড়ে জুলাইয়ে ৭.৮ শতাংশে পৌঁছেছে। এর পেছনে মূলত স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব রয়েছে।

সিঙ্গাপুরের জন্য মার্কিন বাজারে প্রতিযোগিতা ধরে রাখা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে নতুন শুল্ক নীতি শুধু অর্থনীতির জন্য নয়, বরং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার সময় তৈরি করেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভিক্টোরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দুধ খামার বিক্রয়: লাভজনক সুযোগ এবং সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য গঠনমূলক পদক্ষপে

সিঙ্গাপুরের ওষুধ রপ্তানিতে ট্রাম্পের শুল্কের ঝড়

১১:০১:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সিঙ্গাপুরের উদ্বেগ

সিঙ্গাপুরের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রী গ্যান কিম ইয়ং জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে যে উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে তা নিয়ে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো এখন স্পষ্টীকরণ চাইছে। তারা জানতে চাইছে, এ শুল্ক থেকে কোনো ছাড় পাওয়ার সুযোগ আছে কি না।

সিঙ্গাপুর প্রতিবছর প্রায় ৪ বিলিয়ন সিঙ্গাপুর ডলারের (প্রায় ৩.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) ওষুধ যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে। এ রপ্তানির বেশিরভাগই ব্র্যান্ডেড ওষুধ।

ট্রাম্পের ঘোষণার প্রভাব

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, ব্র্যান্ডেড ওষুধ আমদানিতে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। তবে যদি কোনো প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন কারখানা স্থাপন করে, তবে তারা এ শুল্ক থেকে ছাড় পেতে পারে।

গ্যান কিম ইয়ং বলেছেন, ফার্মাসিউটিক্যাল খাত সিঙ্গাপুরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে মোট রপ্তানির প্রায় ১৩ শতাংশ এ খাত থেকে আসে। অনেক প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা সম্প্রসারণ বা নতুন কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা করছে, যা তাদের শুল্ক ছাড় পাওয়ার যোগ্য করে তুলতে পারে।

চলমান বাণিজ্য আলোচনা

আগস্টে মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন গ্যান। তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা চলছে। বিশেষ করে ফার্মাসিউটিক্যাল ও সেমিকন্ডাক্টর খাতে সম্ভাব্য চুক্তির বিষয়ে উভয় পক্ষ বিস্তারিত কাজ করছে।

গ্যান বলেন, “আমরা আশা করছি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন এক সমঝোতায় পৌঁছাতে পারব যাতে আমাদের কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতামূলকভাবে সেখানে রপ্তানি চালিয়ে যেতে পারে। শুল্ক হার ১৫ শতাংশ বা অন্য কিছু হবে কিনা, তা আলোচনার অংশ। তবে বর্তমান শীর্ষ শুল্কের তুলনায় কিছুটা হলেও সুবিধাজনক হার আশা করছি।”

রপ্তানির সামগ্রিক চিত্র

২০০৪ সাল থেকে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি থাকলেও বর্তমানে সিঙ্গাপুর থেকে রপ্তানিতে ১০ শতাংশ ভিত্তিমূলক শুল্ক কার্যকর রয়েছে।

সেমিকন্ডাক্টর, কনজিউমার ইলেকট্রনিকস ও ফার্মাসিউটিক্যাল—এসব খাত যুক্তরাষ্ট্রে সিঙ্গাপুরের মোট রপ্তানির প্রায় ৪০ শতাংশ জুড়ে আছে। জুলাইয়ে সিঙ্গাপুরের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সতর্ক করেছিল, বৃহত্তর খাতভিত্তিক শুল্ক আরোপ হলে এসব পণ্যের চাহিদা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কার্যকর শুল্ক হার এপ্রিলে ৬.৮ শতাংশ থেকে বেড়ে জুলাইয়ে ৭.৮ শতাংশে পৌঁছেছে। এর পেছনে মূলত স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব রয়েছে।

সিঙ্গাপুরের জন্য মার্কিন বাজারে প্রতিযোগিতা ধরে রাখা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে নতুন শুল্ক নীতি শুধু অর্থনীতির জন্য নয়, বরং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার সময় তৈরি করেছে।